শিরোনাম :
Logo জীবননগরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নারী আটক Logo রাবি ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ আবু সাঈদ ও জেন-জি নিয়ে প্রশ্ন Logo শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন Logo রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসন প্রতি লড়ছেন ৫১ ভর্তিচ্ছু Logo রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত Logo চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ Logo ইন্টারন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট’স এসোসিয়েশন হাবিপ্রবির নতুন কমিটি গঠন Logo জবিতে সাইকেল চোর সন্দেহে যুবক আটক ৮ শিক্ষার্থীকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ Logo ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর ২৫ এপ্রিল Logo গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি: প্রেস সচিব

যে কারণে ভাঙা আয়না ব্যবহার নিষিদ্ধ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভাঙা আয়না নিয়ে সংস্কার প্রায় সব সংস্কৃতিতেই একই। রোমান আমল থেকেই এই ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠে যে, আয়না ভাঙলে সাত বছরের জন্য দুর্ভাগ্য ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকে। বাড়িতে ভাঙা আয়না রাখতে নিষেধ করে আধুনিক বাস্তুশাস্ত্রও।

হিন্দু শাস্ত্র মতে, আয়না মানুষের আত্মার অংশকে তার ভিতরে ধরে রাখে। আবার যখন দেবতা বা অপদেবতারা কোনও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান, তারা আয়নার মাধ্যমেই তা করতে থাকেন। ফলে আয়না ভাঙা জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতেই পারে।

আবার অনেকেই বিশ্বাস করেন, আয়না ভাঙলে অর্থভাগ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙা আয়নার স্বপ্ন কোনও প্রিয়জনের আসন্ন মৃত্যুকে ব্যক্ত করে। তাই ভাঙা আয়না কালো কাপড়ে মুড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলেন অনেকে।

তবে ভাঙা আয়না নিয়ে এসব সংস্কারের পেছনের যুক্তিও খুঁজে বেড়িয়েছেন অনেকে। তাদের মতে, প্রাচীন কালে আয়না তৈরির প্রক্রিয়া ছিল সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। সে কারণে আয়নার দামও ছিল সাংঘাতিক। তাই আয়না যাতে যত্নে ব্যবহৃত হয়, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতেই এসব সংস্কারের জন্ম দেয়া হয়।

তাছাড়া ভাঙা আয়না সংসারের জন্য বিড়ম্বনা। কাচের ভাঙা টুকরায় যে কেউ আহত হতে পারে। তাই ভাঙা আয়না ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতেই এমন নিষেধাজ্ঞা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নারী আটক

যে কারণে ভাঙা আয়না ব্যবহার নিষিদ্ধ !

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভাঙা আয়না নিয়ে সংস্কার প্রায় সব সংস্কৃতিতেই একই। রোমান আমল থেকেই এই ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠে যে, আয়না ভাঙলে সাত বছরের জন্য দুর্ভাগ্য ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকে। বাড়িতে ভাঙা আয়না রাখতে নিষেধ করে আধুনিক বাস্তুশাস্ত্রও।

হিন্দু শাস্ত্র মতে, আয়না মানুষের আত্মার অংশকে তার ভিতরে ধরে রাখে। আবার যখন দেবতা বা অপদেবতারা কোনও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান, তারা আয়নার মাধ্যমেই তা করতে থাকেন। ফলে আয়না ভাঙা জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতেই পারে।

আবার অনেকেই বিশ্বাস করেন, আয়না ভাঙলে অর্থভাগ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙা আয়নার স্বপ্ন কোনও প্রিয়জনের আসন্ন মৃত্যুকে ব্যক্ত করে। তাই ভাঙা আয়না কালো কাপড়ে মুড়ে মাটিতে পুঁতে ফেলেন অনেকে।

তবে ভাঙা আয়না নিয়ে এসব সংস্কারের পেছনের যুক্তিও খুঁজে বেড়িয়েছেন অনেকে। তাদের মতে, প্রাচীন কালে আয়না তৈরির প্রক্রিয়া ছিল সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। সে কারণে আয়নার দামও ছিল সাংঘাতিক। তাই আয়না যাতে যত্নে ব্যবহৃত হয়, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতেই এসব সংস্কারের জন্ম দেয়া হয়।

তাছাড়া ভাঙা আয়না সংসারের জন্য বিড়ম্বনা। কাচের ভাঙা টুকরায় যে কেউ আহত হতে পারে। তাই ভাঙা আয়না ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতেই এমন নিষেধাজ্ঞা।