বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া

স্বাগতিকদের হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের দেয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ‘আনপ্রেডিকটেবল’ পাকিস্তান। আর তারই জের ধরে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টুর্নামেন্টের চলতি আসরের প্রথম ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা করে নিল পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং জুটিতে এদিন ১১৮ রান তোলেন আজহার আলী ও ফখর জামান। তবে দারুণ খেলতে থাকা ফখর শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন। স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন এ বাঁহাতি তরুণ। আরেক ওপেনার আজহার আলী সেঞ্চুরির পথে হাঁটলেও শেষ পর্যন্ত ৭৬ রানে বিদায় নেন। জ্যাক বলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান।

পরে দলের হাল ধরেন ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মাদ হাফিজ। আর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন এই দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। বাবর আজম ৩৮ ও মোহাম্মাদ হাফিজ ৩১ রানে অপরাজিত থাকেই দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন।

এর আগে ৩৪ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং স্তম্ভে ধস নামান পাকিস্তানি বোলাররা। ১২৮ থেকে ১৬২ এ ৩৪ রানে মধ্যে একে একে সাজ ঘরে ফিরেন জো রুট (৪৬), ইয়ান মরগান (৩৩), জস বাটলার (৪) ও মঈন আলী (১১)। এক পাশ আগলে রাখেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। তিনিও বিধ্বংসী হয়ে ওঠতে পারেননি আজ।

রীতিমতো চুরমার হয়ে গেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা ব্যাটিং লাইন আপ। আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে আঘাত হানছেন স্টোকসদের ওপর।

শাদাব খানের বলে ৪৬ রানে রুট ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ১৪১ রানে ইংলিশ অধিনায়ক মরগানকে ফেরান হাসান আলী। এর আগে জনি বেয়ারাস্তোকেও সাজঘরে পাঠান হাসান। পরে জস বাটলার (৪) ও মঈন আলী (১১) দুজনকেই প্যাভিলয়নে ফেরান জুনাইদ খান। রান আউট হয়ে ফেরেন আদিল রাশিদ।

এর আগে মোহাম্মদ আমিরের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পাওয়া তরুণ পাকিস্তানি বোলার রুম্মান রইস ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন। অভিষেকে এ ক্রিকেটার নিজের প্রথম ওভারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো তটস্থ রেখেছেন। দিয়েছেন মাত্র ২ রান।

আর পরের ওভারেই এলডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ছিলেন অ্যালেক্স হেলসকে। কিন্তু রুম্মানের বোলিং গতির কাছে হার মানলেও রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান হেলস।

তবে নিজের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ঠিকই হেলসকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন রইস। স্ট্রেইট কভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাবর আজমের হাতে তালুবন্দি হন হেলস। আর রইস পেয়ে গেলেন অভিষেক উইকেট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

স্বাগতিকদের হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান !

আপডেট সময় : ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। স্বাগতিকদের দেয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ‘আনপ্রেডিকটেবল’ পাকিস্তান। আর তারই জের ধরে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টুর্নামেন্টের চলতি আসরের প্রথম ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা করে নিল পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং জুটিতে এদিন ১১৮ রান তোলেন আজহার আলী ও ফখর জামান। তবে দারুণ খেলতে থাকা ফখর শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন। স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন এ বাঁহাতি তরুণ। আরেক ওপেনার আজহার আলী সেঞ্চুরির পথে হাঁটলেও শেষ পর্যন্ত ৭৬ রানে বিদায় নেন। জ্যাক বলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান।

পরে দলের হাল ধরেন ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মাদ হাফিজ। আর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন এই দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। বাবর আজম ৩৮ ও মোহাম্মাদ হাফিজ ৩১ রানে অপরাজিত থাকেই দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন।

এর আগে ৩৪ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং স্তম্ভে ধস নামান পাকিস্তানি বোলাররা। ১২৮ থেকে ১৬২ এ ৩৪ রানে মধ্যে একে একে সাজ ঘরে ফিরেন জো রুট (৪৬), ইয়ান মরগান (৩৩), জস বাটলার (৪) ও মঈন আলী (১১)। এক পাশ আগলে রাখেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। তিনিও বিধ্বংসী হয়ে ওঠতে পারেননি আজ।

রীতিমতো চুরমার হয়ে গেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা ব্যাটিং লাইন আপ। আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে আঘাত হানছেন স্টোকসদের ওপর।

শাদাব খানের বলে ৪৬ রানে রুট ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ১৪১ রানে ইংলিশ অধিনায়ক মরগানকে ফেরান হাসান আলী। এর আগে জনি বেয়ারাস্তোকেও সাজঘরে পাঠান হাসান। পরে জস বাটলার (৪) ও মঈন আলী (১১) দুজনকেই প্যাভিলয়নে ফেরান জুনাইদ খান। রান আউট হয়ে ফেরেন আদিল রাশিদ।

এর আগে মোহাম্মদ আমিরের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পাওয়া তরুণ পাকিস্তানি বোলার রুম্মান রইস ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন। অভিষেকে এ ক্রিকেটার নিজের প্রথম ওভারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো তটস্থ রেখেছেন। দিয়েছেন মাত্র ২ রান।

আর পরের ওভারেই এলডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ছিলেন অ্যালেক্স হেলসকে। কিন্তু রুম্মানের বোলিং গতির কাছে হার মানলেও রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যান হেলস।

তবে নিজের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ঠিকই হেলসকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন রইস। স্ট্রেইট কভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাবর আজমের হাতে তালুবন্দি হন হেলস। আর রইস পেয়ে গেলেন অভিষেক উইকেট।