শিরোনাম :

৪০টি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা ঝিনাইদহে সাঞ্চাই নদীর ব্রীজটি হবে কবে?

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:২১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহ সদরের সাঞ্চাই নদীর ব্রীজটি প্রায়২ বছর আগে ভেঙ্গে পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে ব্রীজ নির্মান না হওয়ায় অত্রাঞ্চলের অন্তত: ৪০ গ্রামের মানুষের যোগোযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিকল্প পারাপার হিসাবে ব্রীজের পাশে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।বর্তমানে সাঁকোটির বেহাল দশা। ফলে কৃষি পণ্যসহ মালামাল নিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভাবে মানুষ যাতায়াত করছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা রয়েছে বেশি ঝুকিতে।৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র কামরুল ইসলাম জানান, আমাদের চলাচল করার সময় চরম ঝুকি নিয়ে পার হতে হয়। ওপার থেকে কোন সাইকেল আসলেও আসলে আমদের দাড়িয়ে থাকতে হয়। পারাপার হতে অনেক দেরী হয়। মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, নির্মাণ ত্রুটির কারনেই এ ব্রীজটি মাত্র ২১ বছরের মধ্যেই ভেঙ্গে পড়েছে বলে এলকাবাসী মনে করছে। আগামীতে যে ব্রীজটি নির্মান করা হবে তা যেন সঠিক নিয়ম মেনে করা হয়। কৃষক মঞ্জের আলী বলেন, এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আনেক কৃষি পন্য একবারে পারাপার করতে পারছি। এতে সময়ও যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি আমাদের খরচ বাড়ছে। ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া-টিকারী সড়কের টিকারী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সাঞ্চাই নদী। এ নদীর উপর বাজারের কাছেই ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয় ব্রীজটি। এলজিইডি বিভাগ ব্রীজটি নির্মাণ করে। এই ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে ঝিনাইদহের জিতড়, ভবানীপুর, ধননঞ্জয়পুর, মাড়ন্দি, নারিকেলবাড়িয়া, টিকারী, দহখোলা, লক্ষিপুর, মালঞ্চিসহ অন্তত: ৪০ গ্রামের মানুষ। তাদের চলাচলের একমাত্র পথ এ রাস্তাটি। ব্রীজ না থাকায় মালামাল নিয়ে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। প্রায় ২ বছর আগে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এরপর গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ব্রীজটি নতুন করে নির্মানের জন্য টেন্ডার হয়। সংশ্লিস্ট ঠিকাদার কাজ না করায় চলতি অর্থ বছরে দ্বিতীয় বারের মত টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ঠিকাদারও এখন পর্যন্তও কাজ শুরু করেননি। তাই ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম এ সড়কটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার, কৃষক, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। অতি দ্রুত ব্রীজটি নির্মানের দাবি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের। এ বিষয়ে ঠিকাদার মনিরুজ্জামান রানা জানান, যদি কোন দুর্যোগ না হয় তাহলে আগামী দুই মসের মধ্যেই নির্মান কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করি। ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলি আব্দুল মালেক জানান, ৫৪ মি: আরসিসি গাডার ব্রীজটি প্রথমে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে প্রথম টেন্ডার করা হয়। পরে আবারো ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে টেন্ডার করা হয় যার চুক্তি মুল্য ৬৩,৮২,১৮৭ টাকা। সাঞ্চাই নদীর এ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন এলাকার হাজারো মানুষ। খুব শীঘ্রই ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে। আগের ঠিকাদার কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তাই ব্রীজটি নির্মানের জন্য দ্বিতীয়বারের মত টেন্ডার সম্পন করতে হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর অংশগ্রহণে চাঁদপুরে জাকের পার্টির ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

৪০টি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা ঝিনাইদহে সাঞ্চাই নদীর ব্রীজটি হবে কবে?

আপডেট সময় : ০২:০৯:২১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহ সদরের সাঞ্চাই নদীর ব্রীজটি প্রায়২ বছর আগে ভেঙ্গে পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে ব্রীজ নির্মান না হওয়ায় অত্রাঞ্চলের অন্তত: ৪০ গ্রামের মানুষের যোগোযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিকল্প পারাপার হিসাবে ব্রীজের পাশে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।বর্তমানে সাঁকোটির বেহাল দশা। ফলে কৃষি পণ্যসহ মালামাল নিয়ে ঝুঁকিপূর্ন ভাবে মানুষ যাতায়াত করছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা রয়েছে বেশি ঝুকিতে।৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র কামরুল ইসলাম জানান, আমাদের চলাচল করার সময় চরম ঝুকি নিয়ে পার হতে হয়। ওপার থেকে কোন সাইকেল আসলেও আসলে আমদের দাড়িয়ে থাকতে হয়। পারাপার হতে অনেক দেরী হয়। মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, নির্মাণ ত্রুটির কারনেই এ ব্রীজটি মাত্র ২১ বছরের মধ্যেই ভেঙ্গে পড়েছে বলে এলকাবাসী মনে করছে। আগামীতে যে ব্রীজটি নির্মান করা হবে তা যেন সঠিক নিয়ম মেনে করা হয়। কৃষক মঞ্জের আলী বলেন, এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আনেক কৃষি পন্য একবারে পারাপার করতে পারছি। এতে সময়ও যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি আমাদের খরচ বাড়ছে। ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া-টিকারী সড়কের টিকারী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সাঞ্চাই নদী। এ নদীর উপর বাজারের কাছেই ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয় ব্রীজটি। এলজিইডি বিভাগ ব্রীজটি নির্মাণ করে। এই ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে ঝিনাইদহের জিতড়, ভবানীপুর, ধননঞ্জয়পুর, মাড়ন্দি, নারিকেলবাড়িয়া, টিকারী, দহখোলা, লক্ষিপুর, মালঞ্চিসহ অন্তত: ৪০ গ্রামের মানুষ। তাদের চলাচলের একমাত্র পথ এ রাস্তাটি। ব্রীজ না থাকায় মালামাল নিয়ে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। প্রায় ২ বছর আগে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এরপর গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ব্রীজটি নতুন করে নির্মানের জন্য টেন্ডার হয়। সংশ্লিস্ট ঠিকাদার কাজ না করায় চলতি অর্থ বছরে দ্বিতীয় বারের মত টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ঠিকাদারও এখন পর্যন্তও কাজ শুরু করেননি। তাই ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম এ সড়কটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার, কৃষক, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। অতি দ্রুত ব্রীজটি নির্মানের দাবি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের। এ বিষয়ে ঠিকাদার মনিরুজ্জামান রানা জানান, যদি কোন দুর্যোগ না হয় তাহলে আগামী দুই মসের মধ্যেই নির্মান কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করি। ঝিনাইদহ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলি আব্দুল মালেক জানান, ৫৪ মি: আরসিসি গাডার ব্রীজটি প্রথমে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে প্রথম টেন্ডার করা হয়। পরে আবারো ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে টেন্ডার করা হয় যার চুক্তি মুল্য ৬৩,৮২,১৮৭ টাকা। সাঞ্চাই নদীর এ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন এলাকার হাজারো মানুষ। খুব শীঘ্রই ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে। আগের ঠিকাদার কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তাই ব্রীজটি নির্মানের জন্য দ্বিতীয়বারের মত টেন্ডার সম্পন করতে হয়েছে।