নিউজ ডেস্ক:
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে এবার চীনের তৈরি একটি বিশাল আকৃতির ট্রাক ব্যবহার করেছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের ২০০৬ সালের নিষেধাজ্ঞায় পিয়ং ইয়ং-এর কাছে অস্ত্র এবং অস্ত্র পরিচালনা করতে ব্যবহৃত সমস্ত হার্ডওয়্যারের বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে যে চীনা ট্রাকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা বেসামরিক যান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
উত্তর কোরিয়া ওই যানটি সাধারণ ব্যবহারের কথা বলেই চীনের কাছে থেকে কিনেছিল। এর মধ্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কোনও দেশের সামরিক কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের বিষয়টিই সামনে উঠে এলো। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির একটি ট্রাকে ক্ষেপণাস্ত্রটি বহন করা হচ্ছে। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, চীনা টিম্বার ট্রাকে কিছুটা অদলবদল এনে এটিকে মিসাইল বহনের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে জাতিসংঘ ও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা থাকায় এক্ষেত্রে বিকল্প কৌশল নেয় পিয়ং ইয়ং। একইসঙ্গে সামরিক ও সাধারণ উভয় ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় এমন সামগ্রী আমদানির দিকে ঝুঁকে পড়ে উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় চীনা ট্রাকের ব্যবহার এরই ধারাবাহিকতা মাত্র।
সাধারণ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে চীনের কাছ থেকে ট্রাকটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের একটি প্যানেলের উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও ট্রাকটির কথা উল্লেখ ছিল। তবে সামরিক বাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রমে ট্রাকের ব্যবহার এটাই প্রথম।
রয়টার্স জানিয়েছে, এবার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসকেই বেছে নেয় উ. কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, বিশ্বের যে কোনও স্থানে পরীক্ষা চালাতে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্র। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর