মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার থেকে জিটুজি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে চাল আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে শিগগিরই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার বিষয়ে দেশটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থানের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার থেকে জিটুজি ভিত্তিতে চাল আমদানি করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। যার অধীনে বাংলাদেশ জিটুজি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রচলিত মূল্যে চাল (মানসম্মত চাল) মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে পারবে।

বৈঠককালে খাদ্যসম্পর্কিত বিষয় ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছ থেকে আরো বাণিজ্যিক সুবিধা আশা করে।

প্রসঙ্গত, চালের সরকারি মজুদ তলানিতে পৌঁছায় শূন্য মার্জিন বা বিনা জামানতে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে শুল্কহার ২৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছেন বেসরকারি আমদানিকারকরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে চাল এনেছেন, নতুন করে আমদানির ঋণপত্র খোলা শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু করছেন।

এবার সরকারিভাবে চাল আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী !

আপডেট সময় : ১২:৪৭:২৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার থেকে জিটুজি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে চাল আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে শিগগিরই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার বিষয়ে দেশটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থানের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার থেকে জিটুজি ভিত্তিতে চাল আমদানি করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। যার অধীনে বাংলাদেশ জিটুজি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রচলিত মূল্যে চাল (মানসম্মত চাল) মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে পারবে।

বৈঠককালে খাদ্যসম্পর্কিত বিষয় ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছ থেকে আরো বাণিজ্যিক সুবিধা আশা করে।

প্রসঙ্গত, চালের সরকারি মজুদ তলানিতে পৌঁছায় শূন্য মার্জিন বা বিনা জামানতে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে শুল্কহার ২৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করেছেন বেসরকারি আমদানিকারকরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে চাল এনেছেন, নতুন করে আমদানির ঋণপত্র খোলা শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু করছেন।

এবার সরকারিভাবে চাল আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।