দামুড়হুদার ইউপি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্বপালনে চার সাংবাদিকের অনুমতি প্রার্থনা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

কেন্দ্রে ঢুকতে দিলেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট!

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদায় উপজেলার দুটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিকদের একটি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার বলে ওই চারজন সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত ভোট কেন্দ্রের গেটে এই ঘটনা ঘটে বলে ওই চারজন সাংবাদিক এ প্রতিবেদককে জানান।

দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা সংবাদদাতা মুনিরুজ্জামান ধীরু অভিযোগ করে জানান, ‘শনিবার উপজেলার নতিপোতা ও নাটুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল। আমরা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট হতে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ কার্ডপ্রাপ্ত হয়ে এদিন সকাল থেকেই পেশাগত দায়িত্বপালনের জন্য নাটুদহ ও নতিপোতা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করি।

আমরা সর্বশেষ পরিদর্শনের জন্য সন্ধ্যা ৬টার সময় নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে পৌছাই। এসময় আমার সঙ্গে ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি আওয়াল হোসেন, মাইটিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি ইকরামুল হক পিপুল ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার দামুড়হুদা সংবাদদাতা সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন।

আমরা চারজন সাংবাদিকই পেশাগত দায়িত্বপালনের জন্য গলায় পর্যবেক্ষণ কার্ড ঝুলিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে বলে আমাদের জানান। আমরা তখন পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের কাছে ভোটের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কেন্দ্রে প্রবেশ প্রয়োজন জানিয়ে বার্তা পাঠাই।

বার্তা পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে আমাদের জানান, ‘কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ করার কোনো প্রয়োজন নেই।’ তারপরেও আমরা দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেও তা তিনি নাকচ করে দেন।

এবিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশ করার কোনো আইন নেই। বিষয়টি আপনারা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে নেবেন।’ পরে এবিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনী ও রির্টানিং অফিসার এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস কথা বললে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্বপালনের জন্য পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, এতে কোনো বাধা নেই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দামুড়হুদার ইউপি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্বপালনে চার সাংবাদিকের অনুমতি প্রার্থনা

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

কেন্দ্রে ঢুকতে দিলেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট!

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদায় উপজেলার দুটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিকদের একটি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার বলে ওই চারজন সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত ভোট কেন্দ্রের গেটে এই ঘটনা ঘটে বলে ওই চারজন সাংবাদিক এ প্রতিবেদককে জানান।

দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা সংবাদদাতা মুনিরুজ্জামান ধীরু অভিযোগ করে জানান, ‘শনিবার উপজেলার নতিপোতা ও নাটুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল। আমরা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট হতে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ কার্ডপ্রাপ্ত হয়ে এদিন সকাল থেকেই পেশাগত দায়িত্বপালনের জন্য নাটুদহ ও নতিপোতা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করি।

আমরা সর্বশেষ পরিদর্শনের জন্য সন্ধ্যা ৬টার সময় নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে পৌছাই। এসময় আমার সঙ্গে ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি আওয়াল হোসেন, মাইটিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি ইকরামুল হক পিপুল ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার দামুড়হুদা সংবাদদাতা সুকমল চন্দ্র দাস বাঁধন।

আমরা চারজন সাংবাদিকই পেশাগত দায়িত্বপালনের জন্য গলায় পর্যবেক্ষণ কার্ড ঝুলিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে বলে আমাদের জানান। আমরা তখন পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের কাছে ভোটের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কেন্দ্রে প্রবেশ প্রয়োজন জানিয়ে বার্তা পাঠাই।

বার্তা পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে আমাদের জানান, ‘কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ করার কোনো প্রয়োজন নেই।’ তারপরেও আমরা দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেও তা তিনি নাকচ করে দেন।

এবিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশ করার কোনো আইন নেই। বিষয়টি আপনারা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে নেবেন।’ পরে এবিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনী ও রির্টানিং অফিসার এমএজি মোস্তফা ফেরদৌস কথা বললে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্বপালনের জন্য পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, এতে কোনো বাধা নেই।’