নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে টানা ১০ দিন চুয়াডাঙ্গা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দিনের ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম ও সরাসরি বন্যার্ত এলাকায় গিয়ে তাদের পরিকল্পিত কার্যক্রমের বর্ণনা দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে ৪০ সদস্যের একটি দল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে গত ২৩ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সংগ্রহ করে। নগদ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬১৬ টাকাসহ এই ১০ দিনে তারা ৫০০ প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন, ম্যাচ, Antiseptic স্যাভলন লিকুইড, সাবান, দুধ, Biomil ১, ২, ংড়ুধ প্লেট, গ্লোব, শ্যাম্পু, সার্ফ এক্সেল, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, নাপা, টাফনিল, সেক্লো, ফালমিড, ওরস্যালাইন, মেট্রোল, হিস্টাসিনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করেন। এছাড়াও বন্যার্তদের পুনর্বাসনের জন্য ৮৪টি ত্রিপল, ১৫০০ স্কয়ার ফিট রোল ত্রিপল, ৪০ বস্তা পোশাকসহ ৫৬ বস্তা চাল ও অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন। এসকল ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ১০ সদস্যের একটি দল গতরাত ৩টায় বন্যা দুর্গত এলাকা খুলনার পাইকগাছার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল মুতাকাব্বির সাকিব বলেন, ১০ দিনে আমাদের টিম যেসকল মালামাল সংগ্রহ করেছি, তা ট্রাকযোগে মঙ্গলবার (গতরাত) রাত তিনটায় খুলনার পাইকগাছায় নেয়া হবে। বন্যার পানি কমে যাওয়র পর সবথেকে বড় সমস্যা পুনর্বাসন। আমরা এই বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের সংগৃহীত টাকা ও ত্রাণের সামান্য কোনো অংশও কারো ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার হবে না। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যে ১০ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছেন, তারা ২—৩ দিন সেখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তাদের যাতায়ত থেকে খাওয়া খরচ তারা নিজেরাই বহন করবেন। আমাদের টিমের একজন সদস্য তার ব্যক্তি উদ্যোগে একটি ট্রাক সরবরাহ করেছেন। যার জ্বালানি খরচ বহন করছেন অন্য আরেকজন। আমরা কারো নাম উল্লেখ করছি না।