শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চালু

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • ৮২৮ বার পড়া হয়েছে

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু করেছে গ্রিন লাইন পরিবহন। এ পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। ভারতের কলকাতার নিউমার্কেটের পার্কস্ট্রিট থেকে বুধবার বেলা একটার দিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজায় আসে। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়।

বাসটির যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশ। অনেক আত্মীয় থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। শেকড়ের টানে বাংলাদেশে আসি। যাতায়াতব্যবস্থা ছিল কষ্টের ও ভোগান্তির। রাতে যখন বাসে পদ্মা সেতু পার হই, তখন অনেক আনন্দ লেগেছে। আমাদের গঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া নদী পদ্মা। সেখানে সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন সোহানুর রহিম। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ২০ জুন কলকাতায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় প্লেনে গেলেও এসেছেন গ্রিন লাইনের বাসে। সোহানুর বলেন, পদ্মা সেতু পার হতেই কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় এসেছেন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময় অন্য রকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। নিজেদের টাকায় নিজেদের সেতু, সে এক অন্য রকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসটির মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতের নাগরিক। পরিবহনটির ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আগে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে ফেরিঘাটেই তিন-চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। আর এখন একটানেই পদ্মার মতো বিশাল নদী পার হতে পারব। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন একটি পরিবর্তন আনায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চালু

আপডেট সময় : ১০:৫২:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু দিয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু করেছে গ্রিন লাইন পরিবহন। এ পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। ভারতের কলকাতার নিউমার্কেটের পার্কস্ট্রিট থেকে বুধবার বেলা একটার দিকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজায় আসে। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়।

বাসটির যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষের জন্মভিটা বাংলাদেশ। অনেক আত্মীয় থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। শেকড়ের টানে বাংলাদেশে আসি। যাতায়াতব্যবস্থা ছিল কষ্টের ও ভোগান্তির। রাতে যখন বাসে পদ্মা সেতু পার হই, তখন অনেক আনন্দ লেগেছে। আমাদের গঙ্গা থেকে বয়ে যাওয়া নদী পদ্মা। সেখানে সেতু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন সোহানুর রহিম। চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ২০ জুন কলকাতায় গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় প্লেনে গেলেও এসেছেন গ্রিন লাইনের বাসে। সোহানুর বলেন, পদ্মা সেতু পার হতেই কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় এসেছেন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করার সময় অন্য রকম অনুভূতি মনে জেগেছিল। নিজেদের টাকায় নিজেদের সেতু, সে এক অন্য রকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসটির মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতের নাগরিক। পরিবহনটির ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আগে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে ফেরিঘাটেই তিন-চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হতো। আর এখন একটানেই পদ্মার মতো বিশাল নদী পার হতে পারব। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন একটি পরিবর্তন আনায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’