চুয়াডাঙ্গায় মতবিনিময়কালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

জঙ্গিবাদকে রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই
নিউজ ডেস্ক:সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ চাইতে জানে না। আপনাদের চাওয়া খুব কম। তারপরও আপনাদের প্রত্যেকটি দাবিই বাস্তবায়ন করা হবে। সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অডিটোরিয়ামের প্রয়োজনিতা অপরিসীম। আগেরবার এখানে এসে দেখি চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির জন্য তো জমিই নেই। যাহোক চুয়াডাঙ্গাতে শিল্পকলার ভবন নির্মাণের জন্য নতুন জায়গা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক সাহেব অনেক কষ্টে শহরের মধ্যেই জমির ব্যবস্থা করেছেন। প্রস্তাব পাঠালে, সেটি অনুমোদিত হয়ে অতিদ্রুতই সেখানে নতুন শিল্পকলা ভবন নির্মাণ করা হবে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে সাংবাদিক, সুধীবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া হচ্ছে সাংস্কৃতিক চর্চার রাজধানী। এক সময় সেই বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মধ্যে ছিল চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গাতেও সাংস্কৃতিক চর্চা হয়। এই চর্চাকে আরও গতিশীল করতে হবে। জঙ্গিবাদকে রুখতে হলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি-বিজরিত আটচালা ঘর রয়েছে। সেখানে নজরুল একাডেমি নির্মাণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা পরিচিতি পাক, জাতীয় কবির স্মরণীয় স্থান হিসেবে। ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমি ৫ লাখ টাকা অনুদানের কথা ইতিমধ্যেই বলেছি।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আরও বলেন, আপনারা একটি তিনদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব করেন। রবিন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত, যাত্রাপালাসহ সব থাকবে এ উৎসবে। বিশেষ বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান করতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আপনাদের পাশে থাকবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনের যারা আছেন, অস্বচ্ছদের আগেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। আমি ডিসি সাহেবকে বলেছি, আরও ৫০জনের নাম পাঠাতে। অতিদ্রুতই তাদেরকেও সহযোগিতা করা হবে। আমি চুয়াডাঙ্গাতে আবারো আসবো।

এসময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ ইয়া খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম।

অরিন্দম সাংস্কৃতি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ডালিম, বেতার শিল্পী তুহিনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁদের কথা তুলে ধরেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অরিন্দম, আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় মতবিনিময়কালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

জঙ্গিবাদকে রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই
নিউজ ডেস্ক:সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ চাইতে জানে না। আপনাদের চাওয়া খুব কম। তারপরও আপনাদের প্রত্যেকটি দাবিই বাস্তবায়ন করা হবে। সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অডিটোরিয়ামের প্রয়োজনিতা অপরিসীম। আগেরবার এখানে এসে দেখি চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির জন্য তো জমিই নেই। যাহোক চুয়াডাঙ্গাতে শিল্পকলার ভবন নির্মাণের জন্য নতুন জায়গা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক সাহেব অনেক কষ্টে শহরের মধ্যেই জমির ব্যবস্থা করেছেন। প্রস্তাব পাঠালে, সেটি অনুমোদিত হয়ে অতিদ্রুতই সেখানে নতুন শিল্পকলা ভবন নির্মাণ করা হবে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে সাংবাদিক, সুধীবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া হচ্ছে সাংস্কৃতিক চর্চার রাজধানী। এক সময় সেই বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মধ্যে ছিল চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গাতেও সাংস্কৃতিক চর্চা হয়। এই চর্চাকে আরও গতিশীল করতে হবে। জঙ্গিবাদকে রুখতে হলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি-বিজরিত আটচালা ঘর রয়েছে। সেখানে নজরুল একাডেমি নির্মাণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা পরিচিতি পাক, জাতীয় কবির স্মরণীয় স্থান হিসেবে। ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমি ৫ লাখ টাকা অনুদানের কথা ইতিমধ্যেই বলেছি।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আরও বলেন, আপনারা একটি তিনদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব করেন। রবিন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত, যাত্রাপালাসহ সব থাকবে এ উৎসবে। বিশেষ বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান করতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আপনাদের পাশে থাকবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনের যারা আছেন, অস্বচ্ছদের আগেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। আমি ডিসি সাহেবকে বলেছি, আরও ৫০জনের নাম পাঠাতে। অতিদ্রুতই তাদেরকেও সহযোগিতা করা হবে। আমি চুয়াডাঙ্গাতে আবারো আসবো।

এসময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ ইয়া খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম।

অরিন্দম সাংস্কৃতি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ডালিম, বেতার শিল্পী তুহিনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁদের কথা তুলে ধরেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অরিন্দম, আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।