শিরোনাম :

লামায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনী ত্রাণ সহায়তা প্রদান

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

ফরিদ উদ্দিন লামা: বান্দরবানের লামার গজালিয়া ইউনিয়নে দূর্গম লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন লামা সাব জোনের একটি সেনাবাহিনী টিম। স্থানীয়রা জানায় জরুরী ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি আহতদের স্বাস্থ্য সেবাও দেয়া হচ্ছে ।
গত কাল বুধবার দুপুরে লুলাইং এলাকায় ভয়াবহ আগুনে মাংক্রাত মুরুং, থংপে মুরুং,লংথন মুরুং, রুমরই মুরুং, রিংয়ং মুরুং, মেনওয় মুরুং, লাংপুং মুরুং ,ও পালে মুরুং, বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ করে চরম খাদ্য অভাব, গায়ের কাপড় ও চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে এখনো কোন সরকারী বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। দূর্গমের এই নৃ-গোষ্ঠী পরিবার গুলোর করুণ পরিণতির কথা চিন্তা করে লামা সাব জোন থেকে ত্রাণ সেবা, শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিটি প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার খাওয়ার তেল, আধা কেজি লবণ, ৫টি করে কম্বল, ৫টি সুয়েটার ও নগদ ১ হাজার (কাউকে ৫শত) টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপিউ মুরুং, জানান, সেনাবাহিনী সবার আগে ত্রাণ, শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা নিয়ে এসেছে। আপদকালীন মুহুর্তে সেনাবাহিনীর এই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলোর খুব উপকারে এসেছে। প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে লামার গজালিয়া ইউনিয়নে দূর্গম লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় আগুনে পুড়ে ৯টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রেনচং মুরুং, নামে একজন প্রতিবন্ধী কিশোর পুড়ে নিহত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডের প্রায় ২০ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
অপর দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলাস্থ গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় ১৪ ফেব্রæয়ারী অগ্নিকান্ডে ম্রো পল­ীর ৯টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং এক প্রতিবন্ধী শিশু আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ড প্রদত্ত ত্রাণ সহায়তা (চাউল, পরিধেয় বস্ত্র, রান্নার উপকরণ, মশারী, কম্বল, টিন,ও নগদ অর্থ) বিতরন করেন খিনওয়ান নু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
এসময় তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অন্যান্যদের সাথে স্বতঃষ্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

লামায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনী ত্রাণ সহায়তা প্রদান

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ফরিদ উদ্দিন লামা: বান্দরবানের লামার গজালিয়া ইউনিয়নে দূর্গম লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৯ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন লামা সাব জোনের একটি সেনাবাহিনী টিম। স্থানীয়রা জানায় জরুরী ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি আহতদের স্বাস্থ্য সেবাও দেয়া হচ্ছে ।
গত কাল বুধবার দুপুরে লুলাইং এলাকায় ভয়াবহ আগুনে মাংক্রাত মুরুং, থংপে মুরুং,লংথন মুরুং, রুমরই মুরুং, রিংয়ং মুরুং, মেনওয় মুরুং, লাংপুং মুরুং ,ও পালে মুরুং, বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ করে চরম খাদ্য অভাব, গায়ের কাপড় ও চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। দূর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে এখনো কোন সরকারী বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। দূর্গমের এই নৃ-গোষ্ঠী পরিবার গুলোর করুণ পরিণতির কথা চিন্তা করে লামা সাব জোন থেকে ত্রাণ সেবা, শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিটি প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার খাওয়ার তেল, আধা কেজি লবণ, ৫টি করে কম্বল, ৫টি সুয়েটার ও নগদ ১ হাজার (কাউকে ৫শত) টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপিউ মুরুং, জানান, সেনাবাহিনী সবার আগে ত্রাণ, শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা নিয়ে এসেছে। আপদকালীন মুহুর্তে সেনাবাহিনীর এই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলোর খুব উপকারে এসেছে। প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে লামার গজালিয়া ইউনিয়নে দূর্গম লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় আগুনে পুড়ে ৯টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রেনচং মুরুং, নামে একজন প্রতিবন্ধী কিশোর পুড়ে নিহত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডের প্রায় ২০ লাখ টাকা ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
অপর দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলাস্থ গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং হেডম্যান পাড়ায় ১৪ ফেব্রæয়ারী অগ্নিকান্ডে ম্রো পল­ীর ৯টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং এক প্রতিবন্ধী শিশু আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ড প্রদত্ত ত্রাণ সহায়তা (চাউল, পরিধেয় বস্ত্র, রান্নার উপকরণ, মশারী, কম্বল, টিন,ও নগদ অর্থ) বিতরন করেন খিনওয়ান নু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
এসময় তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অন্যান্যদের সাথে স্বতঃষ্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।