নীলকণ্ঠ প্রতিবেদক:
টানা নবম বারের মতো সিআইপি হলেন দেশের সুনামধন্য জুয়েলারি ব্র্যান্ড ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি সিআইপি ২০২২ (ট্রেড) শ্রেণিতে নির্বাচিত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইপি কার্ড পেয়েছেন। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এ নিয়ে টানা নবম বারের মতো সিআইপি নির্বাচিত হলেন। ব্যবসায়ীর পাশাপাশি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা একাধারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক, বাংলাদেশ ডায়মন্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থসামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
উল্লেখ্য, রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে কার্ড পেয়েছেন ১৮৪ জন ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সুনামধন্য জুয়েলারি ব্র্যান্ড ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
সিআইপিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা অনুযায়ী তাদের নির্বাচিত করেছে সরকার। আগামী এক বছরের জন্য নির্বাচিত সিআইপিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপিরা তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।