শুক্রবার | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা Logo সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনে সিসিডিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ Logo জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় চাঁদপুরে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান Logo রাঙামাটি জেলা পুলিশের সাইবার সাফল্য: হারানো ৫০ মোবাইল উদ্ধার, ফিরলো মালিকদের হাতে Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন Logo শিক্ষানুরাগী ও মানবিক সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম রনি পেলেন মিজাফ বিজয় সম্মাননা Logo জাবিতে সাংবাদিকের ওপর মব ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর খুন; নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮১২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামীরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামীরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার দ্রুত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর খুন; নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামীরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামীরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার দ্রুত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।