শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দ্বিগুণ রাতারাতি চুয়াডাঙ্গায়

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টির অজুহাতে আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। একদিনের ব্যবধানে ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা পণ্য। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে সব প্রকার সবজিতে। ফলে দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে বেগুন, পটল, কচু, আলু, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ আরো অন্যান্য সব ধরনের সবজির। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব ধরনের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দুইদিন বৃষ্টি আর দেশের ১০ জেলায় বন্যার প্রভাবে আমদানি কমেছে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের। ফলে ওই সব বন্যা কবলিত জেলায় কাঁচা মরিচের রপ্তানির কারণে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা গেছে। তাই দামটাও বেড়েছে আকাশ সমান। এক দিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের নাটকীয় দাম নিয়ে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গেছে।

অপরদিকে, গত দু সপ্তাহ আগে থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থল বন্দর থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবুও বাজারে এখনো আলুর দাম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমদানি করা হলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে আলুর দরে কোন সুবাতাস নেই।

এছাড়া দাম বেড়েছে বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি কাঁচা কলা, পটলের দাম কেজিতে বেড়ে ১৫ টাকা, আর এক কেজি কচুর দাম ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সব প্রকার সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠছে। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি পর্যায়ে ১০০ টাকা কেজি আর খুচরা পর্যায়ে ১১০ টাকায়। রসুন পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা খুচরায় ২০ টাকা বাড়তি। আদার দামে ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সাথে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। এক খাচি ডিমের দাম ৩৯০ টাকা। এমন অবস্থায় দিনকে দিন বাজার হয়ে উঠছে অস্বাভাবিক।
বাজারে আসা এক ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি ঝালের দাম নিল ৩৩০ টাকা। এখানে যদি অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়। তাহলে আর সব জিনিস কিনবো কিভাবে। গত সপ্তাহে ঝালের দাম নিয়েছিল ১৩০ টাকা। সেই ঝালের দাম আজকে তিন ডাবল। ঝাল কিনবো না আমিষ কিনবো বুঝতে পারছি না।

আরেক ক্রেতা রাজিব হাসান বলেন, বাজারে কোন সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। বেগুন ৯০ টাকা কেজি। আর সব প্রকার সবজি ৫০ টাকা উপরে মানে ৬০ ও ৭০ টাকা কেজি। এই রকম দাম বৃদ্ধি পেলে বাজারে আসলে নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই সব ধরনের সবজির দাম কমলে সাধারণ মানুষ বাঁচে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে খাদ্য পন্যের দাম কমলে স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির প্রভাবে আমদানি কমে গেছে সব ধরনের সবজির। এই সাথে একবারেই আমদানি নেই কাঁচা মরিচে। তাই দামটাও বেশি। তবে আগামি সপ্তাহ থেকে বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ দ্বিগুণ রাতারাতি চুয়াডাঙ্গায়

আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

বৃষ্টির অজুহাতে আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। একদিনের ব্যবধানে ৩৩০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কাঁচা পণ্য। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গেছে সব প্রকার সবজিতে। ফলে দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম বেড়েছে বেগুন, পটল, কচু, আলু, পেয়াঁজ, আদা, রসুনসহ আরো অন্যান্য সব ধরনের সবজির। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারসহ অন্যান্য সব ধরনের বাজারে এই অস্বাভাবিক দামের চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দুইদিন বৃষ্টি আর দেশের ১০ জেলায় বন্যার প্রভাবে আমদানি কমেছে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের। ফলে ওই সব বন্যা কবলিত জেলায় কাঁচা মরিচের রপ্তানির কারণে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় বাজারে সংকট দেখা গেছে। তাই দামটাও বেড়েছে আকাশ সমান। এক দিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা বেড়ে কেজিতে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা আগের দিনও ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের নাটকীয় দাম নিয়ে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গেছে।

অপরদিকে, গত দু সপ্তাহ আগে থেকে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থল বন্দর থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবুও বাজারে এখনো আলুর দাম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমদানি করা হলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে আলুর দরে কোন সুবাতাস নেই।

এছাড়া দাম বেড়েছে বেগুনের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি কাঁচা কলা, পটলের দাম কেজিতে বেড়ে ১৫ টাকা, আর এক কেজি কচুর দাম ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারের সব প্রকার সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে বাজারে আসা ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠছে। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পাইকারি পর্যায়ে ১০০ টাকা কেজি আর খুচরা পর্যায়ে ১১০ টাকায়। রসুন পাইকারি পর্যায়ে ২০০ টাকা খুচরায় ২০ টাকা বাড়তি। আদার দামে ৩০ টাকা কমে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সাথে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। এক খাচি ডিমের দাম ৩৯০ টাকা। এমন অবস্থায় দিনকে দিন বাজার হয়ে উঠছে অস্বাভাবিক।
বাজারে আসা এক ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, বাজারে এক কেজি ঝালের দাম নিল ৩৩০ টাকা। এখানে যদি অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যায়। তাহলে আর সব জিনিস কিনবো কিভাবে। গত সপ্তাহে ঝালের দাম নিয়েছিল ১৩০ টাকা। সেই ঝালের দাম আজকে তিন ডাবল। ঝাল কিনবো না আমিষ কিনবো বুঝতে পারছি না।

আরেক ক্রেতা রাজিব হাসান বলেন, বাজারে কোন সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। বেগুন ৯০ টাকা কেজি। আর সব প্রকার সবজি ৫০ টাকা উপরে মানে ৬০ ও ৭০ টাকা কেজি। এই রকম দাম বৃদ্ধি পেলে বাজারে আসলে নাভিশ্বাস অবস্থা। তাই সব ধরনের সবজির দাম কমলে সাধারণ মানুষ বাঁচে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে। দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে খাদ্য পন্যের দাম কমলে স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির প্রভাবে আমদানি কমে গেছে সব ধরনের সবজির। এই সাথে একবারেই আমদানি নেই কাঁচা মরিচে। তাই দামটাও বেশি। তবে আগামি সপ্তাহ থেকে বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।