বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল

ঘুম থেকে উঠার সময়ের উপর নির্ভর মৃত্যুর ক্ষণ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিটা মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস থাকে। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের সুবিধামতো একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাই এবং ঘুম থেকে উঠি। কিছুদিন এমনটা চলার পর দেখা যায়, রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে আমাদের ঘুম আসে না এবং সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে আমরা আর ঘুমোতে পারি না।

বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টিকেই বলেন বডি ক্লক অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ ছন্দ। শরীর নিজের অজান্তেই এই অদৃশ্য ঘড়ি মেনে সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পাদন করে থাকে। ঘুম আসা এবং ঘুম থেকে ওঠার কাজটাও এই ঘড়ি মেনেই হয়ে থাকে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের খিদেও দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়েই পায়। এটাও ঘটে থাকে ওই বডি ক্লক অনুসারে।

কিন্তু কী হবে আপনার প্রতিক্রিয়া যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার  মৃত্যুর সময়টাও ওই বডি ক্লক অনুসারেই নির্ধারিত হতে চলেছে। বিস্মিত হবেন নিশ্চয়ই, কিন্তু বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিতেও হয়তো পারবেন না, কারণ এই দাবি করছেন খোদ হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক।

গবেষকদলটির প্রধান অ্যান্ড্রু লিম জানান, ‘মানবশরীর সঞ্চালিত হয় শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির দ্বারা। এই বডি ক্লকই শরীরের প্রতিটি অনৈচ্ছিক কাজ নির্ধারণ করে। অর্থাৎ যে কাজগুলো আমরা স্বেচ্ছায় বা সচেতনভাবে করি না, সেগুলো এই বডি ক্লক মেনেই শরীর করে থাকে। এবং আমাদের গবেষণা বলছে, মানুষের মৃত্যুর সময়টাও যেহেতু তার নিজের হাতে নেই, সেহেতু সেই সময়টাও নির্ধারিত হয় বডি ক্লকের দ্বারা।’

দলের আর এক বিজ্ঞানী শোধাকার্তোঁর ভাষ্য, আমাদের শরীরের প্রতিটা কাজই একটা নির্দিষ্ট ছন্দ মেনে হয়ে থাকে। সেই ছন্দের শেষ ঝোঁকটি পড়ে মৃত্যুতে। তাই সেটাও এই ছন্দেরই অঙ্গ।

নিজেদের দাবির সপক্ষে ওই বিজ্ঞানীরা পেশ করছেন তাদের সমীক্ষালব্ধ তথ্য। তাদের বক্তব্য, যেসব মানুষের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাদের অধিকাংশেরই ১১টার কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছিল। এবং এরা মোটামুটি এই সময়টাতেই ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত ছিলেন।

অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা বলতে চাইছেন, যার যে সময় ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস, মোটামুটি সেই সময়েই তার মৃত্যু হবে। তবে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর মতো সময় এখনও আসেনি। গবেষণা এখনও বাকি রয়েছে। সেটা সম্পূ্র্ণ হওয়ার পরেই শেষ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সম্ভব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর

ঘুম থেকে উঠার সময়ের উপর নির্ভর মৃত্যুর ক্ষণ!

আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিটা মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস থাকে। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের সুবিধামতো একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাই এবং ঘুম থেকে উঠি। কিছুদিন এমনটা চলার পর দেখা যায়, রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে আমাদের ঘুম আসে না এবং সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে আমরা আর ঘুমোতে পারি না।

বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টিকেই বলেন বডি ক্লক অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ ছন্দ। শরীর নিজের অজান্তেই এই অদৃশ্য ঘড়ি মেনে সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পাদন করে থাকে। ঘুম আসা এবং ঘুম থেকে ওঠার কাজটাও এই ঘড়ি মেনেই হয়ে থাকে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের খিদেও দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়েই পায়। এটাও ঘটে থাকে ওই বডি ক্লক অনুসারে।

কিন্তু কী হবে আপনার প্রতিক্রিয়া যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার  মৃত্যুর সময়টাও ওই বডি ক্লক অনুসারেই নির্ধারিত হতে চলেছে। বিস্মিত হবেন নিশ্চয়ই, কিন্তু বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিতেও হয়তো পারবেন না, কারণ এই দাবি করছেন খোদ হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক।

গবেষকদলটির প্রধান অ্যান্ড্রু লিম জানান, ‘মানবশরীর সঞ্চালিত হয় শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির দ্বারা। এই বডি ক্লকই শরীরের প্রতিটি অনৈচ্ছিক কাজ নির্ধারণ করে। অর্থাৎ যে কাজগুলো আমরা স্বেচ্ছায় বা সচেতনভাবে করি না, সেগুলো এই বডি ক্লক মেনেই শরীর করে থাকে। এবং আমাদের গবেষণা বলছে, মানুষের মৃত্যুর সময়টাও যেহেতু তার নিজের হাতে নেই, সেহেতু সেই সময়টাও নির্ধারিত হয় বডি ক্লকের দ্বারা।’

দলের আর এক বিজ্ঞানী শোধাকার্তোঁর ভাষ্য, আমাদের শরীরের প্রতিটা কাজই একটা নির্দিষ্ট ছন্দ মেনে হয়ে থাকে। সেই ছন্দের শেষ ঝোঁকটি পড়ে মৃত্যুতে। তাই সেটাও এই ছন্দেরই অঙ্গ।

নিজেদের দাবির সপক্ষে ওই বিজ্ঞানীরা পেশ করছেন তাদের সমীক্ষালব্ধ তথ্য। তাদের বক্তব্য, যেসব মানুষের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাদের অধিকাংশেরই ১১টার কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছিল। এবং এরা মোটামুটি এই সময়টাতেই ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত ছিলেন।

অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা বলতে চাইছেন, যার যে সময় ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস, মোটামুটি সেই সময়েই তার মৃত্যু হবে। তবে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর মতো সময় এখনও আসেনি। গবেষণা এখনও বাকি রয়েছে। সেটা সম্পূ্র্ণ হওয়ার পরেই শেষ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সম্ভব।