শিরোনাম :
Logo ১৬ জুলাই থেকে শহিদদের নামে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন শুরু Logo ১৬ জুলাই:নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন Logo মিটফোর্ডে ব্যাবসায়ী হ’ত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন মানববন্ধন সুসম্পন্ন Logo সাতক্ষীরায় সাবেক সচিব ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ঘের দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বদলি Logo সিরাজদিখানে ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ঝিকুটের সংবর্ধনা ২৫ জুলাই Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক

হরিণাকুন্ডু থেকে আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে ॥

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ জুন ২০১৭
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

আম চাষীরা অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা খাদ্যে উদ্বৃত উপজেলার খেতাব অর্জনের পর এবার ফলের রাজা আম বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এক সোনালী ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহায়তায় এ বছর হরিণাকুন্ডু উপজেলার ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম উৎপাদনে আগ্রহী চাষীদের তালিকা তৈরী করে তাদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে বিদেশে আম রপ্তানিকারকদের সাথে চাষীদের চুক্তিবদ্ধ করতে সহায়তা করা হয়। চুক্তি মোতাবেক সুন্দর, আকর্ষণীয়, লাবন্যময় স্বাস্থ্যসম্মত কীটনাশক মুক্ত আম উৎপাদন নিশ্চিত করতে নিবিড় পরিচর্যা প্রদান অব্যাহত রাখা হয়।

ইতিমধ্যে চায়না থেকে মান সম্মত ব্যাগ প্রাপ্তি এবং পরানোর কৌশল চাষীদের জন্য সহজ লোভ্য করা হয়। এসকল স্তর শেষে আম পাকার মৌসূমের শুরুতে রপ্তানিকারদের সাথে বাগানে বসে চাষীরা আমের মূল্য নির্ধারণ করে। এবার তারা মৌসূমে প্রথমে প্রাপ্ত হিম সাগর আম বাগান থেকে বিক্রয় মূল্য পাচ্ছে ৪০ টাকা এবং ব্যাগিং করা একই আম বিক্রি করছে ৮৫ টাকা কেজি। সাধারন আমের চেয়ে ব্যাগিং করা আম প্রতিটি ব্যাগ পরানোসহ আনুসঙ্গিক খাতে ১০ টাকা ব্যয় ধরলেও প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা লভ্যাংশ ঘরে তুলছে আম চাষীগন।

ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম বিদেশে আম রপ্তানি করে বৈদেশিক উপার্জন করছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের চাষী শহিদুল ইসলাম বিপ্লব। তার মত আরো কয়েকজন চাষী এ বছর পরীক্ষা মূলক ভাবে ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বলন করে আম চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এসকল চাষীদের প্রাথমিক সাফল্য দেখে আগামী মৌসূমে অনেক সাধারণ আম বাগানের মালিক ব্যাগিং করে আম চাষের প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বিশিষ্ট আম চাষী বদর উদ্দীন মোল্লা তার ২একর বিশিষ্ট সমগ্র বাগানটি আগামী মৌসূমে ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা জানান। পাশাপাশি অনেক পতিত জমির মালিকগন পড়ে থাকা জায়গায় আম বাগান করে নিজের ও দেশের ভাগ্য বদলাতে অবদান রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১৬ জুলাই থেকে শহিদদের নামে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন শুরু

হরিণাকুন্ডু থেকে আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে ॥

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ জুন ২০১৭

আম চাষীরা অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা খাদ্যে উদ্বৃত উপজেলার খেতাব অর্জনের পর এবার ফলের রাজা আম বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এক সোনালী ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহায়তায় এ বছর হরিণাকুন্ডু উপজেলার ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম উৎপাদনে আগ্রহী চাষীদের তালিকা তৈরী করে তাদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে বিদেশে আম রপ্তানিকারকদের সাথে চাষীদের চুক্তিবদ্ধ করতে সহায়তা করা হয়। চুক্তি মোতাবেক সুন্দর, আকর্ষণীয়, লাবন্যময় স্বাস্থ্যসম্মত কীটনাশক মুক্ত আম উৎপাদন নিশ্চিত করতে নিবিড় পরিচর্যা প্রদান অব্যাহত রাখা হয়।

ইতিমধ্যে চায়না থেকে মান সম্মত ব্যাগ প্রাপ্তি এবং পরানোর কৌশল চাষীদের জন্য সহজ লোভ্য করা হয়। এসকল স্তর শেষে আম পাকার মৌসূমের শুরুতে রপ্তানিকারদের সাথে বাগানে বসে চাষীরা আমের মূল্য নির্ধারণ করে। এবার তারা মৌসূমে প্রথমে প্রাপ্ত হিম সাগর আম বাগান থেকে বিক্রয় মূল্য পাচ্ছে ৪০ টাকা এবং ব্যাগিং করা একই আম বিক্রি করছে ৮৫ টাকা কেজি। সাধারন আমের চেয়ে ব্যাগিং করা আম প্রতিটি ব্যাগ পরানোসহ আনুসঙ্গিক খাতে ১০ টাকা ব্যয় ধরলেও প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা লভ্যাংশ ঘরে তুলছে আম চাষীগন।

ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম বিদেশে আম রপ্তানি করে বৈদেশিক উপার্জন করছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের চাষী শহিদুল ইসলাম বিপ্লব। তার মত আরো কয়েকজন চাষী এ বছর পরীক্ষা মূলক ভাবে ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বলন করে আম চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এসকল চাষীদের প্রাথমিক সাফল্য দেখে আগামী মৌসূমে অনেক সাধারণ আম বাগানের মালিক ব্যাগিং করে আম চাষের প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বিশিষ্ট আম চাষী বদর উদ্দীন মোল্লা তার ২একর বিশিষ্ট সমগ্র বাগানটি আগামী মৌসূমে ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা জানান। পাশাপাশি অনেক পতিত জমির মালিকগন পড়ে থাকা জায়গায় আম বাগান করে নিজের ও দেশের ভাগ্য বদলাতে অবদান রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।