শিরোনাম :
Logo ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা Logo বীরগঞ্জে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বীরগঞ্জের দুই বোন মণি ও মুক্তার ১৭ তম জন্মদিন আজ ২২ আগষ্ট Logo চীনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন রাবি শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম রিদয় Logo লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রবাসী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লার পিতা- মাতার মাগফেরাত কামনায় দোয়া Logo চৌহালীতে খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তায় সরকারি ৩৫ বস্তা চাল উদ্ধার Logo যবিপ্রবির নাম-লোগো সম্বলিত ফেসবুক পেজ বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ Logo পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি মামুনুর রশীদ, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ইউসুফ মিয়াজী Logo কুবি শিক্ষার্থীকে ‘ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ; গ্রেফতার ২, পলাতক ৩ Logo চাঁদপুর তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ

মাটির নিচে বিলাসবহুল জীবনযাপন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গুহাতে মানুষের বসবাসের কথা সবারই জানা। মানুষ সভ্য জগতে পা রাখার আগে গুহাতে বাস করত। এছাড়া মানুষ বিপদে পরে মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছে কখনও কখনও। বিশেষ করে যুদ্ধের সময়। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মধ্য মরুভূমিতে আনুমানিক হাজারেরও উপরে মানুষ মাটির নিচে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে।

মরুভূমি যেখানে বসবাসের জন্য পুরোপুরি অনুপযোগী সেখানে প্রায় ৩,৫০০ জন মানুষ একসাথে বাস করছে মাটির নিচে। শুধু তাই নয়, সেখানে ৪৫ রকমের ভিন্ন ভিন্ন জাতির মানুষ থাকছেন একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে। পুরো শহর একটি গর্তের মধ্যে যেন লুকিয়ে আছে।

‘কুবার পেডি’ ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বে। এটাই সেই বিখ্যাত গর্তের শহর। দেশীয় এরাবানা ভাষায় ‘কুপা পিটি’ বলা হয় একে। যার অর্থ ‘গর্তের মধ্যে সাদা মানুষ’। উইলি হাটছিসনের বয়স যখন ১৪ তখন থেকে সে সোনা খোঁজার জন্য এই এলাকা খুঁড়তে থাকে। ১৯১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক সোমবারে সে একটি ‘ওপাল’ খুঁজে পায়। এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ওপাল। তবে এই এলাকায় পৃথিবীর অন্যান্য এলাকার চেয়ে সবচেয়ে বড় বড় ওপাল পাওয়া যায়। ওপাল আসলে একটি দামী পাথর। যেটা অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মরুভূমির অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডার কারণে মাটির নিচে বসতি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে সারা বছর গড়ে তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সে. থাকে। প্রথমে বসতি নির্মাণকারীরা একটা রুম খুঁড়েছিল। কিন্তু যেই তারা ঘরটা বড় করতে গেলেন ঠিক ওই সময়ে দেয়ালের গায়ে ওপালের জ্বলজ্বলে আলো তাদের আকৃষ্ট করে। এর পরে তারা আরো খুঁড়তে থাকে। এবং এভাবে তারা ১০টি ঘরের সমান জায়গা করে ফেলে। এখন এই শহরে হোটেলসহ একটি গির্জাও আছে। সব কিছু অনেক সুন্দর করে আসবাব পত্রে সুসজ্জিত।

এখানকার হোটেল ৪ তারকা বিশিষ্ট মর্যাদা সম্পন্ন। এর সাথে বারতি পাওনা হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে অসাধারণ ওপালের গ্যালারী। এখানকার বসবাসকারীরা চাইলেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সুরঙ্গ খুঁড়তে পারবে। এই মরুভূমির গুহার দেয়াল অনেক মজবুত করে গড়ে তোলা।

অনেকের বাসা এতটাই বড় যে এগুলো একেকটা ৪৫০ বর্গ মিটার গভীরে বিস্তৃত। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন। স্বাদ নিয়ে আসতে পারেন মাটির নিচে বসবাসের। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে। সেখান এডেলেড থেকে কুবার পেডি যাওয়ার জন্য এয়ারলাইন সার্ভিস আছে। এই যাত্রায় যাওয়া-আসার খরচ হবে ১৯০ ইউরো। ‘ডেজার্ট কেভ হোটেল’ এ থাকার ব্যবস্থা করতে পারবেন। এতে প্রতি রাতে ডাবল বেড এর জন্য খরচ হবে সর্বনিম্ন ১০৯ ইউরো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা

মাটির নিচে বিলাসবহুল জীবনযাপন !

