শুক্রবার | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা Logo সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনে সিসিডিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ Logo জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় চাঁদপুরে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান Logo রাঙামাটি জেলা পুলিশের সাইবার সাফল্য: হারানো ৫০ মোবাইল উদ্ধার, ফিরলো মালিকদের হাতে Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন Logo শিক্ষানুরাগী ও মানবিক সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম রনি পেলেন মিজাফ বিজয় সম্মাননা

মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউদ্দিন আর নেই !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

একাত্তরে সুন্দরব্ন অঞ্চলে ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে শাহানুর রহমান শামীম জানান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন অনেকদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১ জুলাই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে কেবিনে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করেন তিনি। পরে  ১১ জুলাই সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে।

এর আগে, সাব সেক্টর কমান্ডার জিয়ার লিভার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপন করার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন তিনি। পরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দায়িত্ব পান ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে।

মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বীরত্বের সঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত রাখার জন্য তাকে সুন্দরবনের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ বলা হয়ে থাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউদ্দিন আর নেই !

আপডেট সময় : ১১:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

একাত্তরে সুন্দরব্ন অঞ্চলে ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে শাহানুর রহমান শামীম জানান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন অনেকদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১ জুলাই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে কেবিনে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করেন তিনি। পরে  ১১ জুলাই সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে।

এর আগে, সাব সেক্টর কমান্ডার জিয়ার লিভার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপন করার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন তিনি। পরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দায়িত্ব পান ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে।

মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বীরত্বের সঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত রাখার জন্য তাকে সুন্দরবনের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ বলা হয়ে থাকে।