ভারী বর্ষণ না হওয়ায় শেরপুর জেলার নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পাহাড়ি ঢলের সম্ভাবনা কমে এসেছে। অপরদিকে আগাম সতর্কবার্তা জারি করায় নিম্নাঞ্চলের পাকা ধান দ্রুত কেটে ফেলায় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
আজ বুধবার (২১ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল থেকেই নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এর আগে চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, তবে এরপর থেকে তা কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ঝিনাইগাতীর সোমেশ্বরী নদী তীরবর্তী বাগেরভিটা এলাকায় একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করলেও উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত বালির বস্তা দিয়ে সেই অংশ মেরামত করেছে।
অন্যদিকে অতিবৃষ্টির কারণে ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় পানি জমেছে। তবে আগে থেকেই সতর্কবার্তা জারি করায় দ্রুত পাকা ধান কেটে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন কৃষকরা।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ইসলাম রাসেল জানান, আগাম সতর্কতার কারণে বেশিরভাগ জমির ধান কৃষকরা কেটে নিতে পেরেছেন। এর ফলে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিলেও খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা প্রশাসনের বন্যা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।