হার্ড ড্রাইভে নয় এবার ডেটা রাখা যাবে ডিএনএতে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের কম্পিউটারে প্রতিদিন কিছু না কিছু ডেটা জমা হচ্ছে যার ফলে স্পেসও কমে আসছে হার্ড ড্রাইভে। ফলে কত কম জায়গায় কত বেশি ডেটা রাখা যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তার শেষ নেই। প্রতিদিন চলছে নিত্য নতুন গবেষণা। বেরোচ্ছে নিত্য-নতুন আবিষ্কার। অথচ আমাদের জিনের মধ্যেই কত না তথ্য জমিয়ে রাখা আছে! যুগ যুগ ধরে এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যা আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি। ডিএনএ-তে ভরা ওই সব তথ্যই ঠিক করে দিচ্ছে কেমন হবে কার চেহারা ও বৈশিষ্ট্য।

এই ডিএনএ-র মধ্যেই এ বার ডিজিটাল তথ্য রাখার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিজ্ঞানী ইয়ানিভ এরলিখ ও ডিনা জিএলিস্কি এবং নিউ ইয়র্ক জিনোম সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। মাত্র এক গ্রাম ডিএনএ-র মধ্যেই তাঁরা ভরে দিয়েছেন একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও একটি ভাইরাস প্রোগ্রাম, 8 এমএম-এর একটি ফিল্ম, একটি সংস্থার ডিজিটাল গিফট কার্ড, আরও বেশ কিছু ডেটা। অণু-পরমাণু-সৌরজগতের কাঠামো আর এক নারী ও পুরুষের ছবি ও তথ্য ভরা যে ‘পাওনিয়ার প্লেক’ অতীতে গভীর মহাকাশে পাঠানো হয়েছে অজানা কোনো বুদ্ধিমান জীবের উদ্দেশ্যে— তেমন একটির ডেটাও ভরা হয়েছে। মোট ২১৫ পেটাবাইট। অর্থাৎ ১ গ্রাম ডিএনএ-তে ২১.৫ কোটি জিবি ডেটা!

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেন, তথ্য ভরা ডিএনএ তাঁরা এনজাইমের মাধ্যমে বারবার ‘কপি’ করেছেন। নিখুঁত ডেটা ফেরত পেয়েছেন বার বার কপি করার পরেও। তবে জিনের জোগান পর্যাপ্ত হলেও এই প্রক্রিয়াটির খরচ যথেষ্ট। ডেটা রাখতে ৭ হাজার ডলার ও তা ফেরত পেতে আরও ২ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে ইয়ানিভদের। তবে গবেষকরা বলছেন, তথ্য রাখার পক্ষে ডিএনএ হচ্ছে প্রকৃতির তৈরি আদর্শ পাত্র। যাতে সব চেয়ে কম জায়গায় সব চেয়ে বেশি তথ্য থাকে। কয়েক হাজার বছর সংরক্ষণ করা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হার্ড ড্রাইভে নয় এবার ডেটা রাখা যাবে ডিএনএতে !

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের কম্পিউটারে প্রতিদিন কিছু না কিছু ডেটা জমা হচ্ছে যার ফলে স্পেসও কমে আসছে হার্ড ড্রাইভে। ফলে কত কম জায়গায় কত বেশি ডেটা রাখা যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তার শেষ নেই। প্রতিদিন চলছে নিত্য নতুন গবেষণা। বেরোচ্ছে নিত্য-নতুন আবিষ্কার। অথচ আমাদের জিনের মধ্যেই কত না তথ্য জমিয়ে রাখা আছে! যুগ যুগ ধরে এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে যা আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি। ডিএনএ-তে ভরা ওই সব তথ্যই ঠিক করে দিচ্ছে কেমন হবে কার চেহারা ও বৈশিষ্ট্য।

এই ডিএনএ-র মধ্যেই এ বার ডিজিটাল তথ্য রাখার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিজ্ঞানী ইয়ানিভ এরলিখ ও ডিনা জিএলিস্কি এবং নিউ ইয়র্ক জিনোম সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। মাত্র এক গ্রাম ডিএনএ-র মধ্যেই তাঁরা ভরে দিয়েছেন একটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও একটি ভাইরাস প্রোগ্রাম, 8 এমএম-এর একটি ফিল্ম, একটি সংস্থার ডিজিটাল গিফট কার্ড, আরও বেশ কিছু ডেটা। অণু-পরমাণু-সৌরজগতের কাঠামো আর এক নারী ও পুরুষের ছবি ও তথ্য ভরা যে ‘পাওনিয়ার প্লেক’ অতীতে গভীর মহাকাশে পাঠানো হয়েছে অজানা কোনো বুদ্ধিমান জীবের উদ্দেশ্যে— তেমন একটির ডেটাও ভরা হয়েছে। মোট ২১৫ পেটাবাইট। অর্থাৎ ১ গ্রাম ডিএনএ-তে ২১.৫ কোটি জিবি ডেটা!

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেন, তথ্য ভরা ডিএনএ তাঁরা এনজাইমের মাধ্যমে বারবার ‘কপি’ করেছেন। নিখুঁত ডেটা ফেরত পেয়েছেন বার বার কপি করার পরেও। তবে জিনের জোগান পর্যাপ্ত হলেও এই প্রক্রিয়াটির খরচ যথেষ্ট। ডেটা রাখতে ৭ হাজার ডলার ও তা ফেরত পেতে আরও ২ হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে ইয়ানিভদের। তবে গবেষকরা বলছেন, তথ্য রাখার পক্ষে ডিএনএ হচ্ছে প্রকৃতির তৈরি আদর্শ পাত্র। যাতে সব চেয়ে কম জায়গায় সব চেয়ে বেশি তথ্য থাকে। কয়েক হাজার বছর সংরক্ষণ করা যায়।