নিউজ ডেস্ক:
শেষ বলে ম্যাচ জিততে ১ রান প্রয়োজন ছিলো ভারতের। বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে ১ রান নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান কেদার যাদব। ফলে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের শিরোপা জিতে নেয় ভারত। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ২২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লিটন ১১৭ বলে ১২১ রান করেন। জবাবে ৫০ ওভার ৭ উইকেটে ২২৩ রান করে ম্যাচ জিতে ভারত।
দুবাইয়ে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে টস ভাগ্যে হেরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট হাতে নেমে দলকে দারুন সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ফাইনালের আগে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের উদ্বোধণী ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ রান ছিলো ১৬। তাই লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান মেহেদিকে দিয়ে জুয়া খেলার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তাতে সফলও হয় বাংলাদেশ।
লিটনের সাথে জুটি বেঁেধ বড় সংগ্রহই এনে দেন মিরাজ। মিরাজ ধীরলয়ে থাকলেও মারমুখী মেজাজে ছিলেন লিটন। তাই ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। এসময় লিটনের রান ছিলো ২৬ বলে ৪১। অন্যপ্রান্তে ২২ বলে ১৫ রান মিরাজের।
১২তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারির সহায়তায় ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ৩৩ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার এক বল পরই জীবন পান তিনি। ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন লিটন। সেই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন মিড উইকেটে থাকা ভারতের যুজবেন্দ্রা চাহাল। ফলে ৫২ রানে জীবন পান লিটন।
জীবন পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকাননি লিটন। বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন তিনি। তাই বিনা উইকেটে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর শতরানে পৌঁছে যায়। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে ১শ রান পায় বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর ও ২৭ ওয়ানডের পর উদ্বোধণী জুটিতে শতরান পেল টাইগাররা।
তবে ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে বিচ্ছিন্ন হতে হয় লিটন ও মিরাজকে। ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পারদর্শী ভারতের অফ-স্পিনার কেদার যাদব বিদায় দেন মিরাজকে। ৩টি চারে ৫৯ বলে ৩২ রান তুলে মিরাজ আউট হলে ১২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ম্যাচে ভাল একটা শুরুর জন্য ক্ষুধার্ত ছিলো বাংলাদেশ শিবির। আজ বাংলাদেশের ক্ষুদা মিটিয়েছেন লিটন ও মিরাজ। তাই দেখার পালা ছিলো এই উড়ন্ত সূচনাটাকে ধরে রেখে কত দূর যেতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু না, উড়ন্ত শুরুর পরও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ২২২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ শেষ ৯ উইকেটে ১০২ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ।
তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ভারতের লেগ-স্পিনার চাহালের বলে লেগ বিফোর হন ইমরুল কায়েস। ১২ বলে ২ রান করেন তিনি। উইকেটে গিয়ে বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবারের আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্যে প্রদর্শন করা মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ভারতের ব্রেক-থ্রু ম্যান কেদারের বুদ্ধিদীপ্ত ডেলিভারিরর ফাঁেদ পান দেন মুশি। ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যচ হয়ে ফিরেন তিনি। ৯ বলে ৫ রান করেন মুশফিকুর।
আগের ম্যাচে মুশফিকুরের সাথে ১৪৪ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়া মোহাম্মদ মিথুন এবার ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনতে। লিটনের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁেদ পড়েন মিথুন। ৪ বলে ২ রান নামের পাশে রাখতে সক্ষম হন মিথুন।
