শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

চুয়াডাঙ্গায় দুই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় এক চিকিৎসকের অপচিকিৎসার সুযোগ নিয়ে তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া দুই সংবাদকর্মীর সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের মল্লিক ফার্মেসীতে বসা চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুনের নিকট থেকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কথিত দুই সংবাদকর্মী উপর মহলে দৌঁড়ঝাপসহ টাকা ফেরত দিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
দোকান মালিক ও চিকিৎসক বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার আহসান আলম ও সাইফ জাহান বৃহস্পতিবার সকালে মল্লিক ফার্মেসীতে আসেন। এসময় ঝিনাইদহ থেকে আসা চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই ফার্মেসিতে রোগী দেখছিল। দুই সংবাদকর্মী সরাসরি ডাক্তারের চেম্বারের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারা ডাক্তারের যাবতীয় কাগজপত্র দেখে অপচিকিৎসার অভিযোগ তুলে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। চিকিৎসক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল জরিমানা করার হুমকি দেয় সংবাদকর্মি পরিচয়ে দু’জন। এসময় চিকিৎসক প্রথমে দুই হাজার টাকা দেয়। এই টাকা না নিয়ে ৪ হাজার টাকা দাবি করে। এই দু’জন সংবাদকর্মীকে ৪ হাজার টাকা দেওয়া হলে তারা টাকা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ।
এদিকে, এই চিকিৎসকের ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন উঠে। একজন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ সার্জন না হয়েও নাকের পলিপাসের কিভাবে চিকিৎসা দেন। এই নিয়েও সচেতন মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে শহরজুড়ে। সবাই বলছেন যেমন- ডিগ্রীবিহীন চিকিৎসক ঠিক তেমনি সাংবাদিক।
এছাড়া ওই ফার্মেসির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই দুই সংবাদকর্মী নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করতে থাকে এবং চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া ফেসবুকে এই ফুটেজ যিনি পোস্ট করেন, তার কাছে যেয়ে এই দুই সাংবাদিক ক্ষমা চেয়ে পোস্ট ডিলিট করতে অনুরোধও করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
কথিত সংবাদকর্মী আহসান আলম বলেন- আমি কোন চাঁদাবজি করেনি। বরং বিজ্ঞাপনের টাকা আনতে গেছিলাম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

চুয়াডাঙ্গায় দুই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় এক চিকিৎসকের অপচিকিৎসার সুযোগ নিয়ে তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া দুই সংবাদকর্মীর সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের মল্লিক ফার্মেসীতে বসা চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুনের নিকট থেকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কথিত দুই সংবাদকর্মী উপর মহলে দৌঁড়ঝাপসহ টাকা ফেরত দিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
দোকান মালিক ও চিকিৎসক বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার আহসান আলম ও সাইফ জাহান বৃহস্পতিবার সকালে মল্লিক ফার্মেসীতে আসেন। এসময় ঝিনাইদহ থেকে আসা চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই ফার্মেসিতে রোগী দেখছিল। দুই সংবাদকর্মী সরাসরি ডাক্তারের চেম্বারের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারা ডাক্তারের যাবতীয় কাগজপত্র দেখে অপচিকিৎসার অভিযোগ তুলে মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। চিকিৎসক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল জরিমানা করার হুমকি দেয় সংবাদকর্মি পরিচয়ে দু’জন। এসময় চিকিৎসক প্রথমে দুই হাজার টাকা দেয়। এই টাকা না নিয়ে ৪ হাজার টাকা দাবি করে। এই দু’জন সংবাদকর্মীকে ৪ হাজার টাকা দেওয়া হলে তারা টাকা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ।
এদিকে, এই চিকিৎসকের ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন উঠে। একজন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ সার্জন না হয়েও নাকের পলিপাসের কিভাবে চিকিৎসা দেন। এই নিয়েও সচেতন মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে শহরজুড়ে। সবাই বলছেন যেমন- ডিগ্রীবিহীন চিকিৎসক ঠিক তেমনি সাংবাদিক।
এছাড়া ওই ফার্মেসির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই দুই সংবাদকর্মী নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করতে থাকে এবং চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া ফেসবুকে এই ফুটেজ যিনি পোস্ট করেন, তার কাছে যেয়ে এই দুই সাংবাদিক ক্ষমা চেয়ে পোস্ট ডিলিট করতে অনুরোধও করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
কথিত সংবাদকর্মী আহসান আলম বলেন- আমি কোন চাঁদাবজি করেনি। বরং বিজ্ঞাপনের টাকা আনতে গেছিলাম।