শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির বিশাল বিজয় র‌্যালি Logo জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিতে ইবিতে সংগ্রহশালা উদ্বোধন Logo ৫ ই আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কয়রা থানা বিএনপি’র বিজয় মিছিল Logo জুলাই শহীদদের রক্ত শুধু অতীত নয়, পথচলার অঙ্গীকার : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন Logo গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন নতুন বাংলাদেশে নব্য ফ্যাসিবাদের ঠাঁই হবে না : হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে কচুয়ায় জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ Logo লস্কর সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা জাহাঙ্গীর রাজু Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল Logo তালাকের ক্ষোভে জামাতার বিরুদ্ধে শাশুড়ির ধর্ষণ মামলা

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুখবর

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮১৮ বার পড়া হয়েছে
ইজারাভিত্তিক অপটিক্যাল ফাইবারে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র ব্যবহারে আর বাধা নেই। দীর্ঘদিনের দাবির পর মোবাইল অপারেটরদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে তারা এখন ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (DWDM) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে—যা মোবাইল ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন ও ব্যয় সাশ্রয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এতে করে ইন্টারনেটের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২১ সালের নিষেধাজ্ঞার অবসান
২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোবাইল অপারেটররা বিটিআরসির অনুমোদনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিটিআরসি এই সুবিধা কেবল নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (NTTN) অপারেটরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। মোবাইল অপারেটরদের তখন এই যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। মূলত NTTN অপারেটরদের ব্যবসায়িক সুবিধা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

অবশেষে ১০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিটিআরসি এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

কী এই DWDM?
DWDM এমন একটি প্রযুক্তি যা মোবাইল নেটওয়ার্ককে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করে। এটি একাধিক সিগন্যাল বা ব্যান্ডউইডথ একসঙ্গে পরিবহন করতে সক্ষম, যার ফলে উচ্চগতির এবং নিরবচ্ছিন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব হয়।

অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া
রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি খুব বড় কোনো সাশ্রয় নয়। তবে সুফল তো আছেই। আমাদের খরচ যদি কমে যায়, তাহলে তার সুফল গ্রাহকও পাবেন।’

বাংলালিংকের করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান তাইমুর রহমান বলেন, ‘DWDM ব্যবহারে মাত্র অনুমোদন পেলাম। সময় লাগবে। আমরা দেখব কীভাবে গ্রাহককে সুবিধা দেওয়া যায়।’

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসার
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ১১ কোটি ৬০ লাখ। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশই মোবাইল নেটওয়ার্ক নির্ভর। ফলে DWDM ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য–উভয় ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এই সিদ্ধান্ত মোবাইল অপারেটরদেরকে নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা বাড়ানো ও ব্যয় হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। যদিও স্বল্প মেয়াদে ইন্টারনেট সেবার দামে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম, তবে দীর্ঘ মেয়াদে এটি সাশ্রয়ী এবং উন্নত মানের সেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুখবর

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
ইজারাভিত্তিক অপটিক্যাল ফাইবারে নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের যন্ত্র ব্যবহারে আর বাধা নেই। দীর্ঘদিনের দাবির পর মোবাইল অপারেটরদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে তারা এখন ডেন্স ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (DWDM) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে—যা মোবাইল ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন ও ব্যয় সাশ্রয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এতে করে ইন্টারনেটের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২১ সালের নিষেধাজ্ঞার অবসান
২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোবাইল অপারেটররা বিটিআরসির অনুমোদনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিটিআরসি এই সুবিধা কেবল নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (NTTN) অপারেটরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। মোবাইল অপারেটরদের তখন এই যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। মূলত NTTN অপারেটরদের ব্যবসায়িক সুবিধা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

অবশেষে ১০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিটিআরসি এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

কী এই DWDM?
DWDM এমন একটি প্রযুক্তি যা মোবাইল নেটওয়ার্ককে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে কার্যকরভাবে সংযুক্ত করে। এটি একাধিক সিগন্যাল বা ব্যান্ডউইডথ একসঙ্গে পরিবহন করতে সক্ষম, যার ফলে উচ্চগতির এবং নিরবচ্ছিন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব হয়।

অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া
রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি খুব বড় কোনো সাশ্রয় নয়। তবে সুফল তো আছেই। আমাদের খরচ যদি কমে যায়, তাহলে তার সুফল গ্রাহকও পাবেন।’

বাংলালিংকের করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান তাইমুর রহমান বলেন, ‘DWDM ব্যবহারে মাত্র অনুমোদন পেলাম। সময় লাগবে। আমরা দেখব কীভাবে গ্রাহককে সুবিধা দেওয়া যায়।’

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রসার
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ১১ কোটি ৬০ লাখ। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশই মোবাইল নেটওয়ার্ক নির্ভর। ফলে DWDM ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য–উভয় ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন এই সিদ্ধান্ত মোবাইল অপারেটরদেরকে নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা বাড়ানো ও ব্যয় হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে। যদিও স্বল্প মেয়াদে ইন্টারনেট সেবার দামে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম, তবে দীর্ঘ মেয়াদে এটি সাশ্রয়ী এবং উন্নত মানের সেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।