শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

নবীগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুমন আলী খাঁন, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমন ধানের এমন ফলনে এ বছর কৃষকের চোখে মুখে হাঁসি ফুটেছে। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে প্রতি হেক্টরে এবার সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল থাকা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে চারদিকে আমনের সোনালি ক্ষেত আর ক্ষেত। উপজেলার বিভিন্ন হাওর মাঠে মাঠে সবুজ আর সোনালী ছোপ, বিকালে হালকা বাতাস, সকালে শিশির ভেজায় দূলছে রোপা আমন ধান। সেই সাথে দূলছে কৃষকের মন। খুশির আনন্দে ঢেউ আছড়ে পড়ছে মাঠে-গ্রামে। কৃষকদের চোখের কোণে খুশির ঝিলিক। দেখছে সোনালী স্বপ্ন। সচ্ছলতার সোপানে দ্রুত পাল্টে যাওয়ার আগমনী বার্তা সু সময়ের হাতছানি। দেশের কৃষকদের এগিয়ে নিতে কৃষিবান্ধব সরকারের সামগ্রীক সহযোগিতায় কৃষকরা উদ্বেলিত। একদিকে কৃষকরা প্রচন্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তারা রোপা আমন ধানের মাঠের দিকে দৃষ্টি রাখছেন দিনের বেশীরভাগ সময়। অনেক কৃষক স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই ইতিমধ্যে সোনালি ধান কাটাও শুরু করেছেন।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু এলাকায় কৃষক পাকা ধান কেটে আঁটি বেঁধে নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ মাড়াইয়ের কাজ করছেন। আবার অনেকে কুলা দিয়ে ধান পরিষ্কারের কাজ করছেন। ঘাম ঝরানো কৃষকরা জানান, এ বছর বেশি বৃষ্টি হওয়াতে ও যথাসময়ে জমিতে সার দিতে পারায় ধানের ফলন আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে।
এবার আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের এমন বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। এ বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষক/কৃষাণীর মুখে আনন্দ দেখা যায়। ধানের গোলা তৈরি করে নতুন ধান ঘরে তুলছেন সবাই। প্রতি ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের নানা উৎসব। সকল হাওরে প্রায় ৯০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। এবং রিতিমতো নতুন ধান কাটার ধুম পরেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন জানান, উপজেলায় এ বছর ১০ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন ভাল হওয়ায় এবার ১১ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। এবার আশার চেয়ে ফলন অনেক ভাল হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

নবীগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:০৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

মোঃ সুমন আলী খাঁন, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমন ধানের এমন ফলনে এ বছর কৃষকের চোখে মুখে হাঁসি ফুটেছে। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে প্রতি হেক্টরে এবার সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল থাকা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে চারদিকে আমনের সোনালি ক্ষেত আর ক্ষেত। উপজেলার বিভিন্ন হাওর মাঠে মাঠে সবুজ আর সোনালী ছোপ, বিকালে হালকা বাতাস, সকালে শিশির ভেজায় দূলছে রোপা আমন ধান। সেই সাথে দূলছে কৃষকের মন। খুশির আনন্দে ঢেউ আছড়ে পড়ছে মাঠে-গ্রামে। কৃষকদের চোখের কোণে খুশির ঝিলিক। দেখছে সোনালী স্বপ্ন। সচ্ছলতার সোপানে দ্রুত পাল্টে যাওয়ার আগমনী বার্তা সু সময়ের হাতছানি। দেশের কৃষকদের এগিয়ে নিতে কৃষিবান্ধব সরকারের সামগ্রীক সহযোগিতায় কৃষকরা উদ্বেলিত। একদিকে কৃষকরা প্রচন্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তারা রোপা আমন ধানের মাঠের দিকে দৃষ্টি রাখছেন দিনের বেশীরভাগ সময়। অনেক কৃষক স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই ইতিমধ্যে সোনালি ধান কাটাও শুরু করেছেন।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু এলাকায় কৃষক পাকা ধান কেটে আঁটি বেঁধে নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ মাড়াইয়ের কাজ করছেন। আবার অনেকে কুলা দিয়ে ধান পরিষ্কারের কাজ করছেন। ঘাম ঝরানো কৃষকরা জানান, এ বছর বেশি বৃষ্টি হওয়াতে ও যথাসময়ে জমিতে সার দিতে পারায় ধানের ফলন আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে।
এবার আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের এমন বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। এ বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষক/কৃষাণীর মুখে আনন্দ দেখা যায়। ধানের গোলা তৈরি করে নতুন ধান ঘরে তুলছেন সবাই। প্রতি ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের নানা উৎসব। সকল হাওরে প্রায় ৯০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। এবং রিতিমতো নতুন ধান কাটার ধুম পরেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন জানান, উপজেলায় এ বছর ১০ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন ভাল হওয়ায় এবার ১১ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। এবার আশার চেয়ে ফলন অনেক ভাল হয়েছে।