দশম পোলট্রি শো শুরু ২ মার্চ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রাজধানীতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় তিন দিনব্যাপী দশম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো ও সেমিনার-২০১৭। এবারের পোলট্রি  শোর স্লোগান হচ্ছে ‘পোলট্রি ফর বেটার টুমরো’।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ওয়াল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওয়াপসা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, গ্রাম থেকে শহরের সব  স্তরের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে ডিম ও মুরগীর মাংসের যোগান নিশ্চিত করেছে পোলট্রি শিল্প। একমাত্র এই শিল্পেই কম সময়ে, সবচেয়ে কম জমি ব্যবহার করে অধিক প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন করতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ফলে।

খালেদ বলেন, আমাদের দেশের মানুষ গড়ে যে পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। উন্নত দেশের তুলনায় প্রাণিজ আমিষের ইনটেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ ঘাটতি পূরণে একদিকে যেমন প্রাণিজ আমিষের ইনটেক বাড়াতে হবে অন্যদিকে আবার তা যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাণিজ আমিষ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য গ্রামীণ জনশক্তিকে পুষ্টি দিতে হবে। যা একমাত্র পোলট্রি শিল্পেই সম্ভব। গ্রামীণ জনশক্তিকে পুষ্টি দিতে না পারলে দারিদ্র বিমোচনও সম্ভব হবে না। এ লক্ষ্যে ডিম এবং মুরগির দাম কমিয়ে আনতে হবে। না হলে দরিদ্র জনগণকে খাওয়ানো যাবে না। আর এজন্য এই শিল্পের উৎপাদন ব্যায় কমিয়ে আনতে হবে।

পোলট্রি শোর বিভিন্ন আয়োজনের কথা উল্লেখ করে ওয়াপসা সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক বলেন, এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি ১৯৫টি পোলট্রি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হবেন। মেলায় থাকছে ৪৯০টি স্টল। বিশ্বের ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা তিন দিনব্যাপী এ শোতে অংশ নিচ্ছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পোলট্রি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা মোট ১০৪টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপন করবেন।

সিরাজুল হক বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ এই শিল্পে এক কোটিরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্ভরশীলতা তৈরি হবে। নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করছে এ খাত। ২০২১ সাল নাগাদ এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই শিল্প খুব শিগগিরই রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দশম পোলট্রি শো শুরু ২ মার্চ !

আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রাজধানীতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় তিন দিনব্যাপী দশম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো ও সেমিনার-২০১৭। এবারের পোলট্রি  শোর স্লোগান হচ্ছে ‘পোলট্রি ফর বেটার টুমরো’।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ওয়াল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওয়াপসা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, গ্রাম থেকে শহরের সব  স্তরের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে ডিম ও মুরগীর মাংসের যোগান নিশ্চিত করেছে পোলট্রি শিল্প। একমাত্র এই শিল্পেই কম সময়ে, সবচেয়ে কম জমি ব্যবহার করে অধিক প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন করতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ফলে।

খালেদ বলেন, আমাদের দেশের মানুষ গড়ে যে পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। উন্নত দেশের তুলনায় প্রাণিজ আমিষের ইনটেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ ঘাটতি পূরণে একদিকে যেমন প্রাণিজ আমিষের ইনটেক বাড়াতে হবে অন্যদিকে আবার তা যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রাণিজ আমিষ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য গ্রামীণ জনশক্তিকে পুষ্টি দিতে হবে। যা একমাত্র পোলট্রি শিল্পেই সম্ভব। গ্রামীণ জনশক্তিকে পুষ্টি দিতে না পারলে দারিদ্র বিমোচনও সম্ভব হবে না। এ লক্ষ্যে ডিম এবং মুরগির দাম কমিয়ে আনতে হবে। না হলে দরিদ্র জনগণকে খাওয়ানো যাবে না। আর এজন্য এই শিল্পের উৎপাদন ব্যায় কমিয়ে আনতে হবে।

পোলট্রি শোর বিভিন্ন আয়োজনের কথা উল্লেখ করে ওয়াপসা সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক বলেন, এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি ১৯৫টি পোলট্রি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হবেন। মেলায় থাকছে ৪৯০টি স্টল। বিশ্বের ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা তিন দিনব্যাপী এ শোতে অংশ নিচ্ছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পোলট্রি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা মোট ১০৪টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপন করবেন।

সিরাজুল হক বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ এই শিল্পে এক কোটিরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্ভরশীলতা তৈরি হবে। নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করছে এ খাত। ২০২১ সাল নাগাদ এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই শিল্প খুব শিগগিরই রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করবে।