শিরোনাম :
Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান Logo দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন Logo চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহ শুরু Logo চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের

শৈলকুপায় ট্র্রে পদ্ধতিতে ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি

  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার তামিনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক খবির উদ্দিন ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার নিজ বাড়ির ছদের উপর এ বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। খবির উদ্দিন জানান, তার নিজের ১২ বিঘা ধানী জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করার জন্যই তিনি এ বীজতলা তৈরি করেছেন। ১২০টি ট্রেতে ১২ কেজি ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এতে ঘরের ছাদের ৭০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিনের পরামর্শে ঘরের ছাদেএ ট্র্রে পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাবস্থার সুবিধা হিসেবে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। যার ফলে ফলন বেড়ে যাবে। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু মাত্র সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় ৩ বার সময় করে পানি দিলেই চলে। এতে খরচ ও সময় কম। আবার খুব সহজে রোপণ করা যায়। চারা পুষ্ট হয় বলে গাছের বাইল শক্তিশালী হয়। ছড়ায় ধান বেশি আসে। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয়। এ পদ্ধতি কাজে লাগালে আমরা লাভবান হব। ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের উপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। এরপর সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে খেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে বলেও জানান তিনি। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিন জানান, এতে ফলন বেশি এবং উৎপাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা

শৈলকুপায় ট্র্রে পদ্ধতিতে ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার তামিনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক খবির উদ্দিন ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার নিজ বাড়ির ছদের উপর এ বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। খবির উদ্দিন জানান, তার নিজের ১২ বিঘা ধানী জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করার জন্যই তিনি এ বীজতলা তৈরি করেছেন। ১২০টি ট্রেতে ১২ কেজি ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এতে ঘরের ছাদের ৭০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিনের পরামর্শে ঘরের ছাদেএ ট্র্রে পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাবস্থার সুবিধা হিসেবে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। যার ফলে ফলন বেড়ে যাবে। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু মাত্র সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় ৩ বার সময় করে পানি দিলেই চলে। এতে খরচ ও সময় কম। আবার খুব সহজে রোপণ করা যায়। চারা পুষ্ট হয় বলে গাছের বাইল শক্তিশালী হয়। ছড়ায় ধান বেশি আসে। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয়। এ পদ্ধতি কাজে লাগালে আমরা লাভবান হব। ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের উপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। এরপর সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে খেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে বলেও জানান তিনি। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিন জানান, এতে ফলন বেশি এবং উৎপাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।