শিরোনাম :
Logo মৃত্যুদণ্ড বজায় রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন Logo সিরাজদিখানে মরহুম হাজী জয়নাল আবেদীন মাষ্টার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে খুবিতে প্রকৌশল অধিকার দাবিতে মানববন্ধন Logo চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবাসফেরত ইসমাইল হোসেন Logo চিত্রা-নড়াইল জেলা ছাত্রকল্যাণ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে আরমান ও বোরহান Logo চাঁদপুর সদরের জনবান্ধব ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে লক্ষ্মীপুরের এডিসি পদে বদলী Logo বেরোবিতে ভর্তি পরীক্ষার আসন বরাদ্দে অনিময়ের অভিযোগ ; প্রশাসন বলছে শিক্ষার্থীদের বুঝার ভুল Logo প্রকাশিত হয়েছে কবি ও কথাসাহিত্যিক নুরুন্নাহার মুন্নির সাহিত্য পত্রিকা ‘আখ্যান’ Logo পলাশবাড়ী পৌর এলাকায় জমি জবর দখলের অভিযোগ Logo প্রবাসফেরত ইসমাইলের পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি নেতা ডা. আরিফুল ইসলাম

পলাশবাড়ীতে পানির নিচে ডুবে আছে কৃষকের স্বপ্ন জরুরী ভিত্তিতে উপজেলার ১০০% কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার দাবী

  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

“সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা”। আজ চাষারা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। স্বপ্ন বুঁনতে ভুলে গেছে। বাকরুদ্ধ পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকদের একটু শান্তনা দেবারও কেউ নেই।

উপজেলা কৃষি অফিসের তো এদের দিকে তাকানোর সময়ই নেই। কৃষকেরা বাপ দাদার শিখানো পদ্ধতিতে এখনও চাষ- আবাদ করলেও সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত উপজেলার ৭৫ শতাংশ কৃষক। কে তাকেবে এদের দিকে?

এই দুযোগ মহুর্তে পলাশবাড়ী উপজেলার ১০০% কৃষকই বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন, তাই উপজেলার কৃষকদের ঘুরে দাড়ানোর জন্য কৃষি প্রণোদনা জরুরী ভিত্তিতে  প্রয়োজন। 

এই প্রণোদনা না দিলে পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা ধার- দেনায় জর্জরিত হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়বে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুুতি নিতে হবে নতুন করে ধানের বীজ- তলা তৈরিতে। চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। 

কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের সংসারই চলছে না,  এসব জমি তৈরির কাজ করবে কি দিয়ে। সে চিন্তায় কৃষকেরা পাগল প্রায়। রবি শস্যের জন্য উচু জমিতে চাষ দেওয়া, সার বীজ ক্রয় করা খুব কস্ট সাধ্য হয়ে পড়বে উপজেলার কৃষকদের। 

তাই এদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কৃষি প্রণোদনা ব্যাংক কিংবা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে দেওয়া যেন না হয়। কৃষি প্রণোদনা দিতে হবে এনজিওর মাধ্যমে তাহলে সঠিক কৃষকই সঠিক ভাবে সরকারী সাহায্যে সহযোগিতা পাবে বলে সচেতন মানুষ মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা করা হয় তা যতৎ সামান্য। 

 কৃষকদের ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও ঐ একই অবস্থা। সার বীজ বিতরণে প্রকৃত কৃষক বঞ্চিত হয়। এমন অভিযোগ উপজেলার শত শত কৃষকদের।  এই দুযোগে কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুদণ্ড বজায় রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

পলাশবাড়ীতে পানির নিচে ডুবে আছে কৃষকের স্বপ্ন জরুরী ভিত্তিতে উপজেলার ১০০% কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার দাবী

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৩৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

“সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা”। আজ চাষারা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। স্বপ্ন বুঁনতে ভুলে গেছে। বাকরুদ্ধ পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকদের একটু শান্তনা দেবারও কেউ নেই।

উপজেলা কৃষি অফিসের তো এদের দিকে তাকানোর সময়ই নেই। কৃষকেরা বাপ দাদার শিখানো পদ্ধতিতে এখনও চাষ- আবাদ করলেও সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত উপজেলার ৭৫ শতাংশ কৃষক। কে তাকেবে এদের দিকে?

এই দুযোগ মহুর্তে পলাশবাড়ী উপজেলার ১০০% কৃষকই বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন, তাই উপজেলার কৃষকদের ঘুরে দাড়ানোর জন্য কৃষি প্রণোদনা জরুরী ভিত্তিতে  প্রয়োজন। 

এই প্রণোদনা না দিলে পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা ধার- দেনায় জর্জরিত হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়বে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুুতি নিতে হবে নতুন করে ধানের বীজ- তলা তৈরিতে। চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। 

কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের সংসারই চলছে না,  এসব জমি তৈরির কাজ করবে কি দিয়ে। সে চিন্তায় কৃষকেরা পাগল প্রায়। রবি শস্যের জন্য উচু জমিতে চাষ দেওয়া, সার বীজ ক্রয় করা খুব কস্ট সাধ্য হয়ে পড়বে উপজেলার কৃষকদের। 

তাই এদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কৃষি প্রণোদনা ব্যাংক কিংবা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে দেওয়া যেন না হয়। কৃষি প্রণোদনা দিতে হবে এনজিওর মাধ্যমে তাহলে সঠিক কৃষকই সঠিক ভাবে সরকারী সাহায্যে সহযোগিতা পাবে বলে সচেতন মানুষ মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা করা হয় তা যতৎ সামান্য। 

 কৃষকদের ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও ঐ একই অবস্থা। সার বীজ বিতরণে প্রকৃত কৃষক বঞ্চিত হয়। এমন অভিযোগ উপজেলার শত শত কৃষকদের।  এই দুযোগে কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে।