শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

সাহারা মরুভূমি মানুষের তৈরি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের প্রধানতম মরুভূমির পিছনে প্রাকৃতিক কারণ যতটা না ছিল, তার থেকে বেশি মানুষের হাত ছিল বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সাহারা মরুর উৎস নিয়ে গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে আনেন গবেষকরা।

‘ফ্রন্টিয়ারস ইন আর্থ সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেভিড রাইট জানিয়েছেন, ১০ হাজার বছর আগে সাহারা অঞ্চল সবুজ ছিল। পরে তা মরু অঞ্চলে পরিণত হয়। এই পরিবর্তনের পিছনে এতদিন প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ডকেই দেখা হতো। মনে করা হত, পৃথিবীর কক্ষপথগত পরিবর্তনও এই মরুভূমির জারণের পিছনে ক্রিয়শীল থেকেছে।

কিন্তু রাইটের মতে, নব্যপ্রস্তর যুগে এই অঞ্চলে মানবিক কারণেই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে এবং সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে আসে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডে এই প্রকার পরিবর্তন পরেও দেখা গেছে।

সাহারা অঞ্চলের পশুপালন-সভ্যতার নিদর্শনগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ সাহারায় একসময়ে এই সভ্যতা রীতিমতো জীবন্ত ছিল। ক্রমে এই এলাকায় ঝোপ-জাতীয় উদ্ভিদ বাড়তে শুরু করে, যা পরে মরু-তে পরিণতি পায়। আনুমানিক ৮ হাজার বছর আগে নীল নদের অববাহিকায় এক পশ্চিমমুখী অভিপ্রয়াণ দেখা যায়। পশুপালক সভ্যতাগুলো পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করে। সাহারার এক বিপুল এলাকা ঝোপ-অধ্যুষিত হয়ে পড়তে শুরু করে।

পশুপালন অর্থনীতি ক্রমে কৃষির দিকে বেঁকে যায়। পশ্চিমে উর্বর জমির সন্ধানে অভিপ্রয়াণ চলতে থাকে। সাহারা ক্রমেই জনবিরল হয়ে পড়ে। পশুপালনে অরণ্যভূমি আগেই ধ্বংস হয়েছিল। কারণ, পশুপালনের উপযোগী চারণভূমি তৈরি করতে বিপুল হারে গাছ কাটা হয়। অরণ্য ধ্বংস হয়ে যায়। বৃষ্টি স্বভাবতই কমে আসে। মরু তার ডানা প্রসারিত করে সাহারা অঞ্চলে।

নব্যপ্রস্তর যুগের অভিপ্রয়াণ যে পৃথিবীর সাবেক চেহারাটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, এ কথা অনেক গবেষকই বলেন। তাই বলে সাহারার মতো সুবিশাল মরুভূমির পিছনেও যে মানবিক কর্মকাণ্ড প্রধান ভূমিকায় থাকতে পারে, তা এতদিন সেভাবে ভাবা যায়নি।

ডেভিড রাইট আরও জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণার অবকাশ রয়েছে। নব্যপ্রস্তর-অভিপ্রয়াণ হয়েতো আরও চমকপ্রদ সত্যকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে অদূর ভবিষ্যতে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

সাহারা মরুভূমি মানুষের তৈরি !

আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের প্রধানতম মরুভূমির পিছনে প্রাকৃতিক কারণ যতটা না ছিল, তার থেকে বেশি মানুষের হাত ছিল বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সাহারা মরুর উৎস নিয়ে গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে আনেন গবেষকরা।

‘ফ্রন্টিয়ারস ইন আর্থ সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ডেভিড রাইট জানিয়েছেন, ১০ হাজার বছর আগে সাহারা অঞ্চল সবুজ ছিল। পরে তা মরু অঞ্চলে পরিণত হয়। এই পরিবর্তনের পিছনে এতদিন প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ডকেই দেখা হতো। মনে করা হত, পৃথিবীর কক্ষপথগত পরিবর্তনও এই মরুভূমির জারণের পিছনে ক্রিয়শীল থেকেছে।

কিন্তু রাইটের মতে, নব্যপ্রস্তর যুগে এই অঞ্চলে মানবিক কারণেই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে এবং সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে আসে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডে এই প্রকার পরিবর্তন পরেও দেখা গেছে।

সাহারা অঞ্চলের পশুপালন-সভ্যতার নিদর্শনগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ সাহারায় একসময়ে এই সভ্যতা রীতিমতো জীবন্ত ছিল। ক্রমে এই এলাকায় ঝোপ-জাতীয় উদ্ভিদ বাড়তে শুরু করে, যা পরে মরু-তে পরিণতি পায়। আনুমানিক ৮ হাজার বছর আগে নীল নদের অববাহিকায় এক পশ্চিমমুখী অভিপ্রয়াণ দেখা যায়। পশুপালক সভ্যতাগুলো পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করে। সাহারার এক বিপুল এলাকা ঝোপ-অধ্যুষিত হয়ে পড়তে শুরু করে।

পশুপালন অর্থনীতি ক্রমে কৃষির দিকে বেঁকে যায়। পশ্চিমে উর্বর জমির সন্ধানে অভিপ্রয়াণ চলতে থাকে। সাহারা ক্রমেই জনবিরল হয়ে পড়ে। পশুপালনে অরণ্যভূমি আগেই ধ্বংস হয়েছিল। কারণ, পশুপালনের উপযোগী চারণভূমি তৈরি করতে বিপুল হারে গাছ কাটা হয়। অরণ্য ধ্বংস হয়ে যায়। বৃষ্টি স্বভাবতই কমে আসে। মরু তার ডানা প্রসারিত করে সাহারা অঞ্চলে।

নব্যপ্রস্তর যুগের অভিপ্রয়াণ যে পৃথিবীর সাবেক চেহারাটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, এ কথা অনেক গবেষকই বলেন। তাই বলে সাহারার মতো সুবিশাল মরুভূমির পিছনেও যে মানবিক কর্মকাণ্ড প্রধান ভূমিকায় থাকতে পারে, তা এতদিন সেভাবে ভাবা যায়নি।

ডেভিড রাইট আরও জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণার অবকাশ রয়েছে। নব্যপ্রস্তর-অভিপ্রয়াণ হয়েতো আরও চমকপ্রদ সত্যকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে অদূর ভবিষ্যতে।