মিথুনের ফিরে যাবার কিছুক্ষন বাদেই সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লিটন। ৮৬তম বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। দলের মিডল-অর্ডার যখন যাওয়ার আসার মিছিল শুরু করেন ঐ সময় দলের রানের চাকা ঘুড়াচ্ছিলেন লিটন।
তাই লিটনকে সঙ্গ দেয়ার জন্য ঐ সময় যোগ্য সঙ্গীর প্রয়োজন ছিলো। এমন পরিস্থিতিতে অতীতে ব্যাট হাতে নিজের কারিশমা দেখিয়েছিলেন মাহমুুদুল্লাহ। তাই এবারও তার কাছে প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু এবার ব্যর্থতা হলেন তিনি। ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের পাশে ক্যাচ দিয়ে নিজের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন মাহমুদুুল্লাহ। ১৬ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
মাহমুদুল্লাহ যখন বিদায় নেন তখন দলের স্কোর ৫ উইকেটে ১৫১ রান। এ অবস্থাতেও বড় স্কোর গড়ার ভালো সুযোগ ছিলো টাইগারদের। তাই সৌম্য সরকারকে নিয়ে ভালো একটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন। মিরাজের পর আগের চার জুটির সাথে ৮,৯,২ ও ১২ রান যোগ করতে পারেন লিটন।
তবে সৌম্যকে নিয়ে ধীরলয়ে ৩৭ রান যোগ করতে পারেন লিটন। যখন দু’জনের বোঝাপড়াটা ভালো হচ্ছিল ঠিক তখনই বিদায় নিতে হলো লিটনকে। থার্ড-আম্পায়ার স্টাম্প আউট ঘোষনা করেন লিটনকে। ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৭ বলে ১২১ রান করেন লিটন।
১৮৮ রানে লিটনের বিদায়ের পর শেষদিকে সৌম্য দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন। ২২২ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সৌম্য আউট হবার পরই ঐ স্কোরেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তখনও ইনিংসে ৯ বল বাকী ছিলো। ১টি করে চার ও ছক্কায় ৪৫ বলে ৩৩ রান করেন সৌম্য। ভারতের কুলদীপ ৩টি ও কেদার ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২২৩ রানের খেলতে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। প্রথম ৪ ওভারে ২৪ রান যোগ করেন এই দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারের প্রথম তিন বল থেকে ১১ রানও নিয়ে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন রোহিত ও ধাওয়ান। তবে ঐ ওভারের চতুর্থ ধাওয়ানের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ান বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। মিড-অফে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩টি চারে ১৪ বলে ১৫ রান করেন ধাওয়ান।
তিন নম্বরে নামা আম্বাতি রাইদুকে ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। ৭ বলে ২ রান করে ফিরেন রাইদু। দলীয় ৪৫ রানে রাইদুকে হারানোর পর দিনেশ কার্তিককে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার রোহিত। দেখেশুনে খেলতে থাকেন রোহিত ও কার্তিক। ফলে দলীয় সংগ্রহ শতরানের দিকে এগিয়ে যায় ভারতের। তবে দলীয় ৮৩ রানে রোহিতকে শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরার সুযোগ করে দেন রুবেল হোসেন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৮ রান করেন রোহিত।
অধিনায়ককে হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁেধন কার্তিক ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে নেয়ার চেষ্টা করেন কার্তিক ও ধোনি। নিজেদের পরিকল্পনায় সফলও হন তারা। উইকেটে সাথে মানিয়ে নিয়ে সহজেই রান জড়ো করছিলেন কার্তিক ও ধোনি। তাই এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরাতে অস্থির হয়ে উঠেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। শেষমেষ মাহমুদুল্লাহ’র অধিনায়ককে চিন্তা মুক্ত করেন। কার্তিককে লেগ বিফোর ফাঁেদ ফেলেন মাহমুুদুল্লাহ। ১টি করে চার ছক্কায় ৬১ বলে ৩৭ রান করেন কার্তিক।
