সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব

শৈলকুপায় কৃষিতে রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে অধিক মুনাফায় ঝুঁকছে কৃষক

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
  • ৮১৮ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  তৃণমুল পর্যায়ের কৃষিতে দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে কারণে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাচ্ছে কৃষক। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃষকেরা ঝুঁকছে রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় করছে ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ। যার মাধ্যমে সময় ও খরচ দুই’ই কমেছে। কৃষি বিভাগ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহারে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার গোসাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিটুল জানান, কয়েক বছর আগেও তার ৫ বিঘা জমিতে ধানের বীজতলা দেওয়া ও ধান লাগাতে খরচ হতো কয়েক হাজার টাকা। এছাড়া নিজের দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম তো রয়েছেই। গত ২ বছর হলো কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ শুরু করেন তিনি। নিজ বাড়ির উঠানে ৫ বিঘা জমির ধানের বীজতলা তৈরী করছেন। পরিচর্যা করছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। এতে নিজের সময়ের সাশ্রয়ের সাথে সাথে খরচও হচ্ছে কম। সুবিধা পাওয়ায় তার দেখা দেখি ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে ধানের আবাদ।

এছাড়া এই পদ্ধতিতে ধান লাগানোর ফলে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই খুশি ওই এলাকার কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতার মাধ্যমে এই এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ধানের ফলন। সেজন্য কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান সারুটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ব্লকে বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষক নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বা মাঠে ট্রে ও পলিথিন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা লাগানোর উপযোগি হয়।

এক বিঘা জমিতে পুর্বে ৪ জন শ্রমিক লাগতো। কিন্তু বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের ব্যবহারের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যেই ধান লাগাতে পারে মাত্র একজন শ্রমিক। যেখানে এক একর জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা, এ মেশিন ব্যবহারে প্রতি একরে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই পরিবেশ বান্ধব এ মেশিন ব্যবহারে কৃষকদের পরিশ্রম কম হবে এবং লাভ বেশি হবে। এ মেশিন সরকারের কাছ থেকে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যেও ক্রয় করতে পারবেন। ভর্তুকির মাধ্যমে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিন ব্যবহারে তৃণমুল পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ধান চাষে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটিই মনে করেন সচেতন মহল।

ট্যাগস :

নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

শৈলকুপায় কৃষিতে রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে অধিক মুনাফায় ঝুঁকছে কৃষক

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মে ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  তৃণমুল পর্যায়ের কৃষিতে দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে কারণে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাচ্ছে কৃষক। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃষকেরা ঝুঁকছে রাইস ট্রান্স প্লান্টার ব্যবহারে। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় করছে ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ। যার মাধ্যমে সময় ও খরচ দুই’ই কমেছে। কৃষি বিভাগ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহারে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার গোসাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিটুল জানান, কয়েক বছর আগেও তার ৫ বিঘা জমিতে ধানের বীজতলা দেওয়া ও ধান লাগাতে খরচ হতো কয়েক হাজার টাকা। এছাড়া নিজের দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম তো রয়েছেই। গত ২ বছর হলো কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ শুরু করেন তিনি। নিজ বাড়ির উঠানে ৫ বিঘা জমির ধানের বীজতলা তৈরী করছেন। পরিচর্যা করছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। এতে নিজের সময়ের সাশ্রয়ের সাথে সাথে খরচও হচ্ছে কম। সুবিধা পাওয়ায় তার দেখা দেখি ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে ধানের আবাদ।

এছাড়া এই পদ্ধতিতে ধান লাগানোর ফলে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই খুশি ওই এলাকার কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতার মাধ্যমে এই এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ধানের ফলন। সেজন্য কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান সারুটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ব্লকে বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষক নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বা মাঠে ট্রে ও পলিথিন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা লাগানোর উপযোগি হয়।

এক বিঘা জমিতে পুর্বে ৪ জন শ্রমিক লাগতো। কিন্তু বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের ব্যবহারের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যেই ধান লাগাতে পারে মাত্র একজন শ্রমিক। যেখানে এক একর জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা, এ মেশিন ব্যবহারে প্রতি একরে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই পরিবেশ বান্ধব এ মেশিন ব্যবহারে কৃষকদের পরিশ্রম কম হবে এবং লাভ বেশি হবে। এ মেশিন সরকারের কাছ থেকে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যেও ক্রয় করতে পারবেন। ভর্তুকির মাধ্যমে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিন ব্যবহারে তৃণমুল পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ধান চাষে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটিই মনে করেন সচেতন মহল।