নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ২৫০ কিলোটন ক্ষমতা সম্পন্ন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি সরকারি ধারণার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
এ পরীক্ষার ফলে যে ভূকম্পন হয় রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৬.৩। বুধবার মার্কিন পর্যবেক্ষক গ্রুপ একথা জানায়। খবর এএফপি’র।
পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহে তাদের ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কথা উল্লেখ করে বলেছে, এটি ছিল একটি হাইড্রোজেন বোমা যা ক্ষেপণাস্ত্রে স্থাপন করা যায়। এ পরীক্ষার পরপরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের উচ্চকাঙ্ক্ষা নিয়ে উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে তীব্র হয়।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা জানায়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের এ পরীক্ষার ফলে যে ভূকম্পন হয় রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৬.৩।
যদিও কমপ্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিটিবিটিও) নরওয়ে’র সংস্থা এনওআরএসএআর জানায়, পারমাণবিক পরীক্ষার ফলে যে ভূকম্পন সৃষ্টি হয় রিখটার স্কেলে এর প্রাথমিক তীব্রতা ছিল ৬.১।
এর ফলে সংশ্লিষ্ট মার্কিন ওয়েবসাইট ৩৮ নর্থ জানায়, উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা চালানো পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা ছিল প্রায় ২৫০ কিলোটন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সেটির ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৫ কিলোটন। উত্তর কোরিয়ার এ পারমাণবিক অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওই পারমাণবিক বোমার তুলনায় প্রায় ১৬ গুণ বেশী ক্ষমতাসম্পন্ন।