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গুহাতে মানুষের বসবাসের কথা সবারই জানা। মানুষ সভ্য জগতে পা রাখার আগে গুহাতে বাস করত। এছাড়া মানুষ বিপদে পরে মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছে কখনও কখনও। বিশেষ করে যুদ্ধের সময়। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মধ্য মরুভূমিতে আনুমানিক হাজারেরও উপরে মানুষ মাটির নিচে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে।

মরুভূমি যেখানে বসবাসের জন্য পুরোপুরি অনুপযোগী সেখানে প্রায় ৩,৫০০ জন মানুষ একসাথে বাস করছে মাটির নিচে। শুধু তাই নয়, সেখানে ৪৫ রকমের ভিন্ন ভিন্ন জাতির মানুষ থাকছেন একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে। পুরো শহর একটি গর্তের মধ্যে যেন লুকিয়ে আছে।

‘কুবার পেডি’ ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বে। এটাই সেই বিখ্যাত গর্তের শহর। দেশীয় এরাবানা ভাষায় ‘কুপা পিটি’ বলা হয় একে। যার অর্থ ‘গর্তের মধ্যে সাদা মানুষ’। উইলি হাটছিসনের বয়স যখন ১৪ তখন থেকে সে সোনা খোঁজার জন্য এই এলাকা খুঁড়তে থাকে। ১৯১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক সোমবারে সে একটি ‘ওপাল’ খুঁজে পায়। এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ওপাল। তবে এই এলাকায় পৃথিবীর অন্যান্য এলাকার চেয়ে সবচেয়ে বড় বড় ওপাল পাওয়া যায়। ওপাল আসলে একটি দামী পাথর। যেটা অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মরুভূমির অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডার কারণে মাটির নিচে বসতি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে সারা বছর গড়ে তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সে. থাকে। প্রথমে বসতি নির্মাণকারীরা একটা রুম খুঁড়েছিল। কিন্তু যেই তারা ঘরটা বড় করতে গেলেন ঠিক ওই সময়ে দেয়ালের গায়ে ওপালের জ্বলজ্বলে আলো তাদের আকৃষ্ট করে। এর পরে তারা আরো খুঁড়তে থাকে। এবং এভাবে তারা ১০টি ঘরের সমান জায়গা করে ফেলে। এখন এই শহরে হোটেলসহ একটি গির্জাও আছে। সব কিছু অনেক সুন্দর করে আসবাব পত্রে সুসজ্জিত।

এখানকার হোটেল ৪ তারকা বিশিষ্ট মর্যাদা সম্পন্ন। এর সাথে বারতি পাওনা হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে অসাধারণ ওপালের গ্যালারী। এখানকার বসবাসকারীরা চাইলেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সুরঙ্গ খুঁড়তে পারবে। এই মরুভূমির গুহার দেয়াল অনেক মজবুত করে গড়ে তোলা।

অনেকের বাসা এতটাই বড় যে এগুলো একেকটা ৪৫০ বর্গ মিটার গভীরে বিস্তৃত। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন। স্বাদ নিয়ে আসতে পারেন মাটির নিচে বসবাসের। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে। সেখান এডেলেড থেকে কুবার পেডি যাওয়ার জন্য এয়ারলাইন সার্ভিস আছে। এই যাত্রায় যাওয়া-আসার খরচ হবে ১৯০ ইউরো। ‘ডেজার্ট কেভ হোটেল’ এ থাকার ব্যবস্থা করতে পারবেন। এতে প্রতি রাতে ডাবল বেড এর জন্য খরচ হবে সর্বনিম্ন ১০৯ ইউরো।