শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইতিহাস গড়া হলো না পাকিস্তানের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:২২:১০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮০০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গত কয়েকটা ম্যাচে রান খরার পরও আসাদ শফিকের ওপর আস্থা রাখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই আস্থার দুর্দান্ত প্রতিদানও দিলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তান যে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন, তা তো এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের রানে। তবে কাছাকাছি নিয়ে গিয়েও জয় নিয়ে যেমন মাঠ ছাড়তে পারেননি আসাদ শফিক, তেমনি ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেয়েও ৪৫০ রানে অলআউট হয়ে ৩৯ রানে হেরে গেল পাকিস্তান।অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজহার আলী ও ইউনিস খানের অর্ধ শতকে লক্ষ্যটা সহজ হয়ে আসে। এরপর টেল এন্ডারদের নিয়ে মূল লড়াইটা করেন আসাদ শফিক। অবদান রয়েছে তিন বোলার আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও ইয়াসির শাহেরও। ফলে ৪৯০ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েও শঙ্কায় পড়ে যায় অজিরা। অথচ চাইলে লক্ষ্যটা আরও বড় দিতে পারবেন স্টিভেন স্মিথ। তবে যে দলকে প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানে বেঁধে রেখেছিল অজি বোলাররা, তারা যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ শতাধিক রান করবে এটা কি ভাবতে
পেরেছিলেন তিনি। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ২০২ রান তুলতেই ইনিংস ঘোষণা করেন স্মিথ।

সোমবার মিচেল স্টার্কের করা ১৪৫তম ওভারের বাউন্সি বলে ব্যাটের নিয়ন্ত্রণ হারান আসাদ শফিক (১৩৭)। ক্যাচটি তালুবন্দি করেন ডেভিড ওয়ার্নার। সফরকারীদের আশার প্রদীপকে ফিরিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন অজিরা। তখনো শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন ইয়াসির শাহ (৩৩)। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলে তার রানআউটের মধ্য দিয়ে রেকর্ডময় ম্যাচটির সমাপ্তি ঘটে।

তার আগে আট উইকেটে ৩৮২ রান নিয়ে সোমবার পঞ্চম ও শেষ দিনের ব্যাটিংয়ে নামেন সেঞ্চুরিয়ান শফিক ও ইয়াসির। দু’জন মিলে আরো ২২ ওভার ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্টিভেন স্মিথরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে

ইতিহাস গড়া হলো না পাকিস্তানের !

আপডেট সময় : ০১:২২:১০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

গত কয়েকটা ম্যাচে রান খরার পরও আসাদ শফিকের ওপর আস্থা রাখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই আস্থার দুর্দান্ত প্রতিদানও দিলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তান যে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন, তা তো এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের রানে। তবে কাছাকাছি নিয়ে গিয়েও জয় নিয়ে যেমন মাঠ ছাড়তে পারেননি আসাদ শফিক, তেমনি ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেয়েও ৪৫০ রানে অলআউট হয়ে ৩৯ রানে হেরে গেল পাকিস্তান।অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজহার আলী ও ইউনিস খানের অর্ধ শতকে লক্ষ্যটা সহজ হয়ে আসে। এরপর টেল এন্ডারদের নিয়ে মূল লড়াইটা করেন আসাদ শফিক। অবদান রয়েছে তিন বোলার আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও ইয়াসির শাহেরও। ফলে ৪৯০ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েও শঙ্কায় পড়ে যায় অজিরা। অথচ চাইলে লক্ষ্যটা আরও বড় দিতে পারবেন স্টিভেন স্মিথ। তবে যে দলকে প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানে বেঁধে রেখেছিল অজি বোলাররা, তারা যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ শতাধিক রান করবে এটা কি ভাবতে
পেরেছিলেন তিনি। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ২০২ রান তুলতেই ইনিংস ঘোষণা করেন স্মিথ।

সোমবার মিচেল স্টার্কের করা ১৪৫তম ওভারের বাউন্সি বলে ব্যাটের নিয়ন্ত্রণ হারান আসাদ শফিক (১৩৭)। ক্যাচটি তালুবন্দি করেন ডেভিড ওয়ার্নার। সফরকারীদের আশার প্রদীপকে ফিরিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন অজিরা। তখনো শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন ইয়াসির শাহ (৩৩)। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলে তার রানআউটের মধ্য দিয়ে রেকর্ডময় ম্যাচটির সমাপ্তি ঘটে।

তার আগে আট উইকেটে ৩৮২ রান নিয়ে সোমবার পঞ্চম ও শেষ দিনের ব্যাটিংয়ে নামেন সেঞ্চুরিয়ান শফিক ও ইয়াসির। দু’জন মিলে আরো ২২ ওভার ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্টিভেন স্মিথরা।