শিরোনাম :
Logo ক্ষমতা-টাকার জালে তদন্ত গায়েব, মিথ্যা গুজবে মরিয়া প্রধান শিক্ষক আফছার আলী Logo রাবি ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ রেজিস্ট্রার ও উপ-উপাচার্যের Logo চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি সেবার দরজায় এখন কাঁদা-পানি, ঝুঁকিতে রোগী-স্বজন Logo বিএনডি ফোরামের উদ্যোগে ১৬তম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত, চারা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা Logo ড. ইউনূস ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo ভারতের শিশু হোমে আটক থাকা দুই কিশোর দেশে ফিরেছে Logo বিরল রোগে আক্রান্ত কলিম উল্যাহ’র বাঁচার আকুতি,সামাজিক সহানুভূতির আবেদন অসহায় পরিবারের Logo সাজিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর

সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর খুন; নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামীরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামীরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার দ্রুত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতা-টাকার জালে তদন্ত গায়েব, মিথ্যা গুজবে মরিয়া প্রধান শিক্ষক আফছার আলী

সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর খুন; নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামীরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামীরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার দ্রুত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।