চোখ ওঠা ও সর্দি-কাশি বাড়ছে, আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:০২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৯২ বার পড়া হয়েছে

ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে কিছু রোগ বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি চোখ ওঠা। চিকিৎসা বিদ্যায় এর নাম কনজাংটিভাইটিস। রাজধানীজুড়ে সম্প্রতি এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সাধারণত গ্রীষ্মে এ রোগ দেখা দিলেও এবার শরতে বেশি দেখা যাচ্ছে। পরিবারের একজন এ রোগে আক্রান্ত হলে বাকিদের মধ্যেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝেও।

রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চোখ ওঠা শুরু হয়েছে। একজন আক্রান্ত হলে দ্রুত সেটি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। অতি ছোঁয়াচে এই রোগ বেশি ভোগাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের। চোখ ওঠা রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল সাময়িক বন্ধ বা আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে দিচ্ছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান।

শুধু চোখ ওঠা নয়, বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীতে সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপও বেড়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার কমেছে। অসুস্থ যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে, তাদের আলাদা কক্ষে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। চোখ ওঠার ক্ষেত্রে ক্লাসে আসার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাধ্য করা হচ্ছে না।

যাত্রাবাড়ীর সানবীম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৩০ জন খুদে শিক্ষার্থী। তাদের সবাইকে আগামী শনিবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের আপাতত বাসায় থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বিলকিস বেগম।

রাজধানীর ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। প্রতি ক্লাসেই দুয়েকজনের চোখ উঠেছে। যাদের চোখ উঠেছে, আমরা তাদের কালো চশমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। তারা ক্লাসে আসতে পারছে। তবে, তাদের আলাদা করে বসাচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি

চোখ ওঠা ও সর্দি-কাশি বাড়ছে, আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ১০:০৯:০২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে কিছু রোগ বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি চোখ ওঠা। চিকিৎসা বিদ্যায় এর নাম কনজাংটিভাইটিস। রাজধানীজুড়ে সম্প্রতি এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সাধারণত গ্রীষ্মে এ রোগ দেখা দিলেও এবার শরতে বেশি দেখা যাচ্ছে। পরিবারের একজন এ রোগে আক্রান্ত হলে বাকিদের মধ্যেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝেও।

রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চোখ ওঠা শুরু হয়েছে। একজন আক্রান্ত হলে দ্রুত সেটি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। অতি ছোঁয়াচে এই রোগ বেশি ভোগাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের। চোখ ওঠা রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল সাময়িক বন্ধ বা আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে দিচ্ছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান।

শুধু চোখ ওঠা নয়, বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীতে সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপও বেড়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার কমেছে। অসুস্থ যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছে, তাদের আলাদা কক্ষে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। চোখ ওঠার ক্ষেত্রে ক্লাসে আসার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাধ্য করা হচ্ছে না।

যাত্রাবাড়ীর সানবীম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চোখ ওঠা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৩০ জন খুদে শিক্ষার্থী। তাদের সবাইকে আগামী শনিবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের আপাতত বাসায় থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বিলকিস বেগম।

রাজধানীর ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। প্রতি ক্লাসেই দুয়েকজনের চোখ উঠেছে। যাদের চোখ উঠেছে, আমরা তাদের কালো চশমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। তারা ক্লাসে আসতে পারছে। তবে, তাদের আলাদা করে বসাচ্ছি।