শিরোনাম :
Logo ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন Logo পলাশবাড়ীতে ধানের শীর্ষ প্রতিকের পক্ষে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo হাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ Logo সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রেস কনফারেন্স Logo শেরপুরে ‘রূপসী শেরপুর’-এর মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন Logo জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন Logo সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা Logo ঊচত এর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

নামিবিয়াকে হারিয়ে আফগানদের টপকে সেমির পথে নিউজিল্যান্ড।

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে নিউজিল্যান্ড। নামিবিয়াকে হারিয়ে সেই পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেন উইলিয়ামসনের দল। চার ম্যাচে তিন জয়ে আফগানদের টপকে সেমিতে পাকিস্তানের সঙ্গী হওয়াটা অনেকটাই পাকাপোক্ত করল কিউয়িরা।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শারজায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেনি কিউয়িরা। তবে ফিলিপস ও নিশামের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়তে পারে দলটি।

শেষ চার নিশ্চিতে সুপার টুয়েলভে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছুই ছিল না উইলিয়ামসনদের মাথায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামলেও নামিবিয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৪ ওভারে ৮৭ রান তুলতেই চার টপঅর্ডারকে হারিয়ে বসে কিউয়িরা।

তবে পাঁচ ও ছয় নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপস ও জেমস নিশামের ব্যাটিং ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সামর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফিলিপস। তাঁর ২১ বলের এই ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কার সঙ্গে একটি চারের মার। আর ২৩ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জেমস নিশাম। তিনিও হাঁকান ২টি ছক্কার সঙ্গে একটি চার। এ দুজনে মিলে শেষ ছয় ওভারে তোলেন ৭৬ রান।

নামিবিয়ার পক্ষে বারনার্ড স্কলজ ১৫ রান এবং গেরহার্ড এরাসমাস ২২ রান দিয়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন। উইকেট পান ডেভিড উইসেও, তবে তিনি খরচ করেন ৪০টি রান।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ধীরগতির করলেও ভালোই হয় নামিবিয়ার। সাত ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তুলে ফেলে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগেই চমকে দেয়া দলটি। তবে পরের আট রান তুলতেই তিনটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় গেরহার্ড এরাসমাসের দল।

সেখান থেকে দলকে টেনে তুলতে এদিন ব্যর্থ হন আগের ম্যাচগুলোর ত্রাণকর্তা ডেভিড উইসে। আউট হন ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করে। সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার এদিন বলে-ব্যাট উভয় ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হলে তাঁর প্রভাবটা ভালোভাবেই টের পায় নামিবিয়া।

কিউয়ি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ও ক্ষুরধার বোলিংয়ে পরের দিকের ব্যাটাররাও রান না পেলে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বিশ্বকাপের নবাগত এই দলটি। যাতে ৫২ রানের বড় জয়ে সেমির পথে এগিয়ে যাওয়ার বড় রসদ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

দলটির পক্ষে এদিন ১৫ ও ২০ করে রান দিয়ে ২টি করে উইকেট ভাগ করে নেন দুই সেরা বোলার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম ও ইশ সোধি। আর অলরাউন্ড পারফর্মে ম্যাচ সেরা হন জিমি নিশামই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘাতকের বুলেটে সাভারের রাজপথে অত্যন্ত নির্মমভাবে শহীদ হন শিক্ষার্থী ইয়ামিন

নামিবিয়াকে হারিয়ে আফগানদের টপকে সেমির পথে নিউজিল্যান্ড।

আপডেট সময় : ০১:৪৬:০৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

নিউজ ডেস্ক:

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে নিউজিল্যান্ড। নামিবিয়াকে হারিয়ে সেই পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেন উইলিয়ামসনের দল। চার ম্যাচে তিন জয়ে আফগানদের টপকে সেমিতে পাকিস্তানের সঙ্গী হওয়াটা অনেকটাই পাকাপোক্ত করল কিউয়িরা।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শারজায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেনি কিউয়িরা। তবে ফিলিপস ও নিশামের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়তে পারে দলটি।

শেষ চার নিশ্চিতে সুপার টুয়েলভে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছুই ছিল না উইলিয়ামসনদের মাথায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামলেও নামিবিয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৪ ওভারে ৮৭ রান তুলতেই চার টপঅর্ডারকে হারিয়ে বসে কিউয়িরা।

তবে পাঁচ ও ছয় নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপস ও জেমস নিশামের ব্যাটিং ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সামর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফিলিপস। তাঁর ২১ বলের এই ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কার সঙ্গে একটি চারের মার। আর ২৩ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জেমস নিশাম। তিনিও হাঁকান ২টি ছক্কার সঙ্গে একটি চার। এ দুজনে মিলে শেষ ছয় ওভারে তোলেন ৭৬ রান।

নামিবিয়ার পক্ষে বারনার্ড স্কলজ ১৫ রান এবং গেরহার্ড এরাসমাস ২২ রান দিয়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন। উইকেট পান ডেভিড উইসেও, তবে তিনি খরচ করেন ৪০টি রান।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ধীরগতির করলেও ভালোই হয় নামিবিয়ার। সাত ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তুলে ফেলে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগেই চমকে দেয়া দলটি। তবে পরের আট রান তুলতেই তিনটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় গেরহার্ড এরাসমাসের দল।

সেখান থেকে দলকে টেনে তুলতে এদিন ব্যর্থ হন আগের ম্যাচগুলোর ত্রাণকর্তা ডেভিড উইসে। আউট হন ১৭ বলে মাত্র ১৬ রান করে। সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার এদিন বলে-ব্যাট উভয় ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হলে তাঁর প্রভাবটা ভালোভাবেই টের পায় নামিবিয়া।

কিউয়ি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ও ক্ষুরধার বোলিংয়ে পরের দিকের ব্যাটাররাও রান না পেলে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বিশ্বকাপের নবাগত এই দলটি। যাতে ৫২ রানের বড় জয়ে সেমির পথে এগিয়ে যাওয়ার বড় রসদ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

দলটির পক্ষে এদিন ১৫ ও ২০ করে রান দিয়ে ২টি করে উইকেট ভাগ করে নেন দুই সেরা বোলার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম ও ইশ সোধি। আর অলরাউন্ড পারফর্মে ম্যাচ সেরা হন জিমি নিশামই।