শিরোনাম :
Logo ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভাণ্ডারীর ইন্তেকাল Logo রাজধানী উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে টেকনাফ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত: Logo আল্লামা মামুনুল হকের আগমন উপলক্ষে কচুয়ায় জনসভা বাস্তবায়নের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন Logo ইবি-মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত Logo রাজধানীতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে টেকনাফ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা Logo বাংলাদেশি না বাঙালি : আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় Logo শিশুদের ঝলসানো শরীর যেন ঝলসানো বাংলাদেশ Logo বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় কচুয়ায় ওয়ার্ড যুবদলের আয়োজনে দোয়া মাহফিল Logo বিনয়কাঠিতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে জনগনের হাতে আটক ২ পুলিশে সোপর্দ Logo পাকিস্তানকে ১৩৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

কালীগঞ্জে অন্তস্বত্তা গৃহবধুকে আটকে রেখে ধর্ষণ: প্রধান আসামি আটক

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৪৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ মাসের অন্তস্বত্তা এক গৃহবধু কে (১৯) চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি পিয়াস নামে এক বাসের সুপার ভাইজারকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালছে। গত মাসের ১০ অক্টোবর প্রধান আসামী ওই গৃহবধু কে যশোরের নওয়াপাড়ার একটি বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে ওই গুহবধুকে ধর্ষণ করে। এরপর ২৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৪ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে। আদালতে মামলার পর কালীগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা রেকর্ড করতে আদেশ দেন। মামলার বিবরণ ও আসামী পক্ষের আইনজীবি আকিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিত গৃহবধুর স্বামী চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চলাচলকারী শাপলা পরিবহনের হেলপার। তার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে। গৃহবধুর বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামে। দু’বছর আগে তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধু পাঁচ মাসের গর্ভবতী। চলতি মাসের ১০ তারিখে তার স্বামী ফোনে জানায় দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে দাড়ালে তাকে মথুরাপুর শশুরালয়ে নামিয়ে দেবে। স্বামীর কথা অনুযায়ী ঘটনার দিন দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে আসে। সে সময় সেখানে দাড়িয়ে থাকা বাবা’র বাড়ির পাশ^বর্তি তেতুলবাড়িয়া গ্রামের তিন যুবক মথুরাপুর পৌছে দেবে বলে ওই সড়কে চলাচলকারী গড়াই পরিবহনে তুলে যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুল ৪দিক আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরমধ্যে প্রধান আসামি পিয়াস শাপলা পরিবহনের সুপারভাইজার। পরে মেয়েটিকে তারা ছেড়ে দিলে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। তখন নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধু কে মামলা না দিতে চাপ দিতে থাকে। পরে ওই গৃহবধুূ নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মকলেচুজ্জামান জানান, মামলার প্রধান আসামি পিয়াসকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভাণ্ডারীর ইন্তেকাল

কালীগঞ্জে অন্তস্বত্তা গৃহবধুকে আটকে রেখে ধর্ষণ: প্রধান আসামি আটক

আপডেট সময় : ০৪:১১:৪৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ মাসের অন্তস্বত্তা এক গৃহবধু কে (১৯) চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি পিয়াস নামে এক বাসের সুপার ভাইজারকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালছে। গত মাসের ১০ অক্টোবর প্রধান আসামী ওই গৃহবধু কে যশোরের নওয়াপাড়ার একটি বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে ওই গুহবধুকে ধর্ষণ করে। এরপর ২৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৪ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে। আদালতে মামলার পর কালীগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা রেকর্ড করতে আদেশ দেন। মামলার বিবরণ ও আসামী পক্ষের আইনজীবি আকিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষিত গৃহবধুর স্বামী চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চলাচলকারী শাপলা পরিবহনের হেলপার। তার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে। গৃহবধুর বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামে। দু’বছর আগে তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধু পাঁচ মাসের গর্ভবতী। চলতি মাসের ১০ তারিখে তার স্বামী ফোনে জানায় দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে দাড়ালে তাকে মথুরাপুর শশুরালয়ে নামিয়ে দেবে। স্বামীর কথা অনুযায়ী ঘটনার দিন দুপুরে বারোবাজার বাসস্টান্ডে আসে। সে সময় সেখানে দাড়িয়ে থাকা বাবা’র বাড়ির পাশ^বর্তি তেতুলবাড়িয়া গ্রামের তিন যুবক মথুরাপুর পৌছে দেবে বলে ওই সড়কে চলাচলকারী গড়াই পরিবহনে তুলে যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুল ৪দিক আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরমধ্যে প্রধান আসামি পিয়াস শাপলা পরিবহনের সুপারভাইজার। পরে মেয়েটিকে তারা ছেড়ে দিলে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। তখন নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধু কে মামলা না দিতে চাপ দিতে থাকে। পরে ওই গৃহবধুূ নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পিয়াস, তরু, রাকিব ও তরিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মকলেচুজ্জামান জানান, মামলার প্রধান আসামি পিয়াসকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।