শিরোনাম :
Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি Logo শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

চার কারণে ভোর হওয়ার আগে আসামিকে ফাঁসি দেওয়া হয়!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

খবরের কাগজে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসির খবর নিশ্চয়ই কখনো না কখনো পড়েছেন। এবং সেই ফাঁসির প্রতিবেদনে এই বিষয়টিও নিশ্চয়ই আপনার নজরে এসেছে যে, ফাঁসির আসামিকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়েছে ভোর হওয়ার ঠিক আগে।

প্রতিটা মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়ে থাকে। আসামিকে ফাঁসি দেওয়া হয় ভোর হওয়ার ঠিক আগে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয় আসামিকে?

প্রধানত চার কারণে একজন আসামিকে ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে। কী কী সেই কারণ? আসুন, জেনে নেয়া যাক-

১) আইনি কারণ : ‘মডেল প্রিজন ম্যানুয়াল’-এ স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, দিনের সূর্য ওঠার আগেই মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর করতে হবে।

২) প্রশাসনিক কারণ : মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর করতে গিয়ে জেলের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্ম যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখা হয়। এবং সেই কারণেই জেলের দৈনন্দিন কাজকর্ম শুরু হওয়ার আগেই ফাঁসির বিষয়টি সেরে ফেলা হয়। ফাঁসি হয়ে যাওয়ার পরে জেল কর্তৃপক্ষকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন, মৃতদেহের ডাক্তারি পরীক্ষা, বিভিন্ন নথিপত্র তৈরি, মৃতের পরিবারবর্গের হাতে মৃতদেহ হস্তান্তর ইত্যাদি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্যই সকাল সকাল সেরে ফেলা হয় ফাঁসি দেওয়ার কাজটি।

৩) নৈতিক কারণ : ফাঁসি দেওয়ার সময় চেষ্টা করা হয়, আসামিকে যেন অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়। দিনের মাঝামাঝি কোনো সময়ে ফাঁসিকে কার্যকর করা হলে, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রবল মানসিক চাপ ভোগ করতে হয় আসামিকে। সেই কারণেই রাতে ঘুমনো আগে সুর্যের ওঠার আগেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় আসামিতে।

৪) সামাজিক কারণ : বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ফাঁসির ঘটনাগুলো অনেক সময় আপত্তিকর সামাজিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সেই কারণে সমাজের মানুষ জেগে ওঠার আগেই সেরে ফেলা হয় ফাঁসির কাজটি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব

চার কারণে ভোর হওয়ার আগে আসামিকে ফাঁসি দেওয়া হয়!

আপডেট সময় : ০৩:০৪:২২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

খবরের কাগজে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসির খবর নিশ্চয়ই কখনো না কখনো পড়েছেন। এবং সেই ফাঁসির প্রতিবেদনে এই বিষয়টিও নিশ্চয়ই আপনার নজরে এসেছে যে, ফাঁসির আসামিকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়েছে ভোর হওয়ার ঠিক আগে।

প্রতিটা মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়ে থাকে। আসামিকে ফাঁসি দেওয়া হয় ভোর হওয়ার ঠিক আগে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয় আসামিকে?

প্রধানত চার কারণে একজন আসামিকে ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে। কী কী সেই কারণ? আসুন, জেনে নেয়া যাক-

১) আইনি কারণ : ‘মডেল প্রিজন ম্যানুয়াল’-এ স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, দিনের সূর্য ওঠার আগেই মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর করতে হবে।

২) প্রশাসনিক কারণ : মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর করতে গিয়ে জেলের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্ম যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখা হয়। এবং সেই কারণেই জেলের দৈনন্দিন কাজকর্ম শুরু হওয়ার আগেই ফাঁসির বিষয়টি সেরে ফেলা হয়। ফাঁসি হয়ে যাওয়ার পরে জেল কর্তৃপক্ষকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন, মৃতদেহের ডাক্তারি পরীক্ষা, বিভিন্ন নথিপত্র তৈরি, মৃতের পরিবারবর্গের হাতে মৃতদেহ হস্তান্তর ইত্যাদি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্যই সকাল সকাল সেরে ফেলা হয় ফাঁসি দেওয়ার কাজটি।

৩) নৈতিক কারণ : ফাঁসি দেওয়ার সময় চেষ্টা করা হয়, আসামিকে যেন অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়। দিনের মাঝামাঝি কোনো সময়ে ফাঁসিকে কার্যকর করা হলে, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রবল মানসিক চাপ ভোগ করতে হয় আসামিকে। সেই কারণেই রাতে ঘুমনো আগে সুর্যের ওঠার আগেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় আসামিতে।

৪) সামাজিক কারণ : বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ফাঁসির ঘটনাগুলো অনেক সময় আপত্তিকর সামাজিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সেই কারণে সমাজের মানুষ জেগে ওঠার আগেই সেরে ফেলা হয় ফাঁসির কাজটি