কার্তিককে তুলে নিয়েই দমে যায়নি বাংলাদেশ। মিডল-অর্ডারে ভারতের প্রধান ভরসা ধোনিকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার ডেলিভারিতে ধোনিকে বোকা বানান ফিজ। ৩টি বাউন্ডারিতে ৬৭ বলে ৩৬ রান করেন ধোনি। ফলে ১৬০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত।
ধোনিকে বিদায়ের কিছুক্ষণ পর পায়ের ইনজুরিতে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন কেদার যাদব। ফলে লোয়ার-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান রবীন্দ্র জাদেজা ও ভুবেনশ্বর কুমার লড়াই শুরু করেন। বাংলাদেশ বোলারদের সামনে নিজেদের সেরাটা দেয়া চেষ্টা করেন তারা। সিঙ্গেলসের উপরই বেশি নির্ভর করেন জাদেজা ও ভুবেনশ্বর। ফলে ম্যাচ জয়ের পথেই হাটতে থাকে ভারত। শেষ ৪ ওভারে ১৮ রান দরকার পড়ে টিম ইন্ডিয়ার।
৪৭তম ওভারে ৫ রান তুলে নিয়ে ভারতকে জয়ের পথেই রাখেন জাদেজা ও ভুবেনশ্বর। তবে ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জাদেজাকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্র্রু এনে দেন ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। ১টি চারে ৩৩ বলে ২৩ রান করেন জাদেজা।
এরপর ব্যাট হাতে নামেন ২০ বলে ১৯ রান নিয়ে আহত অবসর নেয়া যাদব। তবে ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ভুবেনশ্বরকে তুলে নিয়ে দারুনভাবে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান মুস্তাফিজুর। ঐ ওভারে মাত্র ৩ রান দেন ফিজ। এতে শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন পড়ে ভারতের।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে আসেন মাহমুদুল্লাহ। প্রথম দু’বল থেকে ২ রান নেন যাদব ও কুলদীপ। তৃতীয় বলে ২ রান নেন কুলদীপ। চতুর্থ বলে কোন রান দেননি মাহমুদুল্লাহ। ফলে শেষ দুই বলে ২ রান দরকার পড়ে ভারতের। পঞ্চম বলে ১ রান নেন কুলদীপ। এরপর শেষ বলে ১ রান নিয়ে ভারতকে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন যাদব। ১টি চার ও ছক্কায় ২৭ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন যাদব। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইবেট নেন মুস্তাফিজুর ও রুবেল এবং ১টি করে উইকেট নেন নাজমুল-মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের লিটন। সিরিজ সেরা হন ভারতের ধাওয়ান।
স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ ইনিংস :
লিটন দাস স্টাম্প ধোনি ব কুলদীপ ১২১
মেহেদি হাসান ক রাইদু ব যাদব ৩২
ইমরুল এলবিডব্লু ব চাহাল ২
মুশফিকুর রহিম ক বুমরাহ ব যাদব ৫
মোহাম্মদ মিথুন রান আউট (জাদেজা) ২
মাহমুদুল্লাহ ক বুমরাহ ব কুলদীপ ৪
সৌম্য সরকার রান আউট (রাইদু/ধোনি) ৩৩
মাশরাফি বিন স্টাাম্প ধোনি ব কুলদীপ ৭
নাজমুল রান আউট (মনীষ) ৭
মুস্তাফিজুর অপরাজিত ২
রুবেল হোসেন বোল্ড ব বুমরাহ ০
অতিরিক্ত (লে বা-২, ও-৫) ৭
মোট : (অলআউট, ৪৮.৩ ওভার) ২২২
উইকেট পতন : ১/১২০ (মিরাজ), ২/১২৮ (ইমরুল), ৩/১৩৭ (মুশফিকুর), ৪/১৩৯ (মিথুন), ৫/১৫১ (মাহমুদুল্লাহ), ৬/১৮৮ (লিটন), ৭/১৯৬ (মাশরাফি), ৮/২১৩ (নাজমুল), ৯/২২২ (সৌম্য), ১০/২২২ (রুবেল)।
ভারত বোলিং :
ভুবেনশ্বর : ৭-০-৩৩-০ (ও-১),
বুমরাহ : ৮.৩-০-৩৯-১ (ও-১),
চাহাল : ৮-১-৩১-১ (ও-১),
কুলদীপ : ১০-০-৪৫-৩,
জাদেজা : ৬-০-৩১-০,
যাদব : ৯-০-৪১-২ (ও-১)।
ভারত ব্যাটিং :
রোহিত ক নাজমুল ব রুবেল ৪৮
ধাওয়ান ক সৌম্য ব নাজমুল ১৫
রাইদু ক মুশফিকুর ব মাশরাফি ২
কার্তিক এলবিডব্লু ব মাহমুুদুল্লাহ ৩৭
ধোনি ক মুশফিকুর ব মুস্তাফিজুর ৩৬
কেদার যাদব অপরাজিত ২৩
জাদেজা ক মুশফিকুর ব রুবেল ২৩
ভুবেনশ্বর ক মুশফিকুর ব মুস্তাফিজুর ২১
কুলদীপ অপরাজিত ৫
অতিরিক্ত (বা-১, লে বা-৭, ও-৫) ১৩
মোট : (৭ উইকেট, ৫০ ওভার) ২২৩
উইকেট পতন : ১/৩৫ (ধাওয়ান), ২/৪৬ (রাইদু), ৩/৮৩ (রোহিত), ৪/১৩৭ (কার্তিক), ৫/১৬০ (ধোনি), ৫/১৬৭ (যাদব আহত অবসর), ৬/২১২ (জাদেজা ), ৭/২১৪ (ভুবেনশ্বর)।
বাংলাদেশ বোলিং :
মিরাজ : ৪-০-২৭-০,
মুস্তাফিজুর : ১০-০-৫৬-১,
নাজমুল : ১০-০-৫৬-১,
মাশরাফি : ১০-০-৩৫-১ (ও-২),
রুবেল : ১০-২-২৬-২ (ও-১),
মাহমুুদুল্লাহ : ৬-০-৩৩-১ (ও-২)।
ফল : ভারত ৩ উইকেট জয়ী।
ম্যাচ সেরা : লিটন দাস (বাংলাদেশ)।
সিরিজ সেরা : শিখর ধাওয়ান (ভারত)।