শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

সাহারা মরুভূমি মানুষের তৈরি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের প্রধানতম মরুভূমির পিছনে প্রাকৃতিক কারণ যতটা না ছিল, তার থেকে বেশি মানুষের হাত ছিল বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সাহারা মরুর উৎস নিয়ে গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে আনেন গবেষকরা।

‘ফ্রন্টিয়ারস ইন আর্থ সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেভিড রাইট জানিয়েছেন, ১০ হাজার বছর আগে সাহারা অঞ্চল সবুজ ছিল। পরে তা মরু অঞ্চলে পরিণত হয়। এই পরিবর্তনের পিছনে এতদিন প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ডকেই দেখা হতো। মনে করা হত, পৃথিবীর কক্ষপথগত পরিবর্তনও এই মরুভূমির জারণের পিছনে ক্রিয়শীল থেকেছে।

কিন্তু রাইটের মতে, নব্যপ্রস্তর যুগে এই অঞ্চলে মানবিক কারণেই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে এবং সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে আসে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডে এই প্রকার পরিবর্তন পরেও দেখা গেছে।

সাহারা অঞ্চলের পশুপালন-সভ্যতার নিদর্শনগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ সাহারায় একসময়ে এই সভ্যতা রীতিমতো জীবন্ত ছিল। ক্রমে এই এলাকায় ঝোপ-জাতীয় উদ্ভিদ বাড়তে শুরু করে, যা পরে মরু-তে পরিণতি পায়। আনুমানিক ৮ হাজার বছর আগে নীল নদের অববাহিকায় এক পশ্চিমমুখী অভিপ্রয়াণ দেখা যায়। পশুপালক সভ্যতাগুলো পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করে। সাহারার এক বিপুল এলাকা ঝোপ-অধ্যুষিত হয়ে পড়তে শুরু করে।

পশুপালন অর্থনীতি ক্রমে কৃষির দিকে বেঁকে যায়। পশ্চিমে উর্বর জমির সন্ধানে অভিপ্রয়াণ চলতে থাকে। সাহারা ক্রমেই জনবিরল হয়ে পড়ে। পশুপালনে অরণ্যভূমি আগেই ধ্বংস হয়েছিল। কারণ, পশুপালনের উপযোগী চারণভূমি তৈরি করতে বিপুল হারে গাছ কাটা হয়। অরণ্য ধ্বংস হয়ে যায়। বৃষ্টি স্বভাবতই কমে আসে। মরু তার ডানা প্রসারিত করে সাহারা অঞ্চলে।

নব্যপ্রস্তর যুগের অভিপ্রয়াণ যে পৃথিবীর সাবেক চেহারাটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, এ কথা অনেক গবেষকই বলেন। তাই বলে সাহারার মতো সুবিশাল মরুভূমির পিছনেও যে মানবিক কর্মকাণ্ড প্রধান ভূমিকায় থাকতে পারে, তা এতদিন সেভাবে ভাবা যায়নি।

ডেভিড রাইট আরও জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণার অবকাশ রয়েছে। নব্যপ্রস্তর-অভিপ্রয়াণ হয়েতো আরও চমকপ্রদ সত্যকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে অদূর ভবিষ্যতে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

সাহারা মরুভূমি মানুষের তৈরি !

আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের প্রধানতম মরুভূমির পিছনে প্রাকৃতিক কারণ যতটা না ছিল, তার থেকে বেশি মানুষের হাত ছিল বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সাহারা মরুর উৎস নিয়ে গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে আনেন গবেষকরা।

‘ফ্রন্টিয়ারস ইন আর্থ সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেভিড রাইট জানিয়েছেন, ১০ হাজার বছর আগে সাহারা অঞ্চল সবুজ ছিল। পরে তা মরু অঞ্চলে পরিণত হয়। এই পরিবর্তনের পিছনে এতদিন প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ডকেই দেখা হতো। মনে করা হত, পৃথিবীর কক্ষপথগত পরিবর্তনও এই মরুভূমির জারণের পিছনে ক্রিয়শীল থেকেছে।

কিন্তু রাইটের মতে, নব্যপ্রস্তর যুগে এই অঞ্চলে মানবিক কারণেই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে এবং সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে আসে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডে এই প্রকার পরিবর্তন পরেও দেখা গেছে।

সাহারা অঞ্চলের পশুপালন-সভ্যতার নিদর্শনগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ সাহারায় একসময়ে এই সভ্যতা রীতিমতো জীবন্ত ছিল। ক্রমে এই এলাকায় ঝোপ-জাতীয় উদ্ভিদ বাড়তে শুরু করে, যা পরে মরু-তে পরিণতি পায়। আনুমানিক ৮ হাজার বছর আগে নীল নদের অববাহিকায় এক পশ্চিমমুখী অভিপ্রয়াণ দেখা যায়। পশুপালক সভ্যতাগুলো পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করে। সাহারার এক বিপুল এলাকা ঝোপ-অধ্যুষিত হয়ে পড়তে শুরু করে।

পশুপালন অর্থনীতি ক্রমে কৃষির দিকে বেঁকে যায়। পশ্চিমে উর্বর জমির সন্ধানে অভিপ্রয়াণ চলতে থাকে। সাহারা ক্রমেই জনবিরল হয়ে পড়ে। পশুপালনে অরণ্যভূমি আগেই ধ্বংস হয়েছিল। কারণ, পশুপালনের উপযোগী চারণভূমি তৈরি করতে বিপুল হারে গাছ কাটা হয়। অরণ্য ধ্বংস হয়ে যায়। বৃষ্টি স্বভাবতই কমে আসে। মরু তার ডানা প্রসারিত করে সাহারা অঞ্চলে।

নব্যপ্রস্তর যুগের অভিপ্রয়াণ যে পৃথিবীর সাবেক চেহারাটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, এ কথা অনেক গবেষকই বলেন। তাই বলে সাহারার মতো সুবিশাল মরুভূমির পিছনেও যে মানবিক কর্মকাণ্ড প্রধান ভূমিকায় থাকতে পারে, তা এতদিন সেভাবে ভাবা যায়নি।

ডেভিড রাইট আরও জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণার অবকাশ রয়েছে। নব্যপ্রস্তর-অভিপ্রয়াণ হয়েতো আরও চমকপ্রদ সত্যকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে অদূর ভবিষ্যতে।