শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে ৫০ প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছে ছাদ কৃষিতে গৃহীনি জুথি’র সাফল্য

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৮১২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার ২য় তলা ভবনের ছাদে মনোরম ছাদকৃষি গড়ে তুলেছেন তহমিনা ইসলাম জুথি নামে এক গৃহীনি। দৃষ্টিনন্দন ফুল আর নানারকমের ফলের সম্ভারে দারুণ প্রশান্তি খুঁজে নিয়েছেন তিনি। কেউ গাছ লাগান শখে, কারো থাকে বহুমুখি প্রাপ্তির হিসাব। সবদিক বিবেচনায় ছাদকৃষি লাভজনক। উদ্যোম নিয়েই ৫ বছর ধরে ছাদকৃষি সাজাচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শহরের ব্যাপারীপাড়ার কুয়েত প্রবাসী সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী জুথি। তার দ্বিতল ভবনের ছাদে রয়েছে। ২স্তর বিশিষ্ট ছাদকৃষি। পরিস্কার ঝকঝকে। গাছপালার এই প্রাচুর্যে যত না মন আটকে যায় তার চেয়েও অনেক বেশি আকৃষ্ট হতে হয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায়। বাসভবনের গোড়াতেই ছিল তার ছাদকৃষির স্বপ্ন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম ও মেয়ে রুকাইয়া ইসলামের কাছ পেয়েছেন সবরকম সহযোগিতা। কৃষির উপযোগী করে সাজানো হয় আগে থেকেই। তারপর ভাললাগার সব ফল ফুলের এই কৃষিক্ষেত্র সাজিয়ে তুলছেন তিনি। তার সংগ্রহে রয়েছে কামরাঙ্গা, সরিফা, করমচা, আপেল কুল, বাউকুল, কাজুবাদামসহ প্রায় ৫০ টি প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ। সম্প্রতি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আছাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারসহ কৃষি কর্মকতারা তার ছাদ কৃষি পরিদর্শণ করেন।

এ ব্যাপারে ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত সকল প্রকার সহযোগীতা তাকে দেওয়া হচ্ছে। ছাদ কৃষি করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়। ছাদে মাত্র একবার মাচা তৈরি করে কয়েক বছর পর্যন্ত সবজি চাষ করা সম্ভব হয়। এতে তেমন কোনো সময় ও বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয় না। মওসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা যায় এবং ফলনও ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সংসারের জন্য বাড়তি আয়ও এনে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা পরিবারের জন্য বিষমুক্ত সবজির জোগান দেয়া সম্ভব। তাহমিনা ইসলাম জুথির এ সাফল্যকে অভিনন্দনও জানান তিনি। এ ব্যাপারে তাহমিনা ইসলাম জুথি বলেন, শহর জীবনে সুস্থ্য সুন্দর ও ভাল থাকতে হলে ভাবতে হবে শহরের পরিবেশের কথাও। নানা কারণে শহর যখন উষ্ণ হয়ে উঠছে তখন বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করলে পরিবেশ ভালো থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি আমাকে সহযোগিতা করেছে। নিজের লাগানো শতাধিক গাছের কাছে যখন আসি, মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। এই গাছ, গাছের ফল আমার পরম যতেœ বেড়ে ওঠা সন্তানের মতো। আমি আর আমার পরিবার এই বিষমুক্ত, অরগানিক খাবার খেয়ে স্বস্তি পাই। আমি আমার বাড়ির ছাদে আনার, কামরাঙ্গা, পেয়ারা ও বেদানাসহ ফলের গাছ লাগিয়েছি। যে কারণে আমার কোনো ফল বাজার থেকে কিনতে হয় না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঝিনাইদহে ৫০ প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছে ছাদ কৃষিতে গৃহীনি জুথি’র সাফল্য

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার ২য় তলা ভবনের ছাদে মনোরম ছাদকৃষি গড়ে তুলেছেন তহমিনা ইসলাম জুথি নামে এক গৃহীনি। দৃষ্টিনন্দন ফুল আর নানারকমের ফলের সম্ভারে দারুণ প্রশান্তি খুঁজে নিয়েছেন তিনি। কেউ গাছ লাগান শখে, কারো থাকে বহুমুখি প্রাপ্তির হিসাব। সবদিক বিবেচনায় ছাদকৃষি লাভজনক। উদ্যোম নিয়েই ৫ বছর ধরে ছাদকৃষি সাজাচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শহরের ব্যাপারীপাড়ার কুয়েত প্রবাসী সাহাজুল ইসলামের স্ত্রী জুথি। তার দ্বিতল ভবনের ছাদে রয়েছে। ২স্তর বিশিষ্ট ছাদকৃষি। পরিস্কার ঝকঝকে। গাছপালার এই প্রাচুর্যে যত না মন আটকে যায় তার চেয়েও অনেক বেশি আকৃষ্ট হতে হয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায়। বাসভবনের গোড়াতেই ছিল তার ছাদকৃষির স্বপ্ন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম ও মেয়ে রুকাইয়া ইসলামের কাছ পেয়েছেন সবরকম সহযোগিতা। কৃষির উপযোগী করে সাজানো হয় আগে থেকেই। তারপর ভাললাগার সব ফল ফুলের এই কৃষিক্ষেত্র সাজিয়ে তুলছেন তিনি। তার সংগ্রহে রয়েছে কামরাঙ্গা, সরিফা, করমচা, আপেল কুল, বাউকুল, কাজুবাদামসহ প্রায় ৫০ টি প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ। সম্প্রতি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আছাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারসহ কৃষি কর্মকতারা তার ছাদ কৃষি পরিদর্শণ করেন।

এ ব্যাপারে ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত সকল প্রকার সহযোগীতা তাকে দেওয়া হচ্ছে। ছাদ কৃষি করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়। ছাদে মাত্র একবার মাচা তৈরি করে কয়েক বছর পর্যন্ত সবজি চাষ করা সম্ভব হয়। এতে তেমন কোনো সময় ও বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয় না। মওসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা যায় এবং ফলনও ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সংসারের জন্য বাড়তি আয়ও এনে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা পরিবারের জন্য বিষমুক্ত সবজির জোগান দেয়া সম্ভব। তাহমিনা ইসলাম জুথির এ সাফল্যকে অভিনন্দনও জানান তিনি। এ ব্যাপারে তাহমিনা ইসলাম জুথি বলেন, শহর জীবনে সুস্থ্য সুন্দর ও ভাল থাকতে হলে ভাবতে হবে শহরের পরিবেশের কথাও। নানা কারণে শহর যখন উষ্ণ হয়ে উঠছে তখন বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি করলে পরিবেশ ভালো থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি আমাকে সহযোগিতা করেছে। নিজের লাগানো শতাধিক গাছের কাছে যখন আসি, মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। এই গাছ, গাছের ফল আমার পরম যতেœ বেড়ে ওঠা সন্তানের মতো। আমি আর আমার পরিবার এই বিষমুক্ত, অরগানিক খাবার খেয়ে স্বস্তি পাই। আমি আমার বাড়ির ছাদে আনার, কামরাঙ্গা, পেয়ারা ও বেদানাসহ ফলের গাছ লাগিয়েছি। যে কারণে আমার কোনো ফল বাজার থেকে কিনতে হয় না।