শিরোনাম :
Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম Logo আম্মা-আব্বা আমাকে মাফ করে দিবেন; আমি আপনাদের ভালো মেয়ে হতে পারি নাই

এমপি হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করতে চাই

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার বয়স এখন ২৫ বছর আছে, এটা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চান বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ। দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষা কতটা ধারণ করতে পারছে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত মনে করি, তাদের কিছু ঘাটতি আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই একটা সুপারিশ আমরা করব ভেবেছি। একটা হচ্ছে, সংসদ সদস্য হওয়ার যে বয়স তা আমরা কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এখন ২৫ বছর আছে, আমরা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণদের অংশগ্রহণের জায়গা তৈরি করতে হবে যাতে করে তারা সংসদে আসতে পারে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

সংবিধান সংস্কারে আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু কিছু দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের প্রস্তাবগুলো দিয়েছে। সেগুলোও আমরা বিবেচনা করেছি। একটা ক্রাইটেরিয়া আমরা ব্যবহার করেছি যেটা ৩ নভেম্বর আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি। যারা প্রত্যক্ষভাবে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব না। এই অধিকারটা তারা নিজেরাই হারিয়েছে। ওইসব দল বাদ দিয়ে আমরা সবার কথাই বিবেচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনে এমন নিবন্ধিত দলও আছে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে। অনিয়ম আছে এখানে। ফলে সেটা বিবেচনা করলে হবে না। আবার এমন দল আছে যাদের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিন্তু দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, এমন সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেগুলো আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের ওপর এক ধরনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা ছিল। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে রাজনৈতিক দলগুলো কারা, সক্রিয় কারা, এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে কারা ধারণ করছেন, কারা যুক্ত থেকেছেন এবং কিভাবে তারা ভূমিকা রেখেছেন- তাদের সবার কাছে আমরা গিয়েছি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

এমপি হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করতে চাই

আপডেট সময় : ০৬:৫১:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার বয়স এখন ২৫ বছর আছে, এটা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চান বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ। দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাজনৈতিক দলগুলো তরুণদের আকাঙ্ক্ষা কতটা ধারণ করতে পারছে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত মনে করি, তাদের কিছু ঘাটতি আছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই একটা সুপারিশ আমরা করব ভেবেছি। একটা হচ্ছে, সংসদ সদস্য হওয়ার যে বয়স তা আমরা কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এখন ২৫ বছর আছে, আমরা ২১ বছরে নিয়ে আসতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণদের অংশগ্রহণের জায়গা তৈরি করতে হবে যাতে করে তারা সংসদে আসতে পারে, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

সংবিধান সংস্কারে আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু কিছু দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের প্রস্তাবগুলো দিয়েছে। সেগুলোও আমরা বিবেচনা করেছি। একটা ক্রাইটেরিয়া আমরা ব্যবহার করেছি যেটা ৩ নভেম্বর আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি। যারা প্রত্যক্ষভাবে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব না। এই অধিকারটা তারা নিজেরাই হারিয়েছে। ওইসব দল বাদ দিয়ে আমরা সবার কথাই বিবেচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনে এমন নিবন্ধিত দলও আছে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে। অনিয়ম আছে এখানে। ফলে সেটা বিবেচনা করলে হবে না। আবার এমন দল আছে যাদের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিন্তু দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, এমন সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেগুলো আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের ওপর এক ধরনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা ছিল। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে রাজনৈতিক দলগুলো কারা, সক্রিয় কারা, এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে কারা ধারণ করছেন, কারা যুক্ত থেকেছেন এবং কিভাবে তারা ভূমিকা রেখেছেন- তাদের সবার কাছে আমরা গিয়েছি।’