ঝালকাঠিতে কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের ব্যাপক প্রস্তুতি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের উদ্যোগে এই প্রথম ঝালকাঠিতে কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। আবার আসিব ফিরে কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঝালকাঠিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ব্যতিক্রমী আয়োজনে এ বছর কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের উদ্যোগে এই প্রথম ঝালকাঠিতে তাঁর জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯তম জন্মদিনের আয়োজনে থাকছে কেক কাটা, বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালী-শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঝালকাঠি শিশু পার্কে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় কেক কেটার মধ্য দিয়ে কবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকী অনাড়ম্বর ও ঝাঁকজমক আয়োজনে উদযাপিত হবে।

এ বিষয় কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. কামরুন্নেসা আজাদ জানান, শতবছর পার হয়ে গেলেও থার জন্মস্থান তথা ঝালকাঠি জেলায় জন্মদিন উদযাপন হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তাই আমরা আমাদের দেশের তথা ঝালকাঠি জেলার এই দুই গুনি ব্যক্তি, কবি, লেখক, প্রাবন্ধিকদের স্বৃতি ধরে রাখার জন্যই আজ কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন উপলক্ষে ঝালকাঠিতে নানা আয়োজন থাকছে।

স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ সদস্যসচিব আফম আজিম তালুকদার জানিয়েছেন দিবসটি যথাযথ মর্যদার সাথে উদযাপনের জন্য ইতিমধ্যে জেলার ৪টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসাসমুহের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করা হয়েছে। কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জেলার উপজেলাসমুহ থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হবেন। আমরা আশা করছি ঝালকাঠির মানুষ শত বছর পরে হলেও এই গুণীব্যক্তিত্বের কদর বুঝতে পারছেন। দিনটিতে কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশের পৈত্রিক ভিটা রক্ষার দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলেও আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৮৯৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিংশ শতাব্দীর প্রধান আধুনিক বাঙালী কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক কবি জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহন করেছিলেন। বাংলা ভাষার শুদ্ধতম কবি বলেও তিনি আখ্যা পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে ট্টাম দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর তিনি মারা যান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠিতে কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের ব্যাপক প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের উদ্যোগে এই প্রথম ঝালকাঠিতে কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। আবার আসিব ফিরে কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঝালকাঠিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ব্যতিক্রমী আয়োজনে এ বছর কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের উদ্যোগে এই প্রথম ঝালকাঠিতে তাঁর জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। কবি জীবনানন্দ দাশের ১১৯তম জন্মদিনের আয়োজনে থাকছে কেক কাটা, বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালী-শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঝালকাঠি শিশু পার্কে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় কেক কেটার মধ্য দিয়ে কবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকী অনাড়ম্বর ও ঝাঁকজমক আয়োজনে উদযাপিত হবে।

এ বিষয় কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. কামরুন্নেসা আজাদ জানান, শতবছর পার হয়ে গেলেও থার জন্মস্থান তথা ঝালকাঠি জেলায় জন্মদিন উদযাপন হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তাই আমরা আমাদের দেশের তথা ঝালকাঠি জেলার এই দুই গুনি ব্যক্তি, কবি, লেখক, প্রাবন্ধিকদের স্বৃতি ধরে রাখার জন্যই আজ কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন উপলক্ষে ঝালকাঠিতে নানা আয়োজন থাকছে।

স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ সদস্যসচিব আফম আজিম তালুকদার জানিয়েছেন দিবসটি যথাযথ মর্যদার সাথে উদযাপনের জন্য ইতিমধ্যে জেলার ৪টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসাসমুহের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করা হয়েছে। কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জেলার উপজেলাসমুহ থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হবেন। আমরা আশা করছি ঝালকাঠির মানুষ শত বছর পরে হলেও এই গুণীব্যক্তিত্বের কদর বুঝতে পারছেন। দিনটিতে কবি কামিনী রায় ও জীবনানন্দ দাশের পৈত্রিক ভিটা রক্ষার দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলেও আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৮৯৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিংশ শতাব্দীর প্রধান আধুনিক বাঙালী কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক কবি জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহন করেছিলেন। বাংলা ভাষার শুদ্ধতম কবি বলেও তিনি আখ্যা পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে ট্টাম দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর তিনি মারা যান।