অর্থপাচারের জন্য আমরাও দায়ী: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অর্থপাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পাচার সারা দুনিয়াতেই হয়। তবে রেটস অব গ্রোথ (পাচারের হার) আমাদের একটু বেশি। এর জন্য আমরাও দায়ী। আমাদের এখানে জমির সরকারি মূল্য কমিয়ে রেখেছি।

উদাহরণস্বরূপ অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ এক কোটি টাকার জমি বিক্রি করে সেখানে সরকারি দাম ৩০ লাখ, বাকী ৭০ লাখ কালো টাকা হয়ে যায়।

এজন্য বিদেশে টাকা পাচাররোধে দেশের জমির বর্তমান সরকারি দাম বাজার দর অনুযায়ী পরিবর্তনে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে বলেও তিনি জানান।

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েই চলেছে বলে দেশটির ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে। এরপর শনিবার সকালে সিলেটের নাইওরপুলে একটি ফোয়ারা উদ্বোধন শেষে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তখন অর্থপাচার রোধে কি পদক্ষেপ নেবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। খুব শিগগিরই জমির সরকারি দাম বাড়িয়ে বাজার দর করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

রেমিটেন্স প্রবাহ কমার কারণ হিসেবে দু’টি বিষয় দেখছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রথমত যারা বিদেশে থাকছেন তাদের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া করছেন। দ্বিতীয়ত তাদের একটি অভিযোগ আছে রেমিটেন্স পাঠানোর ফি অনেক বেশি।

সরকার আগামী মাস থেকে এই ফি কমানোর চিন্তা-ভাবনা করছে জানিয়েছে মন্ত্রী বলেন, আশা করি, এরপর রেমিটেন্স প্রবাহে গতি আসবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থপাচারের জন্য আমরাও দায়ী: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত !

আপডেট সময় : ১২:৩৭:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অর্থপাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পাচার সারা দুনিয়াতেই হয়। তবে রেটস অব গ্রোথ (পাচারের হার) আমাদের একটু বেশি। এর জন্য আমরাও দায়ী। আমাদের এখানে জমির সরকারি মূল্য কমিয়ে রেখেছি।

উদাহরণস্বরূপ অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ এক কোটি টাকার জমি বিক্রি করে সেখানে সরকারি দাম ৩০ লাখ, বাকী ৭০ লাখ কালো টাকা হয়ে যায়।

এজন্য বিদেশে টাকা পাচাররোধে দেশের জমির বর্তমান সরকারি দাম বাজার দর অনুযায়ী পরিবর্তনে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে বলেও তিনি জানান।

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েই চলেছে বলে দেশটির ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে। এরপর শনিবার সকালে সিলেটের নাইওরপুলে একটি ফোয়ারা উদ্বোধন শেষে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তখন অর্থপাচার রোধে কি পদক্ষেপ নেবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। খুব শিগগিরই জমির সরকারি দাম বাড়িয়ে বাজার দর করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

রেমিটেন্স প্রবাহ কমার কারণ হিসেবে দু’টি বিষয় দেখছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রথমত যারা বিদেশে থাকছেন তাদের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া করছেন। দ্বিতীয়ত তাদের একটি অভিযোগ আছে রেমিটেন্স পাঠানোর ফি অনেক বেশি।

সরকার আগামী মাস থেকে এই ফি কমানোর চিন্তা-ভাবনা করছে জানিয়েছে মন্ত্রী বলেন, আশা করি, এরপর রেমিটেন্স প্রবাহে গতি আসবে।