শিরোনাম :
Logo নির্দোষ মানুষ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শিক্ষার মান উন্নয়নে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের পরিদর্শন Logo ১০ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ছাড়লেন অবরোধকারী শিক্ষকরা Logo জাবি ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ফের বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি Logo পঞ্চগড়ের আটোয়ারী আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক বৌমা ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ Logo জামাত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সিরাজগঞ্জে পেঁপে চাষে সাফল্যের মুখে রাসেল! Logo বীরগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পোনা মাছ অবমুক্তকরন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের কক্সবাজার- টেকনাফ সড়ক অবরোধ”

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয় জানতে ফের আদালতের রুল জারি

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে ফের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে আদালত।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনীত সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ঐসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান। আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ ইজাত কবির। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্দোষ মানুষ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয় জানতে ফের আদালতের রুল জারি

আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে ফের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে আদালত।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনীত সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ঐসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান। আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ ইজাত কবির। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।