শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

দেড় মণ সোনাসহ দর্শনার কালু ও রাকিব আটক

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:০১:২১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ে ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৬শ’ পিস (৬০ কেজি) স্বর্ণের বারসহ দু’জনকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর ১টায় মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানাধীন সোনাপাহাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি পাজেরো মিটসুবিসি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের মৃত শহীদুল ইসলামের ছেলে রাকিব (৩৪) এবং একই এলাকার মোবারক পাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে করিম খান কালু (৩৪)।


চট্টগ্রামের (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলা রেজা জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় সোনাপাহাড় থেকে ঢাকামুখী ওই গাড়িটি আটক করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে সবাই দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গাড়ি তল্লাশি করে তেলের ট্যাংকির পাশ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় লুকানো অবস্থায় ৬০টি প্যাকেটে (প্রতি প্যাকেটে ১০টি করে) মোট ৬শ’ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) মো. আফরুজুল হক টুটুল, মীরসরাই সার্কেল এএসপি সামছুদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আটকৃকতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, দেড় মণ সোনার প্রকৃত মালিক কারা সে তথ্য উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। এই দেড় মণ সোনা পাচারের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়েকজন কারবারি জড়িত থাকতে পারে ধারণা করছে পুলিশ। এবিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

দেড় মণ সোনাসহ দর্শনার কালু ও রাকিব আটক

আপডেট সময় : ১১:০১:২১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ে ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৬শ’ পিস (৬০ কেজি) স্বর্ণের বারসহ দু’জনকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর ১টায় মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানাধীন সোনাপাহাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি পাজেরো মিটসুবিসি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের মৃত শহীদুল ইসলামের ছেলে রাকিব (৩৪) এবং একই এলাকার মোবারক পাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে করিম খান কালু (৩৪)।


চট্টগ্রামের (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলা রেজা জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় সোনাপাহাড় থেকে ঢাকামুখী ওই গাড়িটি আটক করে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে সবাই দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গাড়ি তল্লাশি করে তেলের ট্যাংকির পাশ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় লুকানো অবস্থায় ৬০টি প্যাকেটে (প্রতি প্যাকেটে ১০টি করে) মোট ৬শ’ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) মো. আফরুজুল হক টুটুল, মীরসরাই সার্কেল এএসপি সামছুদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আটকৃকতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, দেড় মণ সোনার প্রকৃত মালিক কারা সে তথ্য উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। এই দেড় মণ সোনা পাচারের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়েকজন কারবারি জড়িত থাকতে পারে ধারণা করছে পুলিশ। এবিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা গেছে।