মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃবুধবার মুন্সিগঞ্জে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে।
মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিরোধিতা করেছেন। চব্বিশের (১৭ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার সুপার মার্কেটের মুক্তিযুদ্ধ ভাষ্কর্য চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তার এই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও বিএনপি-জামায়াতকে রাজাকার বলে গালি দেন তিনি।
এছাড়া গত ১৭ বছরে মুন্সীগঞ্জ জেলার ২০-২৫ জন সাংবাদিককে হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় আসামি করে জেল খাটায় এ আওয়ামী লীগের নেতা উজ্জ্বল। আইসিটি মামলায় ৭ সাংবাদিক-ফটো সাংবাদিককে আসামি করে বাদী হয়ে মামলা করেন উজ্জ্বল। এ মামলায় ৩-৪ জনকে আটক করিয়ে জেল খাটায় এবং তারা ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকেন। পরবর্তীতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে শীত-ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাংবাদিক-ফটোসাংবাদিকরা হাজিরা দেন এবং পরবর্তীতে মামলা থেকে অব্যাহতি পায়।
গত ৬ জুন স্নেহা ইয়াছিন নামে এক নারীকে শহরের বাগমামুদালী পাড়ার হাসপাতালের সড়কে দরবার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করে এবং ওই নারীর টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় উজ্জ্বল ও তার ভাই জুয়েলসহ তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্নেহা ইয়াছিন বাদী হয়ে ৬ জন এজাহারভুক্ত ও ৩/৪ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা রুজু করেন। এতে প্রধান আসামী করা হয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বলসহ সকল আসামী পলাতক রয়েছে।
এবিষয়ে স্নেহা ইয়াছিন বলেন এরা প্রফেশনাল ক্রিমিনাল এদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হক।
সদর থানা ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু হয়েছে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।