শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির আনন্দ মিছিল Logo আগামীকাল বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বীরগঞ্জে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo নদীবন্দর সমূহের জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত Logo টেকনাফে দুই শতাধিক ঘর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত Logo কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিনে আশ্রয় নেওয়া ২০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো যায়নি Logo বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ নিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo রাকসু নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছলচাতুরির অভিযোগ ছাত্রসংগঠনগুলোর Logo চুয়াডাঙ্গায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ২ কেজি গাঁজাসহ নারী গ্রেফতার Logo ইরানের আদালতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৬

চীনকে চাপে রাখতে ভারতের পাশে থাকার ইঙ্গিত ব্রিটেনের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ডোকালাম বিতর্কে ভারতের পাশেই থাকতে চলেছে ব্রিটেন। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এসে এমনই মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন।

১৯৪৭ সালের মে মাসে লন্ডনে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের। চলতি বছরে সেই সংস্থাও ৭০ বছর অতিক্রম করেছে। স্বদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেই অনুষ্ঠানে বরিস জনসন বলেন, ‘চীনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত। ‘

উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চীনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে ভারতের পাশে থাকার গুরুত্বের কথা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা জনসন। চীন যাতে উত্তর কোরিয়ার উপর আর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ না করতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়ার কথাই বলেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে আমেরিকার মতামতকে অধিক গুরুত্ব দিতে নারাজ জনসন।

তার কথায়, ‘হোয়াইট হাউজ কী বলছে, সেটা গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই। বরং আমাদের উচিত বর্তমান সমস্যার মূল কারণের উপর নজর দেওয়া। ভুলে গেলে চলবে না, উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত পারমাণবিক আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে। সমগ্র এশিয়া মহাদেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার জন্য ব্রিটেনের উচিত ভারতের হাত শক্ত করা। ‘ ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন বরিস জনসন।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্ত্রী মারিনার মা পঞ্জাবি। সেই কারণে ওই দেশের প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে বিদেশমন্ত্রী ‘ভারতের জামাই’ হিসেবেই পরিচিত। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আশিস রায়, লেবার পার্টির প্রতিনিধি এমরি স্টিফেন পাউন্ড এবং ব্রিটেনে ভারতের দূত ওয়াই কে সিনহা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির আনন্দ মিছিল

চীনকে চাপে রাখতে ভারতের পাশে থাকার ইঙ্গিত ব্রিটেনের !

আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ডোকালাম বিতর্কে ভারতের পাশেই থাকতে চলেছে ব্রিটেন। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এসে এমনই মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন।

১৯৪৭ সালের মে মাসে লন্ডনে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের। চলতি বছরে সেই সংস্থাও ৭০ বছর অতিক্রম করেছে। স্বদেশের স্বাধীনতা দিবসে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেই অনুষ্ঠানে বরিস জনসন বলেন, ‘চীনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত। ‘

উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চীনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে ভারতের পাশে থাকার গুরুত্বের কথা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা জনসন। চীন যাতে উত্তর কোরিয়ার উপর আর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ না করতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়ার কথাই বলেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে আমেরিকার মতামতকে অধিক গুরুত্ব দিতে নারাজ জনসন।

তার কথায়, ‘হোয়াইট হাউজ কী বলছে, সেটা গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই। বরং আমাদের উচিত বর্তমান সমস্যার মূল কারণের উপর নজর দেওয়া। ভুলে গেলে চলবে না, উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত পারমাণবিক আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে। সমগ্র এশিয়া মহাদেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার জন্য ব্রিটেনের উচিত ভারতের হাত শক্ত করা। ‘ ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন বরিস জনসন।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্ত্রী মারিনার মা পঞ্জাবি। সেই কারণে ওই দেশের প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে বিদেশমন্ত্রী ‘ভারতের জামাই’ হিসেবেই পরিচিত। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আশিস রায়, লেবার পার্টির প্রতিনিধি এমরি স্টিফেন পাউন্ড এবং ব্রিটেনে ভারতের দূত ওয়াই কে সিনহা।