শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীপাড়ের মাটি এখন কিংশুকের দুটি ইট ভাটা সহ নাহার ও পিএসবি ইটভাটায়!

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮
  • ৮৩০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গ নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্র্ঘদিন ধরে গিলাবাড়িয়া গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও তাদের বাধা দেওয়ার মতো দুঃসাহস কারো নেই। তারা এতটাই প্রভাবশালী কেও প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকী দেয়। আইন অগ্রাহ্য করে তারা নদীপাড়ের মাটি সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে আবাদী ও কৃষি জমি হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে শহরের পাশেই গিলাবাড়িয়া গ্রাম। পাগলাকানাই ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত গ্রামটি। নদীপাড়ারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩০টি গাড়ি। গাড়ির শব্দ আর ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। তারা ধুলোর অত্যাচারে ভাত পর্যন্ত থেতে পারে না। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে এ্যজমা-হাফানী রোগে। সরেজমিন দেখা গেছে গিলাবাড়িয়া গ্রামেই রয়েছে চারটি ইটভাটা। দুইটি কিংশুক, একটি নাহার ও অন্যটি পিএসবি। নদীর মাটি কেটে ওই সব ভাটায় আগামী বছরের জন্য লাট মারা হচ্ছে। কারা এই মাটি বিক্রি করছে তা স্থানীয়রা নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামবাসির ভাষ্য লিখে কি হবে ? সবই তো ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস, আতিয়ার রহমানসহ গ্রামের অনেকেই এই মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের ধুলোর অত্যাচার ও রাস্তা বাঁচানোর আহবান জানান। এলাকাবাসি জানায়, গিলাবাড়িয়া গ্রামের কাতো বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, ফজলু বিশ্বাস ও রেজাউল নবগঙ্গা নদীর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদেরকে বাধা দিলে উল্টো হুমকী দিচ্ছে। তবে বাপ্পারাজ জানিয়েছে তাদের জমির নিচে থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সেটা নদীর জমি কিনা তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভুমি এস এম মুনিম লিংকনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। তবে কিংশুক ইট ভাটার ম্যানেজার লাবু সাংবাদিকদের জানান, তারা নদীর মাটি আর নিবেন না। তারা মোটেও জানতেন না বিক্রেতারা নদী কেটে আমাদের কাছে বিক্রি করছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীপাড়ের মাটি এখন কিংশুকের দুটি ইট ভাটা সহ নাহার ও পিএসবি ইটভাটায়!

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গ নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্র্ঘদিন ধরে গিলাবাড়িয়া গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও তাদের বাধা দেওয়ার মতো দুঃসাহস কারো নেই। তারা এতটাই প্রভাবশালী কেও প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকী দেয়। আইন অগ্রাহ্য করে তারা নদীপাড়ের মাটি সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে আবাদী ও কৃষি জমি হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে শহরের পাশেই গিলাবাড়িয়া গ্রাম। পাগলাকানাই ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত গ্রামটি। নদীপাড়ারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩০টি গাড়ি। গাড়ির শব্দ আর ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। তারা ধুলোর অত্যাচারে ভাত পর্যন্ত থেতে পারে না। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে এ্যজমা-হাফানী রোগে। সরেজমিন দেখা গেছে গিলাবাড়িয়া গ্রামেই রয়েছে চারটি ইটভাটা। দুইটি কিংশুক, একটি নাহার ও অন্যটি পিএসবি। নদীর মাটি কেটে ওই সব ভাটায় আগামী বছরের জন্য লাট মারা হচ্ছে। কারা এই মাটি বিক্রি করছে তা স্থানীয়রা নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামবাসির ভাষ্য লিখে কি হবে ? সবই তো ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস, আতিয়ার রহমানসহ গ্রামের অনেকেই এই মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের ধুলোর অত্যাচার ও রাস্তা বাঁচানোর আহবান জানান। এলাকাবাসি জানায়, গিলাবাড়িয়া গ্রামের কাতো বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, ফজলু বিশ্বাস ও রেজাউল নবগঙ্গা নদীর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদেরকে বাধা দিলে উল্টো হুমকী দিচ্ছে। তবে বাপ্পারাজ জানিয়েছে তাদের জমির নিচে থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সেটা নদীর জমি কিনা তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভুমি এস এম মুনিম লিংকনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। তবে কিংশুক ইট ভাটার ম্যানেজার লাবু সাংবাদিকদের জানান, তারা নদীর মাটি আর নিবেন না। তারা মোটেও জানতেন না বিক্রেতারা নদী কেটে আমাদের কাছে বিক্রি করছে।