শিরোনাম :
Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান Logo দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন Logo চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহ শুরু Logo চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের Logo দেশের সব বিভাগে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির আভাস Logo ইস্তাম্বুলে রাশিয়া–ইউক্রেনের আলোচনায় নেই পুতিন

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া–ইউক্রেনের আলোচনায় নেই পুতিন

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ক্রেমলিন প্রতিনিধিদের যেই তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই বরে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ আলোচনা হওয়ার কথা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিরেদনে বলা হয়, আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপস্থিতি চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভের ভাষ্য, বৈঠকে পুতিন উপস্থিত না থাকার অর্থ এটাই যে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি আছেন। তবে পুতিনকেও তাতে অংশ নিতে হবে। তিনি পুতিনের সঙ্গে সামনাসামনি আলোচনায় বসবেন।

তবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর পুতিন ও জেলেনস্কি সামনাসামনি হননি। পরবর্তীতে দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ২০২২ সালের মার্চে ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেন একদফা আলোচনায় বসেছিল।

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্ববাসীর নজর রয়েছে ইস্তাম্বুলের দিকে। অনেকেই পুতিন ও জেলেনস্কির সম্ভাব্য সামনাসামনি বৈঠকের দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন।

কিন্তু ক্রেমলিনের প্রকাশিত প্রতিনিধিদের তালিকায় পুতিনের নাম নেই। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাশিয়ার নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি।

এর আগে, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন নিজেই। সোমবার থেকে ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতি শুরুর যে প্রস্তাব কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দিয়েছিল, তার পাল্টা হিসেবে ওই প্রস্তাব দেন তিনি। তবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।

এদিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনতে বড় ভূমিকা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের। তাই ইস্তাম্বুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অংশ নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা

ইস্তাম্বুলে রাশিয়া–ইউক্রেনের আলোচনায় নেই পুতিন

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ক্রেমলিন প্রতিনিধিদের যেই তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই বরে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এ আলোচনা হওয়ার কথা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিরেদনে বলা হয়, আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপস্থিতি চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভের ভাষ্য, বৈঠকে পুতিন উপস্থিত না থাকার অর্থ এটাই যে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি আছেন। তবে পুতিনকেও তাতে অংশ নিতে হবে। তিনি পুতিনের সঙ্গে সামনাসামনি আলোচনায় বসবেন।

তবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর পুতিন ও জেলেনস্কি সামনাসামনি হননি। পরবর্তীতে দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ২০২২ সালের মার্চে ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেন একদফা আলোচনায় বসেছিল।

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্ববাসীর নজর রয়েছে ইস্তাম্বুলের দিকে। অনেকেই পুতিন ও জেলেনস্কির সম্ভাব্য সামনাসামনি বৈঠকের দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন।

কিন্তু ক্রেমলিনের প্রকাশিত প্রতিনিধিদের তালিকায় পুতিনের নাম নেই। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় রাশিয়ার নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি।

এর আগে, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন নিজেই। সোমবার থেকে ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতি শুরুর যে প্রস্তাব কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দিয়েছিল, তার পাল্টা হিসেবে ওই প্রস্তাব দেন তিনি। তবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।

এদিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনতে বড় ভূমিকা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের। তাই ইস্তাম্বুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অংশ নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।