শিরোনাম :
Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

এসআই সুব্রত বিশ্বাসের বিরদ্ধে অভিযোগ !

  • আপডেট সময় : ০৯:২০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৯১ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই সুব্রত বিশ্বাসের বিরদ্ধে অভিযোগ সোর্সের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ফেনসিডিল দিয়ে আপোষ !
শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানার এসআই সুব্রত বিশ্বাস তার সোর্সকে সোর্সমানি না দিয়ে বিনিময়ে আটককৃত ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল থেকে ২৪ বোতল ফেন্সিডিল সোর্সমানি হিসেবে পরিশোধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর সকালে এসআই সুব্রত বিশ্বাস সোর্স মারফত সংবাদ পায় যে, ২জন মাদক ব্যবসায়ী একটি সাদা ইমা মোটরসাইকেলযোগে দর্শনা থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই এসআই সুব্রত বিশ্বাস ও এএসএই মনির দামুড়হুদা ব্র্যাক অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। উল্লেখিত মোটরসাইকেলটি দামুড়হুদা ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌছালে পুলিশ তাদেরকে গতিরোধ করার চেষ্টা করলে মটরসাইকেল আরোহীরা পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটিসহ চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা প্লাজার বাপ্পি কম্পিউটারের সত্বাধিকারী মিরাজুল ইসলাম বাপ্পিকে (২৮) আটক করতে সক্ষম হলেও তার সঙ্গী রাহুল (২৬) পালিয়ে যায়। এই সময় পুলিশের দাবি তার ব্যাগ তল্লাশী করে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইলফোন জব্দ করে। কিন্তু অনেক প্রতক্ষ্যদর্শী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ৩০ বোতলের বেশী ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হলেও মামলায় ৩০  বোতল উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই সুব্রত বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল  উদ্ধার করেছি, এরমধ্যে ৩০ বোতল মামলায় উল্লেখ করেছি। বাকী ২৪ বোতল আমার সোর্সকে দিয়েছি। সোর্সকে সোর্সমানির পরিবর্তে আটককৃত মাদকের ভাগ দেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, আমার কাছে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল আটকের মামলা দিয়েছে, আমি থানার অফিসার ইনচার্জ হয়ে মামলা গ্রহণ করেছি। যদি এসআই সুব্রত এমন কাজ করে থাকে তাহলে বোকামি ছাড়া কিছু না। তিনি আরো বলেন, সোর্সের জন্য সরকার বরাদ্দ দেন। তাহলে সে ফেন্সিডিল দিয়ে সোর্সমানি কেন পরিশোধ করেছে !-এ প্রশ্ন আমারও। এদিকে সোর্সের জন্য সরকার আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ফেন্সিডিল দিয়ে সোর্সমানি পরিশোধ করার বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যেখানে পুলিশ মাদক প্রতিরোধে রাতদিন কাজ করছে, সেখানে সোর্সকে সোর্সমানির পরিবর্তে ফেন্সিডিল দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আদৌ সম্ভব কি? এমন প্রশ্ন সকলের। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন পুলিশ যেখানে মাদক নিয়ন্ত্রন করছে, তারাই আবার মাদক তুলে দিচ্ছে, তাহলে মাদক নিয়ন্ত্রন না করে বসে থাকায় ভাল। এই বিষয়ে এলাকাবাসী সচেতন মহল এসআই সুব্রত বিশ্বাসের এমন জঘন্য কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি

এসআই সুব্রত বিশ্বাসের বিরদ্ধে অভিযোগ !

আপডেট সময় : ০৯:২০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই সুব্রত বিশ্বাসের বিরদ্ধে অভিযোগ সোর্সের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ফেনসিডিল দিয়ে আপোষ !
শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানার এসআই সুব্রত বিশ্বাস তার সোর্সকে সোর্সমানি না দিয়ে বিনিময়ে আটককৃত ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল থেকে ২৪ বোতল ফেন্সিডিল সোর্সমানি হিসেবে পরিশোধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর সকালে এসআই সুব্রত বিশ্বাস সোর্স মারফত সংবাদ পায় যে, ২জন মাদক ব্যবসায়ী একটি সাদা ইমা মোটরসাইকেলযোগে দর্শনা থেকে ফেন্সিডিল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই এসআই সুব্রত বিশ্বাস ও এএসএই মনির দামুড়হুদা ব্র্যাক অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। উল্লেখিত মোটরসাইকেলটি দামুড়হুদা ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌছালে পুলিশ তাদেরকে গতিরোধ করার চেষ্টা করলে মটরসাইকেল আরোহীরা পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে চুয়াডাঙ্গা জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটিসহ চুয়াডাঙ্গা ফাতেমা প্লাজার বাপ্পি কম্পিউটারের সত্বাধিকারী মিরাজুল ইসলাম বাপ্পিকে (২৮) আটক করতে সক্ষম হলেও তার সঙ্গী রাহুল (২৬) পালিয়ে যায়। এই সময় পুলিশের দাবি তার ব্যাগ তল্লাশী করে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইলফোন জব্দ করে। কিন্তু অনেক প্রতক্ষ্যদর্শী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ৩০ বোতলের বেশী ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হলেও মামলায় ৩০  বোতল উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই সুব্রত বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল  উদ্ধার করেছি, এরমধ্যে ৩০ বোতল মামলায় উল্লেখ করেছি। বাকী ২৪ বোতল আমার সোর্সকে দিয়েছি। সোর্সকে সোর্সমানির পরিবর্তে আটককৃত মাদকের ভাগ দেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, আমার কাছে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল আটকের মামলা দিয়েছে, আমি থানার অফিসার ইনচার্জ হয়ে মামলা গ্রহণ করেছি। যদি এসআই সুব্রত এমন কাজ করে থাকে তাহলে বোকামি ছাড়া কিছু না। তিনি আরো বলেন, সোর্সের জন্য সরকার বরাদ্দ দেন। তাহলে সে ফেন্সিডিল দিয়ে সোর্সমানি কেন পরিশোধ করেছে !-এ প্রশ্ন আমারও। এদিকে সোর্সের জন্য সরকার আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ফেন্সিডিল দিয়ে সোর্সমানি পরিশোধ করার বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যেখানে পুলিশ মাদক প্রতিরোধে রাতদিন কাজ করছে, সেখানে সোর্সকে সোর্সমানির পরিবর্তে ফেন্সিডিল দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন আদৌ সম্ভব কি? এমন প্রশ্ন সকলের। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন পুলিশ যেখানে মাদক নিয়ন্ত্রন করছে, তারাই আবার মাদক তুলে দিচ্ছে, তাহলে মাদক নিয়ন্ত্রন না করে বসে থাকায় ভাল। এই বিষয়ে এলাকাবাসী সচেতন মহল এসআই সুব্রত বিশ্বাসের এমন জঘন্য কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।