শিরোনাম :
Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে Logo কেটিএমের নতুন বাইক ভারতের বাজারে আসবে কাল! Logo আপনারেই কিন্তু রিপেয়ার করে দিব, নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ Logo জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার: হেফাজত Logo ছিনতাইকারীর কবলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী Logo চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসির বাংলা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ১১৭৩ জন Logo যথাসময়ে নামাজ পড়ার পুরস্কার Logo ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকা

ঝিনাইদহে এবার সওজের দুর্নীতি তদন্তে ঢাকার টিমের তদন্ত শুরু

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির তদন্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আসা এসি পদমর্যাদা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা এই তদন্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে অভিযোগকারী সৈয়দ রেজাউল ইসলাম রাজু বক্তব্য গ্রহন করেন। এ সময় রাজু কাছে তদন্ত কর্মকর্তারা টেন্ডার সংক্রান্ত ৫% ঘুষ নিয়ে কাজ দেওয়া, গোপনে আরএফকিউ টেন্ডার করাসহ একাধিক বিষয়ে জানতে চান। তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগকারী রাজুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন অন্যান্য সরকারী ডিপার্টমেন্টে দুর্নীতি হলেও কেন আপনি তা তোলেন নি। আর সওজের এই গোপন বিষয়গুলো আপনি কি করে জানলেন। এ সময় রাজু সাফ জবাব দেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান চরম দুর্নীতিবাজ। জেলার ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে গেছেন। এখনো অনেকেই তার কাছে ঘুষের টাকা পাবেন।

টাকা ছাড়া তিনি কারো কাজ দেননি বলেও তদন্ত দলকে রাজু জানান। রাজু তদন্ত দলের কাছে অনুরোধ করে বলেন, একই বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেও তদন্ত করলে তদন্ত রিপোর্ট তার পক্ষেই যাবে। এটাই স্বাভাবিক। সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে আমি যে ডকুমেন্ট সরবরাহ করেছি তাতে তিনি যেন রেহাই না পান সেই অনুরোধ তদন্ত দলের কাছে করেন রাজু। এ সময় তদন্তের বিষয়টি ঝিনাইদহের কোন সাংবাদিককে না জানাতে রাজুকে অনুরোধ করেন। রাজু জানান, তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় জানতে চাইলেও তারা তা প্রকাশ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সরকারী ফোনটি রিসিভ করেন নি। উল্লেখ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ঝিনাইদহে এসে দুর্নীতির রাম রাজত্ব কায়েম করেন। কোটি কোটি টাকার রাস্তা অল্প দিনে নষ্ট হয়। টাকার বিনিময়ে টেন্ডারবাজী করা হয়। আরএফকিউ করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহে এবার সওজের দুর্নীতি তদন্তে ঢাকার টিমের তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির তদন্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে আসা এসি পদমর্যাদা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা এই তদন্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে অভিযোগকারী সৈয়দ রেজাউল ইসলাম রাজু বক্তব্য গ্রহন করেন। এ সময় রাজু কাছে তদন্ত কর্মকর্তারা টেন্ডার সংক্রান্ত ৫% ঘুষ নিয়ে কাজ দেওয়া, গোপনে আরএফকিউ টেন্ডার করাসহ একাধিক বিষয়ে জানতে চান। তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগকারী রাজুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন অন্যান্য সরকারী ডিপার্টমেন্টে দুর্নীতি হলেও কেন আপনি তা তোলেন নি। আর সওজের এই গোপন বিষয়গুলো আপনি কি করে জানলেন। এ সময় রাজু সাফ জবাব দেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান চরম দুর্নীতিবাজ। জেলার ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে গেছেন। এখনো অনেকেই তার কাছে ঘুষের টাকা পাবেন।

টাকা ছাড়া তিনি কারো কাজ দেননি বলেও তদন্ত দলকে রাজু জানান। রাজু তদন্ত দলের কাছে অনুরোধ করে বলেন, একই বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেও তদন্ত করলে তদন্ত রিপোর্ট তার পক্ষেই যাবে। এটাই স্বাভাবিক। সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে আমি যে ডকুমেন্ট সরবরাহ করেছি তাতে তিনি যেন রেহাই না পান সেই অনুরোধ তদন্ত দলের কাছে করেন রাজু। এ সময় তদন্তের বিষয়টি ঝিনাইদহের কোন সাংবাদিককে না জানাতে রাজুকে অনুরোধ করেন। রাজু জানান, তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয় জানতে চাইলেও তারা তা প্রকাশ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সরকারী ফোনটি রিসিভ করেন নি। উল্লেখ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ঝিনাইদহে এসে দুর্নীতির রাম রাজত্ব কায়েম করেন। কোটি কোটি টাকার রাস্তা অল্প দিনে নষ্ট হয়। টাকার বিনিময়ে টেন্ডারবাজী করা হয়। আরএফকিউ করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।