ইন্টারনেটের স্বপ্নদ্রষ্টা টেইলর আর নেই !

  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইন্টারনেট এবং আধুনিক কম্পিউটারের পথিকৃৎ রবার্ট টেইলর আর নেই। গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাসায় ৮৫ বছর বয়সে টেইলর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন টেইলর।

টেইলরের ছেলে কার্টের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।

১৯৩২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ডালাসে জন্ম নেওয়া টেইলর মারা গেলেন ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল।

ইন্টারনেটের উন্নয়নে টেইলরের অবদান ভিন্ন মাত্রার। ১৯৬৬ সালে পেন্টাগনের অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় টেইলর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় তাকে অসম্পূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেমে তিনটি পৃথক টার্মিনাল ব্যবহার করতে হয়েছিল।

অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির ওই গবেষণার সময় তার সমাধান ছিল একটি কম্পিউটারের সঙ্গে ওই প্রজেক্টের আরেক কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করে দেয়া। আজকের দিনে যার বৃহৎ রূপ ইন্টারনেট।

১৯৬৮ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘মাত্র কয়েক বছর পর মানুষ যন্ত্রের সাহায্যে আরও কার্যকরীভাবে মুখোমুখি অবস্থানে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। ’

টেইলর তার দলের সদস্যদের নিয়ে নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি ‘ইথারনেট’ ও মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করেছিলেন। কম্পিটারের মাউস তৈরিতেও তার অবদান রয়েছে।

আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইন্নোভেশন অ্যাওয়ার্ড পান টেইলর।

ব্যক্তিগত কম্পিউটারে সর্বপ্রথম ব্যবহারিক নেটওয়ার্কের প্রয়োগের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৪ সালে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংস ড্রেপার পুরস্কার পান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্টারনেটের স্বপ্নদ্রষ্টা টেইলর আর নেই !

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ইন্টারনেট এবং আধুনিক কম্পিউটারের পথিকৃৎ রবার্ট টেইলর আর নেই। গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাসায় ৮৫ বছর বয়সে টেইলর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন টেইলর।

টেইলরের ছেলে কার্টের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।

১৯৩২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ডালাসে জন্ম নেওয়া টেইলর মারা গেলেন ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল।

ইন্টারনেটের উন্নয়নে টেইলরের অবদান ভিন্ন মাত্রার। ১৯৬৬ সালে পেন্টাগনের অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় টেইলর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় তাকে অসম্পূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেমে তিনটি পৃথক টার্মিনাল ব্যবহার করতে হয়েছিল।

অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির ওই গবেষণার সময় তার সমাধান ছিল একটি কম্পিউটারের সঙ্গে ওই প্রজেক্টের আরেক কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করে দেয়া। আজকের দিনে যার বৃহৎ রূপ ইন্টারনেট।

১৯৬৮ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘মাত্র কয়েক বছর পর মানুষ যন্ত্রের সাহায্যে আরও কার্যকরীভাবে মুখোমুখি অবস্থানে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। ’

টেইলর তার দলের সদস্যদের নিয়ে নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি ‘ইথারনেট’ ও মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করেছিলেন। কম্পিটারের মাউস তৈরিতেও তার অবদান রয়েছে।

আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইন্নোভেশন অ্যাওয়ার্ড পান টেইলর।

ব্যক্তিগত কম্পিউটারে সর্বপ্রথম ব্যবহারিক নেটওয়ার্কের প্রয়োগের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৪ সালে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংস ড্রেপার পুরস্কার পান তিনি।