সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু

ফাঁসিয়াখালীর গয়ালমারায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে শত শত নারী পুরুষের মানববন্ধন

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:০৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

ফরিদ উদ্দিন, লামা প্রতিনিধি: লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি গয়ালমারা এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- পিএইচপি রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, বাগান মালিক আবদুর রশিদ, নুরুল আমিন, নুরুল হুদা ও মাওলানা মো. মানিক প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে এলাকার মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে একটি সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যুগ যুগ ধরে গয়ালমারা এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গালীরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু ইদানিং কিছু পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে। সন্ত্রাসী গ্রুপটি প্রকাশ্যে নিরহ জনসাধারণ ও রাবার মালিকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দিলে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকির পাশাপাশি জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এমনকি গত তিন মাস আগে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা গয়ালমারা এলাকার এক তরুনীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় এলাকার জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। রাবার বাগান মালিকরা বাগান কার্যক্রম বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে অনেকেই চলে গেছে। এতে স্থানীয় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। বিধায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের নির্যাতনে হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গয়ালমারা এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, শুধু তাই নয়, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে টাকা পয়সা থেকে শুরু করে গরু ছাগল এমনকি চাল ডাল লবন পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

ফাঁসিয়াখালীর গয়ালমারায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে শত শত নারী পুরুষের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:০৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফরিদ উদ্দিন, লামা প্রতিনিধি: লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি গয়ালমারা এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- পিএইচপি রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, বাগান মালিক আবদুর রশিদ, নুরুল আমিন, নুরুল হুদা ও মাওলানা মো. মানিক প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে এলাকার মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে একটি সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপনের আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যুগ যুগ ধরে গয়ালমারা এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গালীরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু ইদানিং কিছু পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে। সন্ত্রাসী গ্রুপটি প্রকাশ্যে নিরহ জনসাধারণ ও রাবার মালিকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দিলে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকির পাশাপাশি জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এমনকি গত তিন মাস আগে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা গয়ালমারা এলাকার এক তরুনীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় এলাকার জনসাধারণ আতংকিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার লোকজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। রাবার বাগান মালিকরা বাগান কার্যক্রম বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে অনেকেই চলে গেছে। এতে স্থানীয় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। বিধায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের নির্যাতনে হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গয়ালমারা এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, শুধু তাই নয়, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে টাকা পয়সা থেকে শুরু করে গরু ছাগল এমনকি চাল ডাল লবন পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।