চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে ১০০০ শয্যার প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে লাখো জনতায় গণজমায়েত ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
আজ (১৬ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলাবাসীর ব্যানারে শহরের জজ কোর্ট এলাকায় গণজমায়েত শুরু হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পঞ্চগড় ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এসে গণ জমায়েতটি শেষ হয়। সেখানে তারা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনটি পঞ্চগড় জেলা ছাত্র-শিবিরের সভাপতি জুলফিকার রহমানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, জেলা জাগপার সহসভাপতি নয়ন মাস্টার, সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, গণধিকার পরিষদ পঞ্চগড় জেলার সভাপতি মাহফুজুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, গত ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল চীনের সহযোগিতায় ১০০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ও চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন। কিন্তু পাশের দেশের আপত্তিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায় সেসময়। তারা বলেন আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুর, রংপুর ও নীলফামারীতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। এই জেলাগুলোর দূরত্ব খুবই কম এবং কাছাকাছি। কিন্তু পঞ্চগড় থেকে এই জেলাগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। পঞ্চগড় হাসপাতালে একজন রোগী গুরুতর আহত হয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর, দিনাজপুরে স্থানান্তরিত করা হলে মাঝপথে অনেক সময় মৃত্যু ঘটে। আমরা আর কারো এমন মৃত্যু চাই না। আমাদের নাগরিক দাবি মানসম্মত চিকিৎসা চাই। চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে করতে হবে। তাহলে ভূটান, নেপাল ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে আসবে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসবে। আমরাও বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাবো। পঞ্চগড়ে শুধু ১২ একর জমি নয় শত একর নির্ভেজাল জমি আছে। এখানে যদি হাসপাতালটি করা না হয়, তাহলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেই সাথে আগামী ১৮ এপ্রিল শুক্রবার জুমআর নামাজের পর চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় আবারও গণজমায়েত হবে বলে জানান বক্তারা।