দক্ষিণ চীনে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে
চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণে একটি জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ হাইনানে আঘাত হেনেছ  দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি। এরফলে এলাকাটিতে প্রচন্ড বাতাস এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টাইফুনের ভয়াবহতা কমাতে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়েছে চীন।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ইয়াগি চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ হাইনান এবং এর প্রতিবেশী প্রদেশ গুয়াংডং-এ “বিপর্যয়কর” ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মতো ওই এলাকায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন, নৌযান ও ফ্লাইট চলাচল।কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘সিনহুয়া’ জানিয়েছে, টাইফুনটি শুক্রবার দিনের শেষ দিকে হাইনানের উপকূলীয় এলাকার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর পার্শ্ববর্তী গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় উভয় প্রদেশে বন্যার জন্য জরুরি ৩ নম্বর সতর্কতা জারি করেছে।

সিনহুয়া জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে চীনের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হতে পারে। যা বন্যা ও পরিস্থিতি মোকাবেলার কাজকে খুব চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।

নাসার আর্থ ডাটা অনুসারে ইয়াগির বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটারের বেশি। একটি সুপার টাইফুন ক্যাটাগরি ৫ হারিকেনের সমতুল্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়কে আরও তীব্রতর করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রবল বৃষ্টিপাত ও তীব্র দমকা হাওয়া নিয়ে আসছে যা আকস্মিক বন্যা এবং উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে।

টাইফুন শানশান জাপানে আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরে আসলো ইয়াগি। টাইফুন শানশানে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার সঙ্গে শতাধিক আহত হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে পেপ্যাল-ওয়াইজ সুবিধা চান ফ্রিল্যান্সাররা

দক্ষিণ চীনে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি

আপডেট সময় : ০৬:১০:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণে একটি জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ হাইনানে আঘাত হেনেছ  দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি। এরফলে এলাকাটিতে প্রচন্ড বাতাস এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টাইফুনের ভয়াবহতা কমাতে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়েছে চীন।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ইয়াগি চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ হাইনান এবং এর প্রতিবেশী প্রদেশ গুয়াংডং-এ “বিপর্যয়কর” ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মতো ওই এলাকায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন, নৌযান ও ফ্লাইট চলাচল।কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘সিনহুয়া’ জানিয়েছে, টাইফুনটি শুক্রবার দিনের শেষ দিকে হাইনানের উপকূলীয় এলাকার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর পার্শ্ববর্তী গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় উভয় প্রদেশে বন্যার জন্য জরুরি ৩ নম্বর সতর্কতা জারি করেছে।

সিনহুয়া জানায়, ২০১৪ সালের পর থেকে চীনের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হতে পারে। যা বন্যা ও পরিস্থিতি মোকাবেলার কাজকে খুব চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।

নাসার আর্থ ডাটা অনুসারে ইয়াগির বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটারের বেশি। একটি সুপার টাইফুন ক্যাটাগরি ৫ হারিকেনের সমতুল্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়কে আরও তীব্রতর করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রবল বৃষ্টিপাত ও তীব্র দমকা হাওয়া নিয়ে আসছে যা আকস্মিক বন্যা এবং উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে।

টাইফুন শানশান জাপানে আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরে আসলো ইয়াগি। টাইফুন শানশানে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হওয়ার সঙ্গে শতাধিক আহত